অনলাইন ডেস্ক :
ভবিষ্যতে কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সবই মুছে গিয়েছিলে। আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রেখেছিলেন। আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা প্রদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘১৯৭৩-২০২৩ এ রেট্রোস্পেক্টিভ’ শীর্ষক নির্বাচিত চিত্রকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে আবার কেউ যেন কখনো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি, আজ আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে সেই চেতনা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।
তিনি বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়, আবার সঙ্গে সঙ্গে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়; একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আর আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হবে, দেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, চিত্রশিল্পীদের তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠে আমাদের প্রকৃতি, আমাদের দেশের নানা চিত্র। আমাদের ইতিহাস যেমন ফুটে উঠে, সেইসঙ্গে দরিদ্র মানুষের দৃশ্যগুলো উঠে আসে। আমি ’৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পীর একটা সম্মেলন করি।
সেখানের কয়েকটি শিল্পকর্ম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি নিজেও একটি কিনে নিই। তার সঙ্গে কয়েকটি উপহারও পাই। আমাদের পরিকল্পনা কমিশনে, যেখানে বসে উন্নয়নের পরিকল্পনা করি, সেখানে সেই চিত্রটি লাগিয়ে রেখেছি। আরেকটি আছে গণভবনে। এগুলো আমাদের সঙ্গেই থাকে।
শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, শাহাবুদ্দিন আমার ছোটো ভাইয়ের মতো।তিনি প্যারিসে বাস করেন কিন্তু তার হৃদয় বাংলাদেশে থাকে। আমি মনে করি সে সবার মধ্যে অন্যতম, শ্রেষ্ঠ। কারণ সে হৃদয়ে ধারণ করে, সে যে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, এখনও সে মুক্তিযোদ্ধাই। সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই তার শিল্পকর্ম। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কুয়েতপ্রবাসীর বাসায় ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে একদল ‘ডাকাত’। এ সময় ফ্রিজে থাকা গরুর মাংসও নিয়ে গেছে তারা। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী কুয়েতপ্রবাসী ফারুক হোসেন ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ৪ ভাই। আমিসহ ৩ জন কুয়েতপ্রবাসী। আমাদের ৪ ভাইয়ের পরিবারই ঢাকায় থাকে।
রামগঞ্জের বাড়িতে আমার বাবা আলী আহম্মদ ও মা হোসনেয়ারা বেগম থাকেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার সময় ডাকাতদল একতলা ভবনের ছাদে ওঠে। একপর্যায়ে সিঁড়ির রুমের টিনের চালা খুলে তাদের কেউ একজন ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সিঁড়ির রুমের দরজা খুলে তারা বাসায় ঢুকে তার বাবা-মাকে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে অচেতন করে রাখে।
পরে আলমারিতে থাকা এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাসায় থাকা কম্বলসহ বিভিন্ন মালামাল ও ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে ডাকাতদল।’
করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেছি। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এটি ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা পল্টন থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইড হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাশেদুল কাওসার জীবন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুর রশিদ ভূইয়ার ছেলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা, কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে ভাংচুর, হত্যাসহ বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা বিএনপি কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এই মামলার অন্যান্য আসামী ও আটককৃতসহ ৫/৬ শ লোক ত্রাস সৃষ্টি করে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিবর্ষন করে। ওই সময় এতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ওই ঘটনার সময় মকবুল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মামলা রুজু হয়। মামলা নং- ৪৮। ওই মামলায় তাকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। পরে আজ রোববার তাকে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রিপন দাস জানান, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কসবা থানায় কোনো মামলা হয়নি। তাকে ঢাকার পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।
মাহবুব হোসেন বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছ থেকে তিন ফসলি জমিতে উন্নয়ন ও স্থাপনা তৈরির কাজের জন্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে। সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে ভবন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোনো তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না এবং প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হিসেবে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার বিধান রেখে ওষুধ ও কসমেটিক আইন-২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী অসৎ উদ্দেশে ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে, কোনো নকল ওষুধ উৎপাদন ও জ্ঞাতসারে বিক্রি, মজুত, বিতরণ বা বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও মজুতের মতো অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা পেতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি প্রথমে শুধু ওষুধ আইন থাকলেও শেষে তাতে কসমেটিকের বিষয়টি যুক্ত করে ওষুধ ও কসমেটিক আইন করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে এখন থেকে কসমেটিক উৎপাদনের জন্যও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে অন্যান্য সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্তের বাইরে গিয়ে ওষুধ উৎপাদন, নিবন্ধন ছাড়া ওষধু উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, মজুত বা প্রদর্শন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি বা মজুত বা প্রদর্শন করলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড কিংবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধেরও বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে। এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেটি অপরাধ হবে এবং সেজন্য শাস্তি পেতে হবে। প্রস্তাবিত এই আইনে ৩০টি অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে কপিরাইট আইনের খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে সংজ্ঞায় কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাইরেসি প্রতিরোধেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বা কম্পিউটার ভিত্তিক কর্মকাণ্ডকে প্রস্তাবিত আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রস্তাবিত আইনে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
মুহূর্তের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল হৈ হুল্লোড় আর কোলাহল। আনন্দে মেতে থাকা লোকজনগুলো রাস্তায় পড়ে ছটফট করছিলেন। আবার কারো কারো নিথর দেহ পড়ে ছিল গাড়ির ভেতরে। রক্তে লাল হয়েছে পুরো মহাসড়ক। আনন্দ ভ্রমণ রূপ নিল বিষাদে। সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের ঘাসিরদিয়া নামক স্থানে পাথর বোঝাই ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেছে একটি পোশাক কারখানার ৭ জন কর্মকর্তার। আহত হয়েছে আরও ৪ জন। তাদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘাসিরদিয়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শোকে বিহব্বল হয়ে পড়েন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
নিহতরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী এলাকার মোতাহের হোসেনের ছেলে মীর নাজমুল হক সবুজ, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমিন খান, ঝালকাঠির পাড় গোপালপুর গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আল আমিন, জামালপুর সরিষাবাড়ির ধারাবর্ষা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহমেদ, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আবদুল আওয়াল, বরিশাল জেলার মুলাদী গ্রামের মো. মজিবর সিকদারের ছেলে রায়হান শিকদার ওরফে আরিয়ান (২৪) এবং মাইক্রোবাসের চালক নাসির।
আহতরা হলেন সাকিব আহমেদ (২৮), পারভেজ (২৯), দোয়েল (২২) ও মিথুন (৩৫)।
হতাহতরা সাভারের ইপিজেড এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা একটি ভাড়া করা হাইয়েস মাইক্রোবাসে করে সিলেট ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. তৌহিদুল আলম বলেন, রাত ৩টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে একজন মৃত ছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরো একজন মারা যায়। বাকি ৪ জনের অবস্থা গুরুত ছিল। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।
হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছি ট্রাকটি নিজের লেনেই ছিল, আর মাইক্রোবাসটি অন্য একটি লেনে পড়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটি অন্য কোন যানবাহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও হাসপাতালে ২ জন মারা যায়। আমরা ট্রাকটির চালককে আটক করেছি, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে।
চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই বিভাগের মধ্যে আন্তঃজেলা বদলি শুরু হচ্ছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে যা চলবে আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত।
আগামী ১৪ থেকে ১৫ মার্চ বুধবার শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার। এরপর ১৯ থেকে ২০ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। ২১ থেকে ২২ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনলাইনে নির্ধারিত সার্ভারে লগইন করে শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষকদের বদলির আবেদনের বিষয়ে চারটি শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর
শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে, কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বা দুইটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ ডিসেম্বর জারি করা সর্বশেষ সংশোধিত সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলির আবেদন ও কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে হবে। যাচাই করে পাঠানোর পর তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অধিদপ্তর আরো জানায়, আবেদনকারী শিক্ষকের পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর পছন্দকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তাই কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।