চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ভগিনীপতিকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্যালকও। অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মঞ্জু (২১) ও বিপ্লব হোসেন (১৭) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে শ্যালক ও ভগিনীপতি।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জু তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানা যায়নি। অপর নিহত বিপ্লব একই ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার সময় মঞ্জু তার অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে যায়। অসাবধানতাবশত ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শ্যালক বিপ্লবও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। তাদের মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহগুলো স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আদতে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।
এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।
বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দুটি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।
দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।
এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের নামে ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ পরিচিত।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।
সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।
এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসতো তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতেন তারা।
ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতেন। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেপ্তাররা নিতেন এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।
গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
যেভাবে টিকিট যেতো সিন্ডিকেটের হাতে
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতেন। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতেন।
অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতেন চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতেন।
এছাড়া, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতেন।
পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো।
এভাবে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৭টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত হন।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা।
গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সব সময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেফতার বাকিরা দেশের বিভিন্ন রুট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, যার ফলে তারা সেসব রুটের যাত্রীদের ম্যানেজ করে টিকিট বিক্রি করতেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউন্টারম্যান, সহজ ডটকমের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এমনকি স্টেশনে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন কয়েকজনেরও এই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপি ৪৫তম ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়।
ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান পেশ করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম। ইজতেমায় নবী রাসূলের তরিকা ও আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীসহ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান পেশ করবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমা ময়দানে হাজার হাজার মুসল্লির আগমন ঘটেছে। মুসল্লিরা কাঁধে ও পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন। ইজতেমা প্রাঙ্গনের আশপাশের এলাকায় শীতের পোশাক, খাবারের দোকান ও কাঁচা বাজারের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইজতেমা আয়োজন কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, প্রতিবারের মতো এ বছরেও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমা পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলংকা, মালেয়শিয়ার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন। এখানে মুসল্লিদের জন্য নিরাপত্তাসহ সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইজতেমার মধ্য দিয়ে ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এবং দ্বীনি দাওয়াতে তাবলিগের কাজের জন্য জামায়াত তৈরি করা হবে। আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দানের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন। ইজতেমা স্থলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিমও রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুর ১২ টায় তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নিকট ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গত রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহির্ভূত সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন- সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড চালু করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একাডেমিক কার্যক্রম চালুর পর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আগে কখনো শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিকভাবে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলা ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরাও।
২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৩৩টি বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ৭১ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ ২০ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও চেক বিতরণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে আজকের এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ তারা পরবর্তী জীবনে যেখানেই থাকুক, তাদের সিভিতে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়টা উল্লেখ করতে পারবে। যা তাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। ফলে সকল শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্যেও এটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।