চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তার নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম হোসেন নেহালপুর গ্রামের শাকিব হোসেনের ছেলে।
দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম জানান, ইব্রাহিম সকালে তার বাড়ির উঠানে খেলা খেলছিল। এসময় উঠানে থাকা বিদ্যুৎচালিত পানির মোটরে হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় শিশু ইব্রাহিম। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর দশমিনায় বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী নিহত এবং বর ও বরের মাসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে এ ঘটনা।
নিখোঁজ বরের নাম রাব্বি হাওলাদার। তিনি উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে।
নিহত নারীর নাম লিপি বেগম (৩০)। তিনি বর রাব্বি হাওলাদারের ফুপু। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
বরের স্বজন মঞ্জুর এলাহী জানান, কয়েকদিন আগে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ির ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ডুবে যায়।
নিখোঁজ অন্যরা হলেন বরের মা সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) ও উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে হবিগঞ্জে বৃক্ষরোপন অভিযান ও জেলা বৃক্ষমেলা ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নিমতলায় হবিগঞ্জ বন বিভাগের আয়োজনে মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, সিলেট বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারেক রহমান বক্তব্য দেন। পরে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
এর আগে অতিথিরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ফুল, ফল, ওষুধিসহ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে ২০ স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করবেন।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা এ ঘোষণা দেন। গত ১১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা এ আন্দোলন করছেন।
আমরণ অনশন প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ মো. কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে দুই দফা পুলিশি কঠোরতার মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে আন্দোলনের সপ্তম দিনে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। ওই দিন শতাধিক লোক আহত হন। এতে আহত একজন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা কয়েকটি সংগঠনের শিক্ষক নেতাসহ একটি বৈঠক করেছেন। তাদের বেশিরভাগ সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তারা।
এছাড়া বৈঠকে আগে ও পরে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেও পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তিনি; কিন্তু শিক্ষকরা এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছেন। মর্মাহত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলনে আছেন। দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে। এখন তারা আজ (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে আগামীকাল (১ আগস্ট) আমরণ অনশনে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আইনের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এ আইনের খসড়া করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে খসড়ায় কি কি থাকবে, সেটা নিয়ে আজকে আমরা আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।
আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।
এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।
এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ গত ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই। আমার গোলায় যতক্ষণ খাবার আছে, ততক্ষণ আমরা চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফসল ফলাব, নিজের খাবার নিজেরা খাব, কেনাকাটা বা খরচ না হয় আমরা একটু কমই করব। কিন্তু নিজের দেশের মর্যাদা নিয়ে আমাদের চলতে হবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে কোনো প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করার মানসিকতা রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, অনেক রকম প্রতিবন্ধকতা আসবে। কারণ আমাদের শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না, দেশের ভেতরেও আছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বা ’৭৫-এর খুনি বা তাদের সন্তান-সন্ততিরা যারা রয়েছে, এরা কখনও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেবে না বা বাধাদেবে। শত বাধা অতিক্রম করেই আমরাএগিয়ে যাচ্ছি। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি। কিছু সমস্যায় আমরা আছি। রিজার্ভ নিয়ে অনেকে কথা বলে, আমি বলছি– অত চিন্তার কিছু নেই। নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল সৈনিক’ আখ্যায়িত করে দেশের অব্যাহত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের সজাগ থাকতে হবে, যাতে দেশের প্রতিটি উন্নয়ন অব্যাহত ও টেকসই হয়, এর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দিনরাত পরিশ্রম করে আজকে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি, তা থেকে বাংলাদেশ যেন কিছুতেই পিছিয়ে না যায়। ’৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর এবং সৈনিক হবেন আজকের কর্মকর্তারা। তখন তো আর আমরা থাকব না। কিন্তু দেশটা যেন এগিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতা হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। আর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেছিল। সেদিন আমরা আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ।’
তিনি অনুষ্ঠান থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন পাঁচটি প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন এবং ‘গভর্নমেন্ট এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-জিইএমএস’ সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারী ১৯টি ক্যাডার সার্ভিসের ৬০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে ‘মেধা সনদ’ তুলে দেন এবং তিনজনের মাঝে ‘মর্যাদা পদক’ বিতরণ করেন। ছয় মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে তাহসিন বিনতে আনিস শীর্ষ স্থান অর্জন করে রেক্টরস পদক লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারিদের পক্ষে চারজন শিক্ষার্থী বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন এবং শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর দুটি পৃথক ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে– সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (গভর্নমেন্ট এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-জিইএমএস), ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, নবনির্মিত টাঙ্গাইল সার্কিট হাউস, নবনির্মিত কুমিল্লা সার্কিট হাউস এবং বিপিএটিসির ১৫ তলা আধুনিক ডরমিটরি ভবন।