চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেললাইন পার হতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মনির মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলের দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির মিয়া দরুইন গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন পাওয়ারট্রলি চালক।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, দরুইন এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল সমাধির গেইট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন মনির। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইন পার হওয়ার সময় দুই দিক থেকে ট্রেন চলে আসে। তিনি একটি রেললাইন পার হলেও অপর রেললাইনে উঠা মাত্র চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
তিনি আরো বলেন, এতে তার হাত, পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি আখাউড়া শাখা কর্তৃক ১৫০ জন দারিদ্র্য পীড়িত অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি আখাউড়া শাখা মিলনায়তনে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উক্ত শাখার ব্যবস্বাপক মো: ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানাজার মো: আবুল কালাম আজাদ।
এসময় আখাউড়া স্থলবন্দের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো: নাজিরুল হক নাজির, রাজীব ভূঁইয়া, ফয়সাল আহমেদ, শাহ আলম শান্তি মিয়া, সোহেল মিয়া, ব্যাংক কর্মকর্তা, মো: ইমরান ভূঁইয়া, মো:খালেদ মাহমুদ মুন্না, মো: তানভীর আহমেদ শ্যামল এবং ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পথচারীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই যুবককে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক রিকসাচালক তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার রিকসায় তুলেন। পরে রিক্সাচালক তাকে লাল বাজার এলাকায় রাস্তায় রেখে চলে গেলে সেখানেই সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রেললাইনে বাঁশের বেড়া দিলেন এক ভুক্তভোগী।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের শূন্যরেখার পাশে এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন শাহানুর সরকার নামে একজন জমির মালিক। তিনি ওই ইউনিয়নের খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের ও গাছের ডালপালা দিয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের ওপর দুপাশে লম্বা বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন শাহানুর সরকার।
ভুক্তভোগী শাহানুর সরকার বলেন, ‘আমি প্রবাসে ছিলাম। ফেরার পর এখন অসুস্থ। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে আমার ২৬ শতাংশ জায়গা পড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের সময় আমার শীবনগর মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭ শতকসহ দুই দাগে মোট ২৬ শতক জমি রেলওয়ে অধিগ্রহণ করে নেয়। আমার জায়গা দখলের দীর্ঘদিন পর এর ওপর রেললাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমার এ জায়গার মূল্য এখনো এক টাকাও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় পাঁচমাস ধরে আমি অসুস্থ। অসুস্থ শরীর নিয়ে রেলের বিভিন্ন দপ্তরে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমি অধিগ্রহণের পাওনা টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছি। তারপরও টাকা পাচ্ছি না। তাই ক্ষোভ থেকে আমার যতটুকু জমি রেলের মধ্যে পড়েছে সেই জায়গায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহানুর রহমান বলেন, ‘সরকার বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি আমার জমির মূল্য না দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে তাহলে আমার শরীরের ওপর দিয়ে ট্রেন নিয়ে যেতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া-আগরতাল রেল প্রকল্পের সিনিয়র সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার রিপন শেখ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি জানিয়েছেন, উনার টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর হাতে জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউসার মোল্লা (৫০) পলাতক রয়েছেন।
আজ ১৯ এপ্রিল বুধবার সকালে জেলা পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল একই জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর দিঘীরপাড় এলাকার মৃত আরু মিয়ার মেয়ে। আর কাউসার মোল্লা জেলা সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মৃত মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। কাউসার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউসার ও জান্নাতুল জেলা শহরের কলেজপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। তবে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা ও পরকীয়ায় লিপ্ত। এসব নিয়ে প্রায়ই জান্নাতুলের সঙ্গে স্বামীর কলহ চলতো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে কাউসার ধারালো ছুরিকাঘাতে জান্নাতুলকে হত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের সন্তানরা কক্ষে যাওয়া মাত্রই তিনি (কাউসার) তাদের ঘরে আটকিয়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তপথে ভারতে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ ৩ মে শনিবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন। এর আগে, সন্তু লারমা সড়কপথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ায় আসেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তিনি জানান, প্রথমবারের মতো তিনি এপথে ভারত যাচ্ছেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াও মাতৃ-পিতৃ তর্পণ ও ধর্মীয় আচারাধি সম্পাদন অনুষ্ঠানে যোগদান করারও কথা রয়েছে তার।
সন্তু লারমাকে পাহাড়ে নিরাপত্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সন্তু লারমা বলেন, একবার আসুন রাঙামাটি ঘুরে দেখে যান- তবেই বুঝবেন। এর বেশি কোনো কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি সন্তু লারমা।
এ পথেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্যামল লারমা নিশ্চিত করেছেন। কখন আসবেন তিনি তা জানাতে পারেননি।