চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল—মামুন সরকার ও পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
টুর্ণামেন্টে জেলার জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল অংশ নিবে। স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। খেলার রেফারি আনা হবে ঢাকা থেকে। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় বাছাই উম্মুক্ত হওয়ায় যে কোন ফুটবলার যে কোন দলে খেলতে পারবেন।
উদ্বোধনী খেলায় পৌরসভার একাদশের সাথে নবীনগর উপজেলা একাদশ অংশ নিবে। উদ্বোধনী দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল সোয়া তিনটায় খেলা শুরু হবে। খেলার মোট সময় ৯০ মিনিট। বিরতির জন্য সময় বরাদ্দ ১০ মিনিট। খেলা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক দল ৫জন করে খেলোয়ার পরিবর্তন করতে পারবে। কোনো খেলোয়াড় যদি পর পর দুই বার হলুদ কার্ড পান, তাহলে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী খেলায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। খেলা হবে নকআউট পদ্ধতিতে।
তিনি বলেন, খেলায় যে কোনো আপত্তি থাকলে খেলা শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে পাঁচ হাজর টাকা আপত্তি ফিসহ (অফেরতযোগ্য) লিখিতভাবে সরাসরি আপিল কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। আপিল কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। প্রতিটি খেলা শুরুর পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রুপ ছবি তুলে রাখা হবে। যাতে প্রতিটি দলের খেলোয়াড় চিহ্নিত করা যায়। এক দলের খেলোয়াড় যাতে অন্য দলে খেলতে না পারে। টুর্ণামেন্টে ১৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ফাইনাল খেলায় চট্টগ্রামের বিভাগী কমিশনার তোফায়েল ইসলাম এবং পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ—মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূর ই ইসলাম অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ক্রীড়া অফিসারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে সাত হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পৃথক আরেকটি অভিযানে রেললাইনের উপর বৈদুতিক খুঁটির নিচে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ইন্টারনেট ও ডিসের তার কেটে অপসারণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুর ও বিকালে সদর উপজেলার ভাদুঘর সংলগ্ন তিতাস নদী এবং শহরের কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর পৌর শহরের ভাদুঘর তিতাস নদীতে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে কিছুদিন ধরে মৎস্য শিকার করে আসছেন একটি চক্র।
বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন ভাদুঘর এলাকায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মৎস্য শিকারর অভিযোগ দুই হাজার মিটার অবৈধ রিং জাল ও পাঁচ হাজার মিটার করেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অবৈধ এসব জালের মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে জব্দকৃত দুই হাজার মিটার রিং জাল এবং পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পোড়ানো হয়।
এদিকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন শহরের কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ছাদে থাকা দুই যাত্রী রেললাইনের উপরে বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে থাকা তারের সঙ্গে প্যাচ লেগে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী মারা যান এবং অপরযাত্রী আহত হন।
এঘটনার জন্য শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সদস্যদের নিয়ে পৌঁছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন। পরে লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেললাইনের উপরে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ সকল তার কেটে সরানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন বলেন, ভাদুঘর সংলগ্ন তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৯০ এর আলোকে দুই হাজার মিটার অবৈধ রিং জাল ও পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আর কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেললাইনের উপর থাকা অপ্রয়োজনীয় তার কেটে অপসারণ করা হয়েছে। এতে এখানে মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেছেন, স্কুল ক্রিকেট হল একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের বিভাগীয় এবং জাতীয় দলে খেলার একটি ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলাকে মজবুত করা হয়।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টায় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৩-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন প্রাইম ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ব্যবস্থাপক এ.কে.এম শাহ আরেফিন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, বাকের মোশারফ, মঞ্জুর-ই মাসুদ, সুভাস দাস, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মামুন খাঁন প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১৯ রানে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে শুভ সূচনা করে। টসে রেসিডেন্সিয়াল জয়লাভ করে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৪১.৪ ওভারে ২১৪ রানে অল আউট হয়। ফারহান ফারুক আদি ৯১ রান, হাসান ৪টি উইকেট পায়। বিরতির পর নিয়াজ মুহম্মদ উচচ বিদ্যালয় ব্যাট করতে নেমে ৪৪.২ ওভারে ১৯৫ রানে অল আউট হয়। সুজন ৫৮ ও ঝলক ৪২ রান করে। ওয়াসি ৫টি ও আদি ৩টি উইকেট পায়। প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের ফারহান ফারুক আদি। খেলাটি পরিচালনা করেন আম্পায়ার মোঃ আজিম ও শামীম ভূইয়া। স্কোরার আশফাক আহমেদ রোহান ও মেহেদী হাসান শ্রাবন। আজ ২য় দিনের খেলায় অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় বনাম আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ধরতে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে নারীর কপালে ঠেকানোর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে প্রবাসীকে ধরতে গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এমন ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। এতে অভিযোগ আনা হয়, নূরুল আলম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি।
এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার প্রবাসী নূরুল আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই রেজাউল করিমসহ আরো কয়েকজন। এ সময় নূরুল আলমের বাড়িতে তার ভাতিজার সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান চলছিল।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একদল লোক নূরুল আলমকে খুঁজতে আসে। তারা তাকে না পেয়ে আক্রমানাত্মক হয়ে উঠে। এসময় অনুষ্ঠানে আসা বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তারা নূরুল আলমের স্ত্রী, সন্তান, পিতাসহ পরিবারের লোকজনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে এস.আই রেজাউল প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে দিকে প্রকাশ্যে পিস্তল তাক করে। পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে থানা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা তখন তারা গোয়েন্দা পুলিশ নাকি ডাকাত বুঝে উঠতে পারিনি।
ঘটনার সময় উপস্থিত নুরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম অভিযোগ করেন, সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ভাইকে খোঁজ শুরু করে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা মানতে নারাজ। এ সময় সাদা পোশাকে আসা লোকজন নুরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণ নিয়ে মামলা হয়েছে। স্বর্ণ আমার ভাই আনেনি। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করব। তিনি বলেন, সাদা পোশাকে আসা লোকজন পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।
এ ব্যাপারে নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বলেন, প্রবাসে আব্দুল কুদ্দুসকে ব্যবসায়ীক অংশীদার না করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার দিন আমাদের বাড়িতে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় ৫/৬ জন সাদা পোশাকে এসে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নেয়। এ সময় তারা তল্লাশি করে কিছু পায়নি। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করায় শিশু নিশাতের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। প্রতিবাদ করায় তারা আমার কপালে পিস্তল ঠেকায় এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এস. আই রেজাউল করিম বলেন, বাদী পক্ষ বিষয়টি আমাদেরকে জানালে প্রথমে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়ি চিল্লাফাল্লা শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। আমার হাতে পিস্তল ছিলো। তবে কারো দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামী ধরা সেহেতু সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশানে যাইনি। সদর উপজেলা বিশ্বরোড এলাকার বাদী এসে বাড়িতে আসামীর অবস্থানের কথা জানালে সেখানে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। যারা প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্ত কাজ শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দিব।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো অফিসার যদি আসামী ধরতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা বিষয়টির গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী মোঃ রবিন চৌধুরী (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথ বাহিনী গতকাল ৭ অক্টোবর সোমবার রাত ১টায় শহরের উত্তর মৌড়াইলের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রবিন চৌধুরী উত্তর মৌড়াইলের মৃত খবির চৌধুরীর ছেলে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, ছিনতাই, নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় সে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামী। সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।