খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

রাজনীতি, 18 September 2023, 392 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।

মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওইদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে। খালেদা জিয়া এখন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী Read more

একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, Read more

সন্ধ্যা রাতে নেশাসক্তদের আড্ডা, দেয়াল ভেঙ্গে…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি চর্চার প্রধান অঙ্গন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ Read more
ফাইল ছবি

চিকিৎসা শেষে শেষে কাজে ফিরেছেন ড.…

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Read more

কবির কলম এর ১৫ বছর পূর্তিতে…

চলারপথে রিপোর্ট : সাহিত্য সংগঠন কবির কলম এর ১৫ বছর Read more

সাংবাদিক আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্মরণে দোয়া…

চলারপথে রিপোর্ট : জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী Read more

বিজয়নগরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে পুরস্কার…

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ) নির্বাচিত Read more

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ৯ ঘণ্টা পর…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ Read more

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

সরকারী সকল শূন্যপদে নিয়োগের দাবীতে জেলা যুব মৈত্রীর বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 2354 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রী। সমাবেশে উচ্চশিক্ষা শেষ করে সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষার প্রহরের পর প্রহর গুণতে যুব সমাজের মাঝে হতাশা তৈরি হওয়া নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়। দেশকে এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে দেশের অর্থনৈতিক ও চালিকাশক্তি কর্মকা-ে জড়িত করতে সরকারের সকল শূনপদগুলো দ্রুত পূরণের আহ্বান জানানো হয়।

জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাড. মো. নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি কমরেড ফজিলাতুন্নাহার, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আল আমিন, জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ খান ও কাজী তানভীর আহমেদ শিপন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে যে পরিমাণ চাকুরি প্রত্যাশী তার তুলনায় চাকুরির সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। শ্রম মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এই কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি আর ৯৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের। উচ্চশিক্ষা শেষ করে অনেকে সরকারি চাকুরির জন্য অপেক্ষা করেন বছরের পর বছর। একাধিক বিসিএস এবং একের পর এক সরকারি চাকুরির পরীক্ষা দিতে দিতে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল চাকুরির সুবিধা পরিবারে পরিবারে পৌঁছে দেওয়া। যেখানে রাজস্ব খাতভুক্ত পদের বড় সংখ্যা শূন্য থাকে, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের এ প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে সরকারী ৩লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৩৭ শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরী করা ও বেকার ভাতা চালুর দাবী জানান।
সমাবেশে যুব মৈত্রীর দাবীর সাথে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু

আশুগঞ্জ, রাজনীতি, সরাইল, 6 January 2023, 2036 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু । বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান তার মনোনয়নপত্র জমা নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসময় অন্যান্যের মধ্যে সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনার, সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, সরাইল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি (১) আতাউর রহমান পিন্টু, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনসুর আলী দানা, জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, শাহাজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, শাহজাদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর প্রমুখ।
এ সময় মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, সরাইল এবং আশুগঞ্জের সর্বস্ত্ররের জনগনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ সরাইল-আশুগঞ্জ উন্নয়ন বঞ্চিত। সারা বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে তার ছিটেফোটাও সরাইল আশুগঞ্জে নেই। যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তারা আশানুরুপ উন্নয়ন করতে পারেনি। আমি দীর্ঘ ৪৬ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করছি। আমার জনগণ এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামীলীগের জেলা-উপজেলার সকল ইউনিটের নেতৃবৃদ্ধ আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমি সকলের সমর্থন,বিশ্বাস-ভালবাসা নিয়ে আগামী ১তারিখ আমি জয়যুক্ত হব, ইনশাল্লাহ্। আমি সততা এবং নিষ্ঠার সাথে আমার দ্বায়িত্ব পালন করব। আমি অবহেলিত জনপদের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ আসনে ৯ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 17 December 2023, 536 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।

জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।

আমরা ক্ষমতায় গেলে এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 2417 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের দশ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয় ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের পুনিয়াউটস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, পল্টনে বিএনপির জনাতঙ্কের ভয়ে পল্টনে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে বলেন, তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত। ছাত্রলীগকে পকেট মার এবং মোবাইল চোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ভারে মঞ্চ থেকে ধপাস করে ভেঙ্গে পড়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এমনিভাবে একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙ্গ পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তাদের ২৭ দফা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কেন করবো? আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিনা ভোটের ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে একে দলীয় একটা বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে পরিণত করেছে, যে ভবিষ্যতে কোনো সংসদে এটি পরিবর্তন করা যাবে না। এটিকে বেআইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ। সংবিধান সংস্কার করার এখতিয়ার রাখতে পারেন না। এই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো।
তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত সময়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষকে ও বিপক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সামনে এনে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা জাতিকে বিভক্ত করা থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমরা সকলকে দেখিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকার অধীনে অবাধ সুস্থ নির্বাচন না হবে, ততদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সুযোগ দিতে হবে। সংবিধানের মালিক জনগন। জনগণ তার মালিকানা হারিয়েছে। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেই সময়কার নির্বিচনে প্রায় সকল আসনের জয়লাভ করেছিল। দু-একটিতে ন্যাপ ও জাসদের প্রার্থী জয়লাভ করলেও পড়ে তাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি তার পিতা অলি আহাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার পিতা সেই সময়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের ফলাফল বদলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয় দেখানো হয়েছে। সেই থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ভোট কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হয়ে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা নাই। তিনি কেবল জানাজা পড়েন আর ফিতা কাটেন। এর বাইরে তার আর কোন কাজ নেই। এই ফিতা কাটা আর জানাজা পরা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বের করে নিয়ে আসবো আমরা। যেখানে আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত করবো। টানা দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। এছাড়া আমরা বলেছি, সংসদকে আমরা দুই কক্ষে বিভক্ত করবো। একটি হবে উচ্চকক্ষ অপরটি হবে নিম্নকক্ষ। সংদকে কার্যকর করার জন্যে এই উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে দেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন লুটপাটের সর্ব রাজ্য। বিদ্যুৎ খাত, ব্যাঙ্ক খাত, রাস্তাঘাট অবকাঠামোগত খাতে লোটপাট করা হচ্ছে। সে জন্য কমিশন গঠন করবো। শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত আদালতে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সভাপতি যে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন একজন জজ সাহেবকে, এটা আদালতে চলতে পারে না। তিনি আদালতের সমালোচনা করে বলেন, আপনারা বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখলে জামিন দেন না। সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন। এখন এর জন্য আপনারা দায়ী।
মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মীর্জা ফকরুল অত্যন্ত সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাকে রাত ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। তাকে চারদিন ধরে কোন ডিভিশন দেওয়া হয় নাই। হাইকোর্ট রিট করে ডিভিশন নিতে হয়েছে। তার নাম না থাকায় সত্ত্বেও তিনি জামিন পাননি। এটাই বাংলাদেশের আদালতের অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরী করবো। সেই বিচার বিভাগ দল মত নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করবো। কারণ প্রশাসনে তো এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নাই। পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ, বিচারক বিচারক লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
রুমিন বলেন- আমরা মিডিয়া কমিশন গঠন করবো, মিডিয়া কিভাবে পক্ষপাত মূলক আচরণ করে। পক্ষপাত মূলক খবর পড়ে। তিনি টকশো প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনারা টকশো গুলো দেখেছেন, কতটুকু ধোকা দেয় তারা। আমরা দু’একটা কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের চ্যালা, আওয়ামী লীগের দলের একজন বক্তা কথা বলা শুরু করে দেয়। এরকম মিডিয়া আমরা চাই না। আমরা নিরপেক্ষ মিডিয়া তৈরি করবো। তিনি বলেন, ডিজিটাল এ্যাক্ট এর ভয় দেখিয়ে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তথ্য কমিশনার চাপ দিয়ে মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ধরনের চাপ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে হবে না।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে গুম, খুন, নির্যাতন, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি বিচার করবো।
শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করতে গিয়ে ফকির হয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি জমা বিক্রি করতে হচ্ছে। সে অবস্থা থেকে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবো।
সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারান সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল: ওবায়দুল কাদের

জাতীয়, রাজনীতি, 29 September 2023, 810 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সোনালি অর্জন– সেগুলো হতো না। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।

‘সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে’

এর আগে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। আমরা তো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করব। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়।

দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার পড়ে ক’জন? সেটা খেয়াল রেখে ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সামনে কঠিন সময়, জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রিসভা ছোট কি বড় হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে গতবারের মতো যেভাবে আছে, সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আর কারও কিছু করার নেই। সেই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত তারা নেবে না।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারের মূল ফোকাস থাকবে শিল্প খাত। ছোট শিল্প প্রসারের পাশাপাশি ভারী শিল্পের দিকেও যেতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি থাকবে। সেবা খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।