চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের নোয়াব মিয়ার স্ত্রী পারভীন আসমা (৩৭), একই ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের পূর্বপাড়ার লতিফ মিয়ার মেয়ে শিরিনা আক্তার বিউটি (২৩) ও ঠাকুরগাঁও জেলার শাসলা পিয়ালা গ্রামের মোতালিব মিয়ার মেয়ে রুমা খাতুন (২০)।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চাপিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা দুষ্টু (২৩) নামের এক হিজড়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩০ জুন শুক্রবার গভীর রাতে কসবা-আখাউড়া সড়কের গোপীনাথপুর বাজারের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সোহেল রানা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর ছেলে। তিনি কসবার গোপীনাথপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গোপীনাথপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ ১ জুলাই শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বন্ধ করার চেষ্টা করবে। আপনারা এক বাক্যে বলে দেবেন, আমরা নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টাকে মানিনা। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। সারা বিশ্ব দেখতে চায় আপনারা আমাদের ভালবাসেন কিনা?’
আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পেছনের দরজা ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। তাই তারা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে আসেনি। ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের বাধার মুখে ভোট হয়েছে, ২০১৮ সালেও হয়েছে। দেশে-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল, যা আন্দোলনের মুখে দেড় মাসও টেকেনি।’
দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেবেননা আপনারা। দেশকে যাতে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগই সৃষ্টি করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা লাভ করুক। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’
জনগণের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভালবাসেন এবং আমিও আপনাদেরকে ভালবাসি এটা বলার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাদের সেবক, ছোটদের অভিভাবক। আপনারা আমাকে ভালবাসেন এই গণসমাবেশ আপনাদের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে। তাই আপনারা সকলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
গোপিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়া বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৮ কেজি গাঁজাসহ সাইফুল ইসলাম জয় (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকবহনকারী একটি অটোরিক্সাও জব্দ করা হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কসবা পৌর এলাকার তালতলা ব্রীজের উপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম জয় কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ির মোঃ গোলাম মোস্তার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে কসবা তালতলা ব্রীজের উপর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় তল্লাশী চালিয়ে ১৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।