চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গত ৫৪ বছর ধরে নদীকে যেভাবে দখল করে, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে, অবকাঠামো দিয়ে এবং এক ধরনের জেদ করে যে- আমি যা বলেছি সেটাই সঠিক আর কারো কথা সঠিক নয়, এগুলো করে নদীর যেই ক্ষতিটা আমরা করেছি তা এক দেড় বছরে সরকারের পক্ষে পুরো সমাধান করা সম্ভব না।
আজ ১৯ মে সোমবার দুপুরে ২ টারদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় বড়াল-১ ভেল্ট রেগুলেটর ও বড়াল নদী পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তবে সমস্যার সমাধানে রুপরেখা করে যাওয়া সম্ভব। যা ইতিমধ্যেই আমরা শুরু করেছি। যার অংশ হিসাবে প্রতিটা বিভাগে আমরা একটি করে নদী নিয়েছি। আসলে প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখলমুক্ত দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলোর কাজ করে যাওয়ার সময় আমরা পাব না। ফলে প্রতিটি বিভাগে একটি করে নদী, কক্সবাজারে ১ টি ও ঢাকায় আলাদা ৪টি নদীর পরিকল্পনা করে বাজেট এনে কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে এক হিন্দু পুরোহিতও বিজিপি নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার ষ্টেশন রোডে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানব বন্ধনে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরি, মোঃ লিটন মিয়া, মোঃ সামসুল আলম, বোরহান উদ্দিন রেজা, গোলাম সামদানি শিবলী প্রমুখ। বক্তারা মহানবী (সা:) নিয়ে কটুক্তির নিন্দা জানান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারত সরকারকে নিন্দা জানানোর আহবান জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার বিকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ঐশী বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ডা. এস. এম. শাহনূর।
কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ।
বক্তারা বলেন, কবি আল-মাহমুদ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই গর্বের সন্তান নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ। বক্তারা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য চিন্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এবং তার বিপ্লবী চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, আল মাহমুদ শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন সময়ের প্রহরী। তার লেখনীতে উঠে এসেছে গ্রামীণ জীবনের সত্য, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের অন্তর্লৌকিক জীবনবোধ।
বক্তারা বলেন, আল-মাহমুদ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন। কবিকে বিগত সরকারের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সমাহিত করা হয়নি। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আল-মাহমুদের কবর সংরক্ষণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মাহমুদ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আগামী প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে এবং অনুপ্রাণিত হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতার উদ্বোধনকালে মোকতাদির চৌধুরী এমপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতা ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, খেলাধূলার প্রতি শেখ কামালের অবদান ছিলো অবিস্মরণীয়। আমরা আশা করি শেখ কামালের আর্দশকে ধারণ করে তরুণ সমাজ মাদক থেকে সরে আসবে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন ক্রীড়ার ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে নতুন প্রজন্মের তরুনেরা। তিনি বলেন, আশাকরি একদিন অলিম্পিক খেলাতেও দেশের হয়ে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে-মেয়েরা অংশ নেবে।
দিনব্যাপী প্রতিযোগীতায় জেলার ৯টি উপজেলার ৪শতাধিক শিক্ষার্থী ৩২টি ইভেন্টে এ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৭০ বছর বয়সের চিরকুমার অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক শওকত আলী হাওলাদার। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে (৩৫) বিয়ে করেছেন।
রামপাল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বিয়ের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে স্ত্রী নাজুর সঙ্গে শওকত আলী হাওলাদারে যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কটু মন্তব্যও করছেন।
রামপালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক শওকত আলী হাওলাদারের বাড়ি উপজেলার জিগিরমোল্লায় হলেও তিনি হুড়কা গ্রামে বসবাস করেন। রামপাল কলেজে শিক্ষকতার পাশাপশি ভাইবোনদের মানুষ করতে তার সময়মতো বিয়ে করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা শওকত আলী হাওলাদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি সবসময় তা এড়িয়ে গেছেন। ভাইবোনেরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবসরপ্রাপ্ত এই কলেজ শিক্ষক একাকিত্ব অনুভব করায় ৭০ বছর বয়সে এসে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার মিঠাখালী এলাকার কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে বিয়ে করেন।
গত শনিবার (১৮ মার্চ) ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা নিয়ে এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা ওয়াসিলে এ বিয়ে করেন শওকত আলী হাওলাদার। বিয়ের পোশাকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সেই ছবি তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুই আইডিতে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। রামপাল ছাড়িয়ে এই বিয়ের খরব এখন চায়ের দোকান, অফিসে আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শওকত আলী হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বড় ভাইয়ের কাছে মানুষ হয়েছি। সারাটা জীবন তিনি আমাদের সুখে দুঃখে বটবৃৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বড়ভাই কলেজ শিক্ষকতা থেকে অবসরে চলে আসায় এবং বর্তমানে আমরা নিজেদের পরিবার ও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছিলেন। তার এই একাকিত্ব দূর করতে ও তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার ছিল। এই পরিস্থিতে আমরা তাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে তিনি একটা সময় এসে রাজি হন। এরপর আমরা মোংলা উপজেলার মিঠাখালি এলাকার এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়েছি। কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই শওকত আলী নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর ও কনে আগামীতে হজেও যাবেন। সংবাদমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চাই।’