চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে বন্ধের সময় স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। পূজার ছুটি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তরপূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হলো লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার।
আজ ২২ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে নয়াদিল্লির ফোরকোর্টে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এর পরে শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এদিকে, আজ মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
মোদি-হাসিনা বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আজ শনিবার হাসিনার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে হাসিনার।
আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রিসে বৈধভাবে বসবাসে অনুমতি পেলেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া একটি সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই অনুমতি দিল গ্রিস।
ইউরপের দেশটিতে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল ১০ হাজার ৩৩৭ জন বাংলাদেশি। জাচাইবাছাইয়ের পর ১ হাজার ৯ জনের আবেদন শেনজেন ভিসা রিপোর্টের ভিত্তিতে বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫ হাজার ৯০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রিসে দুই বছর ধরে অবস্থান করা যেকোনো বাংলাদেশি আবেদনকারীর পাসপোর্টে ২ বছরের মেয়াদ থাকলে এই আবেদন করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তবে এই আবেদন করার আগে অ্যাথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছে আবেদনকারীদের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন চলেছে।
এই বছরও একই প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত ১১৩ বাংলাদেশি গ্রিসে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রী দিমিত্রিস কেইরিদিস এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন ২০২৪ সাল হবে বৈধ অভিবাসনের বছর। এই লক্ষে অভিবাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন শুরু করেছে দেশটি। গ্রিসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসন আবেদন নিষ্পন্ন করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজয় দিবসে যথাযথ নিয়মে পতাকা উত্তোলনে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়া হয়েছে। আখাউড়া নববন্ধন খেলাঘর ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে খেলা খেলাঘর।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের সড়কবাজারে প্রধান অতিথি হিসাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ।
নববন্ধন খেলাঘরের সভাপতি সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, নববন্ধন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুটন বনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান সুমন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাংবাদিক মাসুকুর রহমান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ বলেন, পতাকা উপহার দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটি আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সফরের পর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতিতে অগগ্রতির আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরি শহর পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবারই তিনি ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনসহ কিবুতজ বেইরি পরিদর্শনে যান।
গত ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেইরি শহরে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। পরিদর্শনের সময় এলি কোহেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান।
পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে নিজের পরিদর্শনের বিষয়ে একটি পোস্ট দেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি লেখেন, আমি নিজের জন্যই জায়গাটি পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু শুনেছি এবং দেখেছি যা কখনই ভুলব না।
ওই পোস্টে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে ‘অগ্রগতির’ আশা প্রকাশ করেন। ক্যামেরন লিখেছেন- আজ এমন একটি দিন যেখানে আমরা মানবিক বিরতির অগ্রগতি দেখতে আশা করি। এটি জিম্মিদের বের করে আনা ও গাজায় সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করার সুযোগ, যেখানে মানুষ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলেও পোস্টে জানান পশ্চিমা বিশ্বের এ নেতা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডেভিড ক্যামেরন তার সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে, কখন, কোথায় তাদের এ সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ইতিহাসের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক বিপর্যয় পেরিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পথে আরো এক ধাপ এগিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ঋণের বিপরীতে সুদের হার কমানোর যে নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে— তাতেই মিলেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রী ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সুদের হার ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ করার নির্দেশনা দিয়েছে। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে ঋণের বিপরীতে আড়াই শতাংশ কম হারে সুদ কেটে রাখবে।
সামঞ্জস্য রক্ষা করতে অবশ্য সমপরিমাণ সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে স্থায়ী আমানতের বিপরীতেও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ১৩ শতাংশ সুদ দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আগে এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক (সিবিএসএল) জানিয়েছে, ২৫০টি বেসিস পয়েন্টে ঋণের বিপরীতে সুদের হার কমানো হয়েছে। মূলত জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সচল করতেই নেওয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।
অযৌক্তিক কর কাট-ছাঁট, অব্যবস্থাপনা, আয়ের তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি ও করোনা মহামারির সময়কার অর্থনৈতিক স্থবিরতার জেরে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাওয়ায় ২০২১ সালের শেষ দিকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দেশটির মূল্যস্ফীতি পৌঁছে যায় ৭০ শতাংশে। ডলারের মজুত না থাকায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সে সময়।
রাজাপাকসে ভাইদের নেতৃত্বাধীন সরকারের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনাই মূলত এজন্য দায়ী। জনগণের প্রবল বিক্ষোভে গত জুন মাসে রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় রাজাপাকসে সরকার। সেই থেকে একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও অর্থমন্ত্রী উভয় পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বিক্রমাসিংহে।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে জরুরিভিত্তিতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণের (বেইল আউট ঋণ) আবেদন করে বিক্রমাসিংহের সরকার। দেশটির অর্থনীতির গতিবিধি যাচাই শেষে গত মার্চে সেই ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ।
কলোম্বভিত্তিক এশিয়া সিকিউরিটিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীওয়া ফেরনান্দো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নিয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা সম্ভবত চলমান এই অর্থনৈতিক সংকটের শেষ পর্যায়ে আছি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিবিএসএল’র গভর্ণর পি. নন্দলাল বীরাসিংহে রয়টার্সকে বলেন, ‘আসলে সংকট থেকে উত্তরণের ব্যাপারটি ধাপে ধাপে ঘটে। আমরা কেউই বলতে পারি না যে আগামী কাল কিংবা আজ থেকে এক বা দু’সপ্তাহের মধ্যে আমরা সব ঠিক করে ফেলতে পারব।’
‘তবে বর্তমানের যে পরিস্থিতি, তা বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি – শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সংকট থেকে উত্তরণের ধারাবাহিক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে কিংবা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক গতি ফিরে পাচ্ছে।’