চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনদিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, স্থানীয় সরকার উন্নয়ন হলে, দেশ উন্নত হবে। সরকার স্থানীয় পর্যায়ে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা সকলের কাছে বেশী করে প্রচার করতে হবে। উন্নয়ন মূলক কাজের প্রচজারের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবদের গুরুত্বপূর্ন ভ‚মিকা রয়েছে।
তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলায় সদর উপজেলার ৩টি স্টল ও সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১১ স্টলসহ ১৪টি স্টল অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬০২টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজা। যা গত বছরের চেয়ে ১১টি বেশী।
এবছর জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৪৮টি পুজা হবে নাসিরনগরে। এছাড়া নবীনগরে ১৩৩টি, সদর উপজেলায় ৭৯টি, বিজয়নগরে ৫৭টি, কসবায় ৫২টি, সরাইলে ৪৮টি, বাঞ্ছারামপুরে ৪৬টি, আখাউড়ায় ২৩টি ও আশুগঞ্জে ১৬টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬০২টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে ৩৯৪টিকে সাধারণ ও ২০৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নাসিরনগরের ১৪৮টি মণ্ডপকেই সাধারনের তালিকায় রাখা হয়। আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সাথে জেলা পুলিশের অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। মূলত ‘ঝুঁকিপূর্ণগুলোকে’ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরে নেয় পুলিশ।
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ি, নাসিরনগরের পাশাপাশি কসবা উপজেলায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ নেই। সদর উপজেলার ৫৭টি, আশুগঞ্জের ১৬টি, সরাইলের ৩২, নবীনগরের ৪৬টি, বাঞ্ছারামপুরের ১২টি, আখাউড়ার ২০টি, বিজয়নগরের ২৫টি মণ্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।
পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত প্রস্ততি সভায় বক্তব্য রাখেন, সোমেশ রঞ্জন রায়, নির্মল চৌধুরী, সঞ্জীব সাহা বাপ্পী, নিতীশ চন্দ্র রায়, মন্টু রঞ্জন সাহা, সঞ্জয় সাহা, কার্তিক চৌধুরী, সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় নাসিরনগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বলেন, তাঁর এলাকার পুজা নিয়ে তিনি শঙ্কায় প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেনন, ২০১৬ সালের ৩০ মে নাসিরনগরে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল সেসব মামলার আসামীরা এখন জামিন পেয়ে ঘুরাফেরা করছেন। যে কারণে তাদের এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে পুজা করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারার শঙ্কায় সেখানে তিনি বাড়তি নজরদারির আবেদন জানান।
মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সার্বিক প্রেক্ষপটে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে গুজবে কান দেওয়া যাবে না। কিছু একটা ঘটলে আমাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’ যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জানাতে তিনি আহবান জানান।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত দুর্গাপুজার প্রস্তুতি মূলক সভায় বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কারণে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারীভনের সঞ্চানলায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরমান আরিফ, ৬০ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর জোবায়ের বিন জাবের, সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ, সাবেক অধ্যক্ষ বিভ‚তিভূষন দেবনাথ, সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল সাহা, সোমেশ রঞ্জন রায়, সঞ্জিব সাহা বাপ্পী, নিতীশ রঞ্জন রায়, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধন চন্দ্র চৌধুরী, কার্তিক চৌধুরী প্রমুখ। সভায় বলা হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরভাবে পুজা উদযাপনে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ মার্চ সোমবার বেলা ১১ টায় জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের তৃতীয় তলায় ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক।
সভায় ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক।
২০২২ সালের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর।
২০২৩ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া ও বিগত সভার কার্যবিবরণী পেশ করেন চেম্বারের সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
সভায় বিগত অর্থ বছরের কার্যবিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, সম্ভাব্য বাজেট উপস্থিত সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
অন্যান্যবারের ন্যায় ২০২৩ সালের অডিট রহমান কাসেম এন্ড কোম্পানীকে করার অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর এর মমতাময়ী মাতাসহ জানা অজানা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি তানজীল আহমেদ, সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল, চেম্বার পরিচালক মোঃ শাহজাহান মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, জাবেদুল ইসলাম সোহাগ, মোঃ জসিম উদ্দিন, তানভীর আহমেদ, মোঃ আল মামুন, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল খান, প্রদীপ চন্দ্র সাহা, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদসহ চেম্বারের সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
সভা পরিচালনা করেন পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু।
বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আগামীকাল ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট ডটকমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পিতবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্ত্বর থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন গণমাধ্যম কর্মী, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সামাজিব সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকাপোস্ট ডটকমের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাইজুর রহমান ফয়েজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রচার সম্পাদক ডা. খোকন দেবনাথ এবং আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু হামেদ বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান এবং নোঙর এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র এবং সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি এখন পজিটিভ বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খবরগুলোও উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো সবার আগে খবর পৌঁছে দিচ্ছে পাঠকদের কাছে। এক ক্লিকেই এখনকার ঘটনার খবর এখনই মিলছে। বক্তারা আরও বলেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সরকারের- সেটি বাস্তবায়নে ঢাকাপোস্টের মতো প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পরে আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ঢাকাপোস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
কেক কাটা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, মজিবুর রহমান খান, আশিকুর রহমান মিঠু, আজিজুর রহমান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, আবুল হাসনাত রাফি, আজিজুল সঞ্চয়, ইফতেয়ার রিফাত, মেহেদী নুর পরশ, আবুল হাসনাত অপু, মাফুকুর রহমান জ্যাকি, আনিসুল হক রিপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব¡ পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে, রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সকাল থেকেই মেড্ডা থেকে অবস্থান করি নিজ উদ্যোগে। যাতে যানজট না হয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবে। একজন পথচারী বলেন, মনে হচ্ছে দেশটি নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য আমরা খুবই খুশি দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর এই দিনটি পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতেও আরও বেশি ভালো লাগছে।
একজন রিকশা চালক বলেন, দেশটা নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। যাদের কারণে দেশ স্বাধীন হলো তারা আজ আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত: গত ৫ আগস্ট সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে শহরে জনগণের ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।