চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুর সদর ও কালকিনি উপজেলায় একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে পথচারী শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়ন ও আলিনগর ইউনিয়ন, লক্ষ্মীপুর-পখিকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর হাসপাতাল ও কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে হোগলপাতিয়া এলাকায় বৃদ্ধা, নারী ও পুরুষ বাজারে ও শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়েছেন। কুকুরের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. সিহাব খান বলেন, রবিবার সকালে কুকুরের কামড়ের শিকার ৩০ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তাদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলেই নির্বাচন একতরফা নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসবে না বলেই নির্বাচন একতরফা হবে এটা ঠিক নয়, অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। একটি দলকে ঘিরে নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামত প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কারও নেতিবাচক কোনো মতামত দেখিনি। তবে বিদেশিদের মতামতে আমাদের মাথাব্যথাও নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাইরের কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের দেশের নির্বাচন, আমরা একটা স্বাধীন দেশ, আমাদের সংবিধান আছে, আমাদের সংবিধানের আলোকে আমাদের ইচ্ছায় নির্বাচন হবে। অন্য কারো নির্দেশ বা নিষেধাজ্ঞায় হবে না। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, নিষেধাজ্ঞা তাদের দেবে। আমাদের কেনো? আমরা তো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে।
এসময় মনোনয়ন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা গণতান্ত্রিক। সেটা হলো- আমাদের জনমত জরিপ, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে, এতে কার অবস্থান কী উঠে আসে। সব মিলিয়ে যার নম্বর বেশি, মনোনয়নে তাকেই বিবেচনা করা হয়। গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দেবো।
কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আলোচনা ইতিবাচক। তাদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া আছে বলে মনে হয়েছে।
‘সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নির্বাচন কমিশনকে আইনগত কাঠামো দিয়ে যুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংসদীয় আইনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আইনের সংস্কার করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশন ঢেলে সজানো, অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার নানান পদক্ষেপ আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, পৃথিবীতে গণতন্ত্রে পারফেক্ট কোন দেশ? তারাও সেটি আছে, বলে বলতে পারেনি।
একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো দলতো নির্বাচনে আসছে। একটা দলকে লক্ষ্য করে বা বিএনপি আসবে না বলে একতরফা হবে? আমার মনে হয়, এভাবে বলা সঠিক হবে না।
বুধবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। ১২টার পর শেষ হয় এ বৈঠক। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব) ফারুক খান, নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন, সদস্য সচিব এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির বাইয়ারা গ্রামে স্বামী-সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে দুই স্ত্রী অবস্থান করছেন। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে প্রবাসীর বাড়িতে তারা অবস্থান নেন।
ওই প্রবাসীর নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
জানা যায়, প্রবাসী মাহফুজ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে জেলার লাকসাম উপজেলার গাজীমুড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে সোনিয়া আক্তার মুন্নীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাহফুজ-মুন্নী দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন সংসার করার পর গত মার্চে চাঁদপুর জেলার বাবুরহাটের কাদের ব্যাপারীর মেয়ে আর্নি আক্তারকে চাঁদপুর কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন ওই প্রবাসী। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী মুন্নী কোর্টে মামলা করেন। এ মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের সাইদুল হকের মেয়ে রিমুর সঙ্গে বিয়ে হয়। শুক্রবার সকাল থেকে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে মাহফুজের বাড়িতে অবস্থান করে প্রথম দুই স্ত্রী।
এ সময় প্রবাসী মাহফুজের মাসহ পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিষয়টি জানার পর সংবাদ সংগ্রহ কর গেলে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন এসআই সাইফুল ইসলাম।
ভোক্তভোগীরা বলেন, আমরা স্বামী দাবিতে একত্রিত হয়েছি; কিন্তু এখানে আসার পর আমাদের মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে মারধর ও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রবাসী মাহফুজের মা কাউসার বেগম।
জোড্ডা পূর্ব ইউপির সদস্য জালাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা সমাধানে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তারা মামলা করেন।
এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের মামলার রায়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী মঙ্গলবার এ নিয়োগ দিয়েছেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি শপথ পড়াবেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন। ওইদিন তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সুপ্রিমকোর্টে অবকাশ চলায় গত ৩১ আগস্ট ছিল তাঁর শেষ বিচারিক কর্মদিবস।
প্রধান বিচারপতি সৌদিতে: এদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সোমবার বিকেলে সৌদি আরব গেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অনুপস্থিতিতে বা তার পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
জীবনী: আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত দুই নম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ওবায়দুল হাসান ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন ও সংবিধানে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের কৃতি সন্তান জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে তার র্কমদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ দমন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা, পুলিশ সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার “প্রসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (বিপিএম)” পদকে ভূষতি করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারডে গ্রাউন্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক এ পদকটি প্রদান করনে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, রেঞ্জ ডিআইজি, রাজশাহীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি পদক প্রাপ্তির জন্য জেলা পুলিশের সকল সদস্যের র্অজন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার সকল সহকর্মীসহ জয়পুরহাট জেলাবাসির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লষ্টি সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য র্কমসূচি হল–ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, প্রধান বিচিারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচবি এবং আইজিপির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সম্মেলন। আইজি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ।এছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধবিশেনে গত এক বছররে কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরর্বতী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ ৩ মার্চ শেষ হবে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ নুরে আলম বিগত ২০২২ সালের ২২ আগস্ট জয়পুরহাটরে পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করনে। মোহাম্মদ নূরে আলম অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন র্কমর্কতা পুলীশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও অপরাধ দমনে সাফল্য অর্জন, একই সাথে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা প্রতিটি ক্ষণইে বৃদ্ধি পায়। সেলক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবার সহযাত্রীর নাম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহযাত্রীদের টিকিট কেনা হবে, সেখানে সহযাত্রীদের নামও উল্লেখ করতে হবে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার থেকে এটি সংযোজন করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির সিইও সন্দ্বীপ দেবনাথ।
তিনি বলেন, আজ থেকে টিকিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযাত্রীদের নাম (জাতীয় পরিচয়পত্র/ ফটো আইডিতে দেওয়া নাম) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্রমণের সময় সব যাত্রীকে অবশ্যই তাদের এনআইডি/ফটো আইডি সঙ্গে রাখতে হবে।
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, ২/৩/৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সিট সিলেক্ট করার পরের স্টেজে গিয়ে প্যাসেঞ্জার এক- এর ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্ট দিয়ে সিলেক্ট করা হয়েছে, তার নাম বসানো আছে। প্যাসেঞ্জার ২/৩/৪ এর জায়গায় স্টার মার্ক করা একটি করে নামের জায়গা খালি রাখা হয়েছে। সেখানে নাম না লেখা পর্যন্ত ‘প্রসিড’ অপশন আসবে না। অর্থ্যাৎ টিকিটগুলো কেনার কাজ সম্পন্ন করতে নাম লিখতে হবে।
এর আগে গত ২২ মার্চ রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একজন যাত্রী ঈদের অগ্রিম টিকিট ও ফেরত যাত্রার টিকিট উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন নিবন্ধিত যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।