চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পূর্বাঞ্চলে নবীনগর টু রাধিকা সড়ক ও বিটঘর টু রসুলপুর মহেশ রোডে সিএনজি ভাড়া অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
জানা যায়, মহেশ রোড ও রাধিকা সড়ক পূর্বে বেহাল দশা ছিল, তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতো যাত্রীদের কাছ থেকে। বর্তমানে রাধিকা সড়ক ও মহেশ রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে, যার ফলে অল্প সময়ে জেলা সদরে ও নবীনগর সদরে যাতায়েত করা যায়।বর্তমানে এই নতুন সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অনিচ্ছুক যাত্রীরা। ভাড়া নিয়ে ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্ক বিতর্কই থেমে যায় না, হাতাহাতি— মারামারির ঘটনাও অনেক সময় হয়ে থাকে এই অতিরিক্ত ভাড়া কে কেন্দ্র করে। তাই অতিবিলম্ব এই রাধিকা সড়কে ও মহেশ রোডের যাতায়াতের জন্য বিটঘর, শিবপুর, ব্রাহ্মণহাতা, কুড়িঘর স্টেশনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করিয়া দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
বিটঘর ইউনিয়নের গুড়িগ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, আমি বিটঘর পুকুরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে ৪৫ বা ৫০ মিনিটে নতুন রাধিকা সড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায় কিন্তু ভাড়া দিতে হয়েছে সেই চারগাছ—তিললাখপীর সড়ক হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ঘন্টা সময় লাগার ১৩০ টাকা ভাড়া। ৪৫/৫০ মিনিটে আসা ভাড়া কিভাবে ১৩০ টাকা নিল, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মেনে নিতে পারছি না, তবুও ১৩০ টাকা ভাড়া দিলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা যাত্রী বলেন, আগে বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতাম,তখন রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়া নিয়েছে ১৩০ টাকা। এখন মহেশ রোড ও রাধিকা রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে। এখন বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে সময় লাগে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট কিন্তু ভাড়া কমানো হয়নি পূর্বের যে বাড়া নির্ধারন ছিল, সেই ভাড়া নিচ্ছে তারা। কখনো কখনো অতিরিক্ত টাকাও দিতে হচ্ছে তাদের। এই লাগামহীন ভাড়া আদায়ের, যেন দেখার কেউ নাই। এই রোডে সঠিক তদারকির অভাব বলে দাবি করছি আমরা। তাই এই রোডের সিএনজি ভাড়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর এবিষয়ে বলেন, এই অতিরিক্ত ভাড়া কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়, এখানের মত এত বেশি ভাড়া বাংলাদেশে কোথাও নাই আমার জানা মতে। এই রোড পরিচালনায় দায়িত্বরত সকলকে নিয়ে ও শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন ভাইকে সাথে নিয়ে বসব, সকলের পরামর্শক্রমে অচিরেই নতুন করে ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিলুফা আক্তার (২১) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি একই গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সজল কান্তি দাশ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক দিন ধরে কলহ চলে আসছিল। এরই জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় ভায়রা সাদ্দাম হোসেনকে (২৬) হত্যা করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে গ্রেফতারের পর ২২ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সামিউল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান ভায়রা বাবুল (৪০)। বাবুল নেত্রকোনা জেলার খায়ের বাংলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী হিসেবে নিহত সাদ্দামের ভায়রা বাবুলকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বাবুল।
বাবুল জবানবন্দিতে জানান, গত প্রায় ১০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের কৃষ্ণনগরের শায়েস্তা আরাকে বিয়ে করেন বাবুল। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নরসিংদীতে কাজের সুবাদে বসবাস করা কাদির নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা পালিয়ে নবীনগর এসে পড়েন। বিয়ে না করেও তারা সংসার করেন। এতে শায়েস্তারা গর্ভবতীও হন। আর এসবে সহায়তা করে আসছিলেন শায়েস্তা আরার বোনের স্বামী সাদ্দাম। সাদ্দাম সব কিছু জেনেও ভায়রা বাবুলকে কোনো প্রকার সহায়তা করেননি। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সাদ্দামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাবুল পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় নিহত সাদ্দামের ভাই অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় কথা কাটাকাটির জেরে লতিফা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২২ মার্চ বুধবার তিনি মারা যান।
গত রবিবার উপজেলার রসুলুল্লাহবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামে ভাবির শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।
লতিফা বেগম ওই এলাকার মো. জাকারিয়ার স্ত্রী।
মো. জাকারিয়া জানান, কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই জালাল মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা পিঠা তৈরি করছিল। এ সুযোগে জালাল পেছন থেকে লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে তার সারা শরীর ঝলসে যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য সাত দোকানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নবীনগর পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন বাজার ও হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বড় বাজারে চালের বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ দোকানিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চালের দোকান গুলোতে অধিক মজুদ করা হচ্ছে কিনা তাও তদারকি করা হয়।
তিনি আরো জানান, চালের বাজারের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পরিবেশনের দায়ে ৩টি রেস্টুরেন্ট ও ১টি হোটেলেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১০ কেজি গাঁজাসহ ৪ নারী মাদক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিবপুর সিএনজি স্টেশনে রাস্তার উপর চেক পোষ্টে ডিউটি করার সময় বিশেষ অভিযানে তাদের গাঁজাসহ আটক করে।
আটককৃত আসামিরা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার উত্তর কান্দা গ্রামের মো.রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ বৃষ্টি আক্তার প্রঃ সনিয়া (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চর চন্নিপুর গ্রামের সোহেল ওরফে সোহাগের স্ত্রী, সিমা আক্তার (২০), আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর (আশ্রয়ন প্রকল্প) গ্রামের মো.শাকিল ওরফে রুবেলের মেয়ে মোসাঃ তামান্না আক্তার (১৪) এবং মো.আবুল কাশেমের মেয়ে মোসাঃ সাদিয়া আক্তার (১৭)।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, তাদের হেফাজত হতে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।