চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থেকে প্রকাশিত সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক পরগণা পত্রিকার বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি শুক্রবার ক্ষুধার্তদের মাঝে এক বেলা খাবার বিতরণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উক্ত দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পরগণা পত্রিকার সম্পাদক ও সরাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সাংবাদিক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি পরগণা বন্ধু ফোরামের এই মানবিক কার্যক্রমে যারা অর্থনৈতিকভাবে মানবিক এ কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন সকলের নাম ঘোষনা করেন এবং এ কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে এইজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পরগণা পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইউসুফ এর এ ধরনের মানবিক কাজের ভূঁয়শী প্রশংসা করেন এবং এ কাজে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিবসহ সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুর রাশেদ, সরাইল বিকাল বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সরাইল পরগণা বন্ধু ফোরামের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কানাই মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কানাই মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানার ও আদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়ার লিবু মিয়ার ছেলে।
আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় পশ্চিম কুট্টাপাড়ার আবদুল হাফিজের ৯ বছর বয়সী মেয়ে ও কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জয়নব।
পরে আর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির কাছের একটি বাঁশঝাড় থেকে জয়নবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সরাইল থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা ফেরদৌসী বেগম। মামলার একদিন পর তদন্তে কানাই মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই শিশু ও কানাইয়ের বাড়ি কাছাকাছি।
গ্রেফতারের পর কানাই আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কানাই জানায়, সে ৪টি বিয়ে করেছে। ভবঘুরে ও বখাটে স্বভাবের কারণে সব স্ত্রী তাকে ত্যাগ করেছে। দাম্পত্য জীবনে তার কোনো সন্তান নেই। ১৬ ডিসেম্বর নিখোঁজের দিন সন্ধ্যার পর শিশুটিকে সে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শিশুটিকে হত্যা করে রাতেই লাশ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাই মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মেরাজুল ইসলাম জানান, কানাইয়ের জবানবন্দির প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ রায়ে বাদীপক্ষের লোকজন সন্তুষ্ট। এদিকে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী আবু তাহের ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালত একজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বাস চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার যাত্রী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল ইসলামাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হন।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবু হানিফ (৬০)। তিনি আখাউড়া উপজেলার ধরখার গ্রামের আবদুল হাসেমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নোমান মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হানিফের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা হাসপাতাল থেকেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী হাওর বেষ্টিত শ্যামল ছায়ায় আচ্ছন্ন কয়েকটি গ্রামের সমাহার উত্তর কালিকচ্ছ। ধানের জমি ভরাট করে সেখানেই ‘উত্তর কালিকচ্ছ মডেল স্কুল এ- কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন স্থানীয় ‘সুহৃদ সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। ফসল উৎপাদনের বদলে চলছে মানুষ গড়ার কাজ। মাত্র ৪ বছরে এগিয়েছে অনেক দূর। আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫০ জন। শুরূ থেকেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে বিদ্যালয়টি। ব্যাপক আনন্দ উৎসাহে হেঁসে খেলে দিনটি অতিবাহিত করে থাকে সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে আবারও সফল ভাবে সম্পন্ন হলো স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
নতুন এক সাঁজে সেঁজেছিল বিদ্যালয়ের মাঠ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল বিদ্যালয়ের আঙ্গিণা। সেই সৌন্দর্যে রঙ লাগিয়ে অনুষ্ঠানের চাকচিক্য বৃদ্ধি করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। ১২-১৪টি ইভেন্টে দিনভর চলছে প্রতিযোগিতা। মন ভরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও উপভোগ করেছেন শিক্ষার্থীসহ সকলেই। বিকেলে সুহৃদ সোসাইটির সভাপতি হাজী মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান ও শিক্ষক মো. জসিম মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুকুরের এক ফুট পানির নিচে ঝুলে রয়েছে পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার বিদ্যুৎ গ্রাহক ও স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার এলাকায় বিদ্যুতের এ বেহাল দশার অবস্থা। পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন পুকুরের এক ফুট পানির নিছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পড়ে রয়েছে। প্রায় এলাকাতেই জরাজীর্ণ তার এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ তারে টানানো এই লাইনে মেরামতের অভাবে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে রয়েছে। দেখে মনে হয় যেন বৈদ্যুতিক লাইন পানির নিচ দিয়ে টানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় পুকুরের পানিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ সৃষ্টি হয়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাদিকবার অবহিত করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানান তারা।
এদিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার, আইরল, আঁখিতারা ও বছিউড়া এই ৪টি গ্রামের মানুষ বৈদ্যুতিক লো-ভোল্টেজ সমস্যায় চরম দুর্ভোগে আছেন। একদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, অন্যদিকে লো-ভোল্টেজের কারণে অচল হয়ে পড়ছে জনজীবন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, পুকুরের পানিতে বিদ্যুতের তার পরে রয়েছে। এ বিষয়ে অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি ভয়ে কেউ পুকুরে গোসল করতে নামছে না।
নাজমুল মিয়া বলেন, লো-ভোল্টেজের কারণে আমার ফ্রিজের মাছ মাংস প্রায় সময় পচে যায়। আর ফ্যান ও বাতি কোনো রকমে চলে। বুঝার উপায় নেই যে বিদ্যুৎ আছে।
এ বিষয়ে সরাইল পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ) মো. আব্দুর রউফ যুগান্তরকে বলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় আমি অনেক কাজ করেছি। কাটানিশার ও আইরল এলাকায় বিদ্যুৎ কিছুটা দুর্বল রয়েছে। কাটানিশারে একটা ট্রান্সফরমার দরকার। ট্রান্সফরমার বসানো গেলে বিদ্যুতের লাইন ঠিক হয়ে যাবে। আমি সামনের বাজেটে চেষ্টা করব ট্রান্সফরমার দিতে। আর কোনো পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) আজ ৭ অক্টোবর শনিবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকাসহ সর্বস্তরের লোকজনের কাছে দোয়া কামনা করেছেন যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আসতে পারেন এবং অবহেলিত (সরাইল-আশুগঞ্জ) এলাকার জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।