চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেললাইন পার হতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মনির মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলের দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির মিয়া দরুইন গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন পাওয়ারট্রলি চালক।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, দরুইন এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল সমাধির গেইট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন মনির। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইন পার হওয়ার সময় দুই দিক থেকে ট্রেন চলে আসে। তিনি একটি রেললাইন পার হলেও অপর রেললাইনে উঠা মাত্র চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
তিনি আরো বলেন, এতে তার হাত, পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্বাঞ্চল রেলপথের অন্যতম বড় রেলওয়ে জংশন আখাউড়া। এ ষ্টেশনে প্রায় প্রতিটি আন্ত:নগর এক্সপ্রেসহ সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে।
প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী এ ষ্টেশন হয়ে ট্রেন ভ্রমন করে থাকে। বর্তমানে আখাউড়া ষ্টেশনে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এ ষ্টেশনে যাত্রী পারাপারের জন্য নব বিশাল একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ওভার ব্রীজে ওঠা-নামার জন্য র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি রাখা হয়নি। এজন্য দুর্ভোগে পড়েছে ট্রেন যাত্রীরা।
প্রতিবন্ধি, বয়োবৃদ্ধ এবং নারী-শিশুদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। তাছাড়া অতিরিক্ত ব্যাগেজ বহন করে এক ফ্ল্যাট ফরম থেকে অন্য ফ্ল্যাট ফরমে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সুবিধার্থে ওভার ব্রীজে ওঠা-নামার জন্য র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হস্তপেক্ষ কামনা করে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আখাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র এনাম খাদেম একটি দরখাস্ত দিয়েছেন।
রেলওয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ চলছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি রেলওয়ে ষ্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন আধুনিকায়ন, নতুন ফ্ল্যাট ফরম নির্মাণ, রেল ট্র্যাক স্থাপনের কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে। নতুন জংশনে ১৭টি রেল ট্র্যাক/লাইন বসবে।
এ স্টেশন যাত্রী পারাপারের জন্য বিশাল একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর দৈঘ্য প্রায় ১৯০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। প্রায় ৫০ ফুট লম্বা সিঁড়ি হেঁটে যাত্রীদেরকে ওভার ব্রীজে উঠতে হবে। ওই ব্রীজে উঠা-নামার জন্য উভয় পাশে ৩টি করে ৬টি সিঁড়ি রাখা হয়েছে। কিন্তু কোন র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি রাখা হয়নি। এজুন্য প্রতিবন্ধি, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ যাত্রীদের পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে।
তাছাড়া অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজ বহন করে সিঁড়ি ভেঙ্গে চলাচল করতেও সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। অথচ এ পথের ছোট ছোট ষ্টেশনগুলোর ওভার ব্রীজেও র্যাম্প সিঁড়ি রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রতিবন্ধি ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২১৩ এর ১৩ ধারায় ভৌত অবকাঠামো, যানবাহন, যোগাযোগ, তথ্য ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ জনসাধারণের জন্য প্রাপ্য্য সকল সুবিধা ও সেবাসমূহে অন্যান্যদের মত প্রত্যেক প্রতিবন্ধি ব্যক্তির সমসুযোগ ও সম আচরণ প্রাপ্তির অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, দু’জন নারী ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে এক ফ্ল্যাট ফরম থেকে অন্য ফ্ল্যাট ফরমে যেতে দেখা গেছে। একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তি ক্রাচে ভর করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেছে। মালামাল বহনেও যাত্রীদেরকে বেগ পেতে হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ব্রীজের উভয় পাশে সিঁড়ির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন আর র্যাম্প করার সুযোগ নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী যাত্রী বলেন, আমার ছোট বাচ্চা নিয়ে এতগুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে ওভার ব্রীজ দিয়ে যাওয়া কষ্টকর। তাই হেঁটে পার হয়েছি। সমতল সিঁড়ি থাকলে খুব সুবিধা হতো।
শারীরিক প্রতিবন্ধি মোঃ নায়েব আলী নামে এক যাত্রী বলেন, সমতল সিঁড়ি হলে প্রতিবন্ধিদের খুব সুবিধা হতো। এখন যে সিঁড়ি করা হয়েছে তা দিয়ে প্রতিবন্ধিদের চলাচল করা সম্ভব না। আখাউড়া পৌরশহরের চন্দনসারের বাসিন্দা লেখক আলী মাহমেদ বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে রেলওয়ের আধুনিকায়ন কাজ করা হচ্ছে। অথচ আখাউড়ায় ওভার ব্রীজে কেন র্যাম্প রাখা হলো না তা বুঝতে পারছি না। অসুস্থ, প্রতিবন্ধি যাত্রীরা কিভাবে পারাপার হবে।
বিষয়টি খুবই অমানবিক। তিনি র্যাম্প নির্মাণের দাবি জানান। এ ব্যপারে আখাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র এনাম খাদেম বলেন, আখাউড়া ষ্টেশনে ওভার ব্রীজে ওঠার জন্য র্যাম্প সিঁড়ি রাখা হয়নি। বয়োবৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধিদের জন্য র্যাম্প সিঁড়ি খুবই দরকার। এ ব্যাপারে মাননীয় আইনমন্ত্রীর নিকট একটি আবেদন করেছি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে মন্ত্রী মহোদয়ের হাতে দরখাস্তটি হস্তান্তর করি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেলপথ নির্মাণ কাজ প্রকল্প পরিচালক মোঃ সুভক্ত গীন বলেন, আখাউড়া ষ্টেশনের ওভার ব্রীজের প্ল্যানে র্যাম্প রাখা নাই। তারা র্যাম্প নির্মাণ করা হয়নি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রপার ওয়েতে (সঠিক ভাবে) আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা পরামর্শক ও প্রকৌশলীদের সাথে পর্যালোচনা করে দেখব এটা করা যায় কিনা।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা আছে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আমার মনে হয় ১ হাজার কোটি টাকা কম লাগবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছর জুলাইয়ে কাজটি শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৪ জুন বুধবার দুপুরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি উদযাপনে আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন, বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং আগরতলা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও বিএসএফ সদস্যদের ফুল-মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলামসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।