চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিষধর সাপের কামড়ে সোনিয়া (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টায় নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সোনিয়া ওই এলাকার মজনু খানের মেয়ে। সোনিয়া বিটঘর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
সোনিয়ার বাবা মজনু মিয়া জানান, তার মেয়ে সোনিয়া রাতে শখের বসে হাতে মেহেদী দিচ্ছিল। এসময় সোফায় বসা অবস্থায় একটি বিষধর সাপ তার বাম পায়ে কামড় দিলে সোনিয়া সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তারা সোনিয়াকে রাত ৯টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোনিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকেরা। সোনিয়ার পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই সোনিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল ২৮ জুলাই রোববার সকালে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার বসতঘর থেকে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত বেগম (২৫), কন্যা ফাহিমা আক্তার (৪) ও সাদিয়া আক্তার(২)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শোকের ছায়া নেমেছে পুরো নবীনগরে। সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র এই একটি পরিবার কীভাবে শেষ হয়ে গেলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ। তবে পরিবার ও প্রতিবেশীরা সেটি মানতে নারাজ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে বিজয় পাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের বাইরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফেরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ মিয়া। রোববার সকালে তারা ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাত ও অপর কন্যার মরদেহ খাটে পড়ে ছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে বা আর্থিক লেনদেনের কারণে সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা শেষে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন সোহাগ অত্যন্ত বিশ্বস্ত একটি ছেলে ছিলেন। তিনি একটি মসজিদের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। তার কাছে টাকা-পয়সা জমা থাকতো। এছাড়াও একটি সমিতির মতো করে আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব ছিল তার কাছে। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের সঙ্গেই লেনদেন ছিল তার। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে তিনি লেনদেন নিয়ে ইদানিং চাপে ছিলেন। কিন্তু এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পারিবারিক অশান্তির কারণেও আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচিন চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআইয়ের একটি টিম। যেহেতু মরদেহ যে ঘরে ছিল তা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল, তাই কেউ হত্যা করে ভিন্ন উপায়ে দরজা-জানালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিনা এসব খতিয়ে দেখছেন তারা। কিন্তু তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা যায় সোহাগ তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, সোহাগের বড় কোনো লেনদেন ছিল না, যার কারণে সে আত্মহত্যা করবে। সোহাগের স্ত্রী জান্নাতের বড় বোন তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। সোহাগ অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। আমার বোনের সঙ্গে কোনোদিন দেখিনি ঝগড়া বা বকাবকি করতে। তার ব্যবসায়িক কারণে লেনদেন করায় অল্প ঋণ ছিল। তা একেবারে কম। এছাড়া তার সৎ মা এক লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাস করা যায় না। সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমার ভাই ব্যবসা করলে ঋণতো থাকতেই পারে। তার ঋণ ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকার জন্য এ ধরনের কাজ করতে পারে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার রাধিকা সড়কে সিএনজি- মাইক্রোবাসের মুখামুখি সংঘর্ষে মোঃ শুক্কুর খাতুন (৬০) নামক এক বৃদ্ধার, মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বগডহর গ্রােেমর মৃত ফুলি মিয়ার ছেলে। ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে সারে ৫টা দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রাধিকা সড়কের ওয়ারুক গ্রাম নামক স্থানে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজি উল্টে গিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে।
জানা যায়, শুক্কুর খান তার আত্মীয় সিদ্দিক মিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চিকিৎসা শেষে সিএনজি অটোরিকশা যোগে নবীনগরে ফেরার পথে নবীনগর – রাধিকা সড়কের ওয়ারুক গ্রামে আসার পরপরই পিছন দিয়ে দ্রুতগতিতে আসা একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে সিএনজিটি ছিটকে খাদে পড়ে যায়।
এসময় সিএনজিতে থাকা শুক্কুর খান (৬০) লাপাং গ্রামের সিদ্দিক মিয়া (৭৫), আলমনগর গ্রামের ফরিদা বেগম (৬০), লহরী গ্রামের বিলকিস বেগম (৪২) গুরুতর আহত হলে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুক্কুর খানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত শুক্কুর খান এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাত ৮ টায় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাস জব্দসহ চালক লিটন ঘোষ (৪৫)কে আটক করা করেছে। নিহতের স্ত্রী হাসানা বানু থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, এই সড়কে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন সরকারি খাল ও জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাটি অন্য উপজেলায় বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছে।
এসময় গতকাল মঙ্গলবার রাতের আধাঁরে গুচ্ছ গ্রামে ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ারের সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান কালে, উপজেলার বাশারুকের আব্দুর রহমানের ৪টি ড্রেজার ও গাঙ্গেরকোর্টের মোমেনের ২টি ভেকুর ব্যাটারি জব্দ সহ ২ জন ড্রাইভার কে আটক করা হয়। এরমধ্যে দু’জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর দু’জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক বলেন, অবৈধ ভাবে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটিকাটার সময় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪টি ড্রেজার মেশিন, ২ টি ভেকুর ব্যাটারি,কিছু পাইপ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ড্রেজার প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।