চলারপথে রিপোর্ট :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় এক দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সময় শিকারের আশায় যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় মো কামাল মিয়া নামে এই অভিযুক্তকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞান পার্টির দুইটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দুইটি অভিযোগেই একই ধরনের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। ৩০ আগস্ট ওমান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন সুরুজ আলী। এরপর ২ নম্বর ক্যানোপি দিয়ে বের হওয়ার সময় যাত্রীবেশী কামালের পরিচয় হয়।
কৌশলে প্রতারক সুরুজের গন্তব্য জেনে নেয় কামাল। এর পর নিজেও একই দিকে যাবেন বলে এক সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত কামাল। এরপর সুরুজকে বিভিন্ন কথা বলে বহুতল কার পার্কিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে গল্প করেন এবং আস্থা অর্জন করে যাত্রী সুরুজকে কামাল কৌশলে জ্যুস পান করান এবং ভুক্তভোগী জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সকল মালামাল হারিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর আরো এক প্রবাসীর অভিযোগ পায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। যাত্রী রিপন হোসেন সৌদি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর শাহাজালাল বিমানবন্দরে আসেন। ঢাকা ফেরার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। তিনিও সাথে থাকা ৩ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইলসহ সবকিছু হারান।
এ সকল অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তদন্তে প্রতারক কামালকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে এপিবিএনের অপারেশন টিম। এর পর জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল কামালের। গতকাল মধ্যরাতে অভিযুক্ত কামালকে আবারো যাত্রী বেশেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, আটক হওয়ার সময় নিজেকে যাত্রী দাবী করছিলেন কামাল। এ সময় যাত্রীর মত ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় কামাল। উপরে আলোচিত দুই যাত্রী রিপন ও সুরুজ দুইজনকেই সে নিজে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি কার্যালয়ে আপনারা তালা মেরে রেখেছেন, ঢুকতে দিচ্ছেন না, ঘিরে রেখেছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনো সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিবহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
গতকাল সোমবার খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অবরোধে বেশিরভাগ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে– এ বিষয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে হওয়া এ আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ৮৫৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫১ জন। আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার প্রথম ধাপের এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহিদ বা আহত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪ জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহিদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদের মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনো তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ই-মেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এর আগে, শুক্রবার গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৮৫৮ জন শহিদের ভেরিফাইড তথ্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে পেয়েছি। এটা চূড়ান্ত নয়। এ ব্যাপারে কাজ অব্যাহত আছে। এদিন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে। তবে এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। পরে আরো তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও আমরা তালিকায় এনে ক্যাবিনেটে পাঠাবো।
২০২৪ সালের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে। এর পরই জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন পুনরায় জোরদার হয়। কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরবর্তী দিনগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে আন্দোলনকারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী, শিশুসসহ অসংখ্য মানুষ নিহত হন। আগস্টের শুরুর দিকে এই সহিংসতার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এত প্রাণহানির দায় অস্বীকার ও সহিংসতার জন্য অন্যান্য কারণকে দায়ী করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব ঘটনার জেরে কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে লাখো ছাত্র জনতা। সেই পরিস্থিতির মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান অনেক মন্ত্রী-এমপি-নেতা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে চালানো গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের এমপি-মন্ত্রী-আমলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পলাতক মন্ত্রী-নেতা, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
চলারপথে ডেস্ক :
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ট্রান্সফরমারের বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে ঝলসে যায় দুই হাত। সেই থেকে এক হাত নেই, আরেক হাত আছে কনুই পর্যন্ত। হাত হারিয়ে দমে না যাওয়া সেই অদম্য মানুষটি চবির সদ্য সাবেক শিক্ষার্থী বাহার উদ্দিন রায়হান। হাত না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে চাকরি পাননি রায়হান। কিন্ত রায়হানের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নজর কেড়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের। তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের ‘প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক’ পদে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন বাহার। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে জিপিএ ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ দশমিক ১৩। যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক কাজেও। কিন্ত এতসব অর্জন খুশি করতে পারেনি চাকরির বাজারকে। পরিবারে আছে শুধু মা। ছোটবেলা থেকে এই মায়ের সাহায্যে এতটা পথ অতিক্রম করেছে রায়হান। এবার মাকে সাহায্য করার জন্য একটা চাকরির প্রয়োজন ছিল তার। তাই রায়হানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লেখালেখি করেন। তার বন্ধুরা তুলে ধরেন সংগ্রামের গল্প। যা নজর কাড়ে সরকারের আইসিটি বিভাগের।
পরে আজ ১৫ মে সোমবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে বাহারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চাকরি পাওয়ার পর আনন্দ প্রকাশ করে বাহার উদ্দিন রায়হান বলেন,’যেখানে বেসরকারি সেক্টরগুলোতে চাকরি পাচ্ছিলাম না, সেখানে সরকারি চাকরি ছিল আমার জন্য অবিশ্বাস্য। তারা আমার স্পৃহাকে মূল্যায়ন করে সুযোগ দিয়েছেন এই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এই বিভাগে ভালো করার এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করবো।’
মায়ের আনন্দের কথা জানিয়ে রায়হান আরো বলেন, ‘আমার মা অনেক খুশি হয়েছেন। তিনি সারা গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করছেন।’
সবশেষে হতাশ না হয়ে তরুণ সমাজকে নিজের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতা তৈরির উপদেশ দেন রায়হান।
চবির ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘রায়হান তার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিভাগ থেকে ভালো ফলাফল করেছে। সুযোগ সুবিধা থাকার পরও অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরাও রায়হানের মতো ফলাফল করতে পারে না। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে সাফল্য এনে দিয়ছে। বিভাগের ছাত্র হিসেবে তার এই অর্জনে আমরা গর্বিত।’
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে লিখেন,’ আজ অন্য রকম একটি দিন আমাদের জন্য। শৈশবে দুই হাত হারানো অদম্য তরুণ বাহার উদ্দিন রায়হান আজ যোগ দিলেন আইসিটি পরিবারে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (EDGE) প্রকল্পের অধীনে ১,০০,০০০ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সে।’
রায়হানকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারী, কম্পোনেন্ট টিম লিডার ড. মাহফুজুর ইসলাম শামীমসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
রায়হানের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে। ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর এক দুর্ঘটনায় এক হাত ও আরেক হাতের কনুই পর্যন্ত হারান। দুর্ঘটনার পর আয়ত্ত করেন মুখ দিয়ে লেখা। আত্মবিশ্বাসী রায়হান আবার ২০০৮ সাল থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ ৩ দশমিক ৪১ পেয়ে এসএসসি পাস করেন রায়হান। তারপর মানবিক বিভাগে ভর্তি হন চকরিয়া কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে প্রতিবন্ধী কোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লেখেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এ ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয় সেগুলা দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি কীভাবে পরিচালিত হবে, কোন সব নীতিতে চলবে- এই সব কিছুই দেখতে হবে। একাডেমির আমূল সংস্কারের দিকে আমরা যাব এখন। দেশের সংস্কার হবে, বাংলা একাডেমির সংস্কার কেন নয়?’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম জানানো হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ বা গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদের নাম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা ৭০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে পুরুস্কৃত হয়েছেন ৫ জন শিশু। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিল শেষে পুরস্কার বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেষ্ট, পাঞ্জাবীর কাপড় এবং পবিত্র কোরআন শরিফ তুলে দেন প্রধান বক্তা মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলো; মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মাহফুজ, মোঃ শিহাব আল ফারেছ, মারুফ হোসেন শ্রাবন, মোহাম্মদ সামির। তারা সবাই ফেলনা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার অধিবাসী।
মসজিদ এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ইতালী প্রবাসী আলী আক্কাছ জানান, এলাকার শিশুদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ভবিষ্যতে টানা ৪৫দিন জামায়াতে নামাজ আদায়ের কর্মসূচীও নেয়া হবে। জামায়াতে নামাজ আদায়কারী শিশুদের আরও ভালোভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
তাফসির মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কুরআন গবেষনা পরিষদের সহ-সভাপতি ক্বারী শাহজাহান সাঈদী, বয়োজৈষ্ঠ্য আলেম মৌলভী আবদুল ওয়াদুদ, লাকসাম ধানবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মীর মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, ফেলনা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ বদিউল আলম, মৌলভী আহসান উল্লাহ, আলী আক্কাছ, ইমাম হোসাইন, মোঃ আজিম, হাফেজ মর্তুজা মজুমদার প্রমুখ।