অনলাইন ডেস্ক :
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজ বাসভবনে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে৷ গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক৷ আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ এর দুটি পৃথক অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন। তিনি সে দেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপার সম্ভাবনা ও সুযোগের কথা তুলে ধরে জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে জাপানের রাজধানী টোকিও’র একটি হোটেলে বাছাই করা জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি অব্যহত রাখবো এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে সবারজন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো। আসুন বিনিয়োগ করুন।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জাপানি ব্যবসা ও বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা মহামারির চাপের মধ্যেও বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কোম্পানির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে দুই দেশে যখন ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ এবং বিগ-বি উদ্যোগে প্রবেশ করি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি নিশ্চিত জাপানি ব্যবসায়ীরাও এই ক্রমবর্ধমান এই ধারা অনুসরণ করছেন এবং তারা তাদের বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণ করবেন, বাংলাদেশে নতুন ব্যবসা খুলবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাপানে আমাদের দূতাবাস বাংলাদেশে আপনার উদ্যোগকে সহযোগিতা করতে এবং সহজতর করতে প্রস্তুত।
এ সময় জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে জাপানি বন্ধুদের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সব সময় আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৫ দশকে জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃষ্টান্তমূলক ফল দেখে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বড় উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।আশা করি আপনার সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সমাবেশে জাপানি কোম্পানিগুলোর উথাপিত বেশকিছু নিয়ন্ত্রক ও নীতিগত সমস্যা সমাধান করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উদার বাণিজ্য নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা সবচেয়ে উদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক খরচ, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতা, বিশাল অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত থাকায় বাংলাদেশ দ্রুত বিনিয়োগের অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল হাই-টেক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগের কেন্দ্র হিসাবে নিজেকে স্থাপন করার জন্য একটি পরিকল্পিত অবকাঠামোগত ভিত্তি তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০০ কেজি আনারস শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।
২৩ জুন রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি বক্সে করে কিউভেরাইটি জাতের আনারস বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভারতের ত্রিপুরার হর্টিকালচাররের সহকারী পরিচালক ড. দীপক কুমার বৈদ্য বাংলাদেশে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় হাই কমিশানারের এএসও সজীব চক্রবর্তীর নিকট আনারসগুলো হস্তান্তর করেন।
আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্টে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার দীপক হাজিজা, ৪২ বিএসএফ এর ইনচার্জ সন্তোষ কুমার, আখাউড়া কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, আখাউড়া আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি বাজারে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে অন্ত নয়জন মারা গেছে। এতে আহত হয়েছেন ১১৫ জনেরও বেশি। মালয়েশিয়ার সীমান্তে সুঙ্গাই কোলোকে স্থানীয় সময় ৩টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি
স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, বাজারের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণাধীন ভবনে ইস্পাত ঢালাইয়ের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণে অনেক দোকান, বাড়ি এবং যানবাহন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। আজ ৫ জুলাই শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে ভোটে লড়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। এদিকে আরেক বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপসানার সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোতে গোলাগুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৯ জন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি কার রেসিং শোতে এ ঘটনা ঘটে। আজ ২১ মে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে বাজা ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি কার-শোতে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পৌর সরকার জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, এনসেনাডা শহরের সান ভিসেন্টে এলাকায় অল-টেরেন কার রেসিং শো চলাকালীন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ৯১১ তে রিপোর্ট করা বিবরণ অনুসারে, দুপুর সোয়া দুইটার পর লম্বা বন্দুকধারী লোকেরা একটি ধূসর ভ্যান থেকে বেরিয়ে গ্যাস স্টেশনে কার রেসিং শোতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি করতে শুরু করে।
মিউনিসিপ্যাল ও স্টেট পুলিশ, মেরিনস, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং মেক্সিকান রেড ক্রসসহ অন্যান্য সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মেয়র আরমান্দো আয়ালা রোবেলস বলেছেন, প্রাদেশিক অ্যাটর্নি জেনারেল রিকার্ডো ইভান কার্পিও সানচেজ গোলাগুলির ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন।