চলারথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৩ কেজি গাঁজা, ১হাজার ৮০০শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৬ মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ও বৃহস্পতিবার রাতে জেলার কসবা উপজেলার জাজিসার, একই উপজেলার রানিয়ারা ও বিনাউটি এবং সদর উপজেলার উজানিশার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কসবা উপজেলার জাজিসার গ্রামের খাদিজা আক্তার স্বপ্না (২১), একই এলাকার রবিউল হাসান (২২), নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দুলালপুর গ্রামের লিজা আক্তার (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের রাজু ভৌমিক (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উজানিসার গ্রামের মোসলেম ভূইয়া (৪৮) ও তার স্ত্রী রুনা বেগম (৩৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার জাজিসার গ্রামের উত্তরপাড়ায় সুমন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২৫ কেজি গাঁজাসহ সুমন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা আক্তার স্বপ্না ও রবিউল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার রানিয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ লিজা আক্তার ও রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিনাউটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রাজু ভৌমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার উজানিসার গ্রামের মোসলের ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি গাঁজা এবং ১৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোসলেম ভূঁইয়া এবং তার স্ত্রী রুনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে রিফাত (১৫) নামে এক অটোচালককে খুন করা হয়েছে।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মনকাসাই এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিফাত উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া গ্রামের মোঃ আবেদ মিয়ার ছেলে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিফাত লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবার অটোরিক্সা চালাতো। বুধবার সন্ধ্যায় সে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শাহপুর এলাকার একটি গ্যারেজে অটোরিকশাটি পাওয়া যায়। এ সময় ছিনতাইকারী আপন মিয়া অটোরিকশাটি গ্যারেজ থেকে নিতে এলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ ঘাতক আপন মিয়ার দেয়া তথ্য মতে নিহত রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। ঘাতক আপন মিয়া উপজেলার চন্ডীদ্বার গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক কবির বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালককে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার পৌর শহরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াছিন মিয়ার কাছ থেকে তিন টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট্ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য অফিস।
কসবা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাওসার সজিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি এ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে আবেদন করেন ১ হাজার ২৯ জন কৃষক। এদের মধ্যে ১ হাজার ২১ জন কৃষকের আবেদন গৃহীত হয়। ৮ জন কৃষকের আবেদন বাতিল বলে গন্য হয়। গৃহীত ১ হাজার ২১ জন কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৩শ ২০ জন কৃষককে বাছাই করেন উপজেলা প্রশাসন। তাদের নিকট থেকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে ১১শ ১৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে বলেন জানান খাদ্য কর্মকর্তা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কৃষকের নিকট থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা দরে ১২শ টাকা মন কেনা হবে এই ধান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হবে এই ধান । ধান বিক্রি করতে এসে কৃষক যেন কোনো প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে নজরদারী থাকবে। কৃষক এবং গুদাম কর্মকর্তার মাঝখানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা না আসতে পারে সেদিকেও নজর থাকবে উপজেলা প্রশাসনের।
বিশেষ প্রতিনিধি :
অবেশেষে চালু হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন রেলপথ। এরই মধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডবল লাইন চালু হলে গুরুত্বপূর্ণ এ রেলপথে দ্বিগুণের বেশি গতিতে ট্রেন চলবে। সেই সঙ্গে নতুন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সময় সাশ্রয়সহ যাত্রী সেবার মান বাড়বে।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন।
আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের প্রকল্প পরিচালক সুবক্ত গীন জানান, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথে ১৯০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ ও বিদ্যমান লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে কসবা রেলস্টেশনের কাজ ও সালদানদী রেলসেতুর কাজ সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফের বাধাসহ নানা কারণে অবশিষ্ট কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়। বর্তমানে এ রেলপথের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কসবার মন্দবাগ এলাকার আংশিক রেলপথ ও সালদা রেল ব্রিজের কাজ বিএসএফের বাধায় নির্মাণকাজ বিঘ্নিত হওয়ায় কুমিল্লা শশীদল থেকে মন্দভাগ পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার ক্রস ওভারের মাধ্যমে সিংগেল লাইনে ট্রেন চলাচল করবে।
তবে, এর সমাধান শীঘ্রই হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
তিনি আরো জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর সেকশনে আরো ৩২ কিলোমিটার রেলপথ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ডাবল লাইন ট্রেন অপারেশন উদ্বোধন করা হবে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লাইনের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
কয়েকজন যাত্রী বলেন, আগে সিংগেল লাইন থাকাতে ট্রেনের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ডাবল লাইন চালু হলে ট্রেনের যাত্রীরা নানা ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। সেবার মান বাড়বে। ট্রেনের সংখ্যা নতুন করে আরও দুটি বাড়ায়, তাহলে যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এখন ডাবল লাইন হবে, এতে আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আগে আসা যাওয়া করতে অনেক কষ্ট হয়েছে, এখন তা হবে না। অবশিষ্ট যে কাজগুলো রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে ফেললে যাত্রীদের জন্য সুবিধা হবে।
মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান মন্ডল বলেন, সিংগেল লাইনে গাড়ি সঠিক সময়ে চালানো অসুবিধা হতো। ডাবল হওয়াতে ট্রেন একদিকে আসবে আরেক দিকে যাবে। সেবার মানও বাড়বে। ফলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনারও শঙ্কা থাকবে না।
আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্ত গীন বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের লাইফ লাইন। এ পথ ডবল লাইন করার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ যাত্রাপথে অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করবেন। অবশিষ্ট রেলপথ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে বলেও জানান তিনি।