চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন অভিযোগে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিত রায়সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ও ডাক্তারের সদন না থাকা এবং অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ভলাকুট মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন তালুকদার ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে এক লাখ টাকা ও সনদ না থাকায় ডাক্তার আব্দুল মতিনকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাতেন জানান, এটা শুধু নামেই মডেল ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ভিতরে কিছুই নাই। সেজন্য আজকে জরিমানা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন। ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানি প্রতিরোধে জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম তা’লীমুল কোরআন ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার বার্ষিক প্রতিযোগিতা ও অভিভাবক সম্মেলন আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেঠাগ্রাম হাফেজিয়া নুরানীয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ হুসাইন আহমেদ খান।
মাদ্রাসার দাতা সদস্য হাজী শেখ মোহাম্মদ তজু মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ শাহজাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা জসিম রাজা চৌধুরী, মাওলানা মহিউদ্দিন খান, হাজী আবেদুর রহমান, হাজী হাবিবুর রহমান মাষ্টার, মোঃ দারু মিয়া চৌধুরী, শেখ মোঃ আহাদ মিয়া, শেখ মোঃ আজদু মিয়া, মৌলভী ফাইজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপারে শুধু শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল হলেই চলবে না, অভিভাবকগণকেও শিক্ষার্থীর প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে কোরআন তিলাওয়াত, হিফজুল হাদিস, আরবি, বাংলা ও ইংরেজি বক্তৃতা ও বির্তক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকে গণডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিক্সা আটকে এর যাত্রীদেরকে মারধোর করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোর ও দায়ের কোপে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতদের হামলায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল শুনতে সেখানে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ওয়াজ শুনে ভোর রাত ৪টার দিকে মুসল্লীরা অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে। পরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেয়ে ডাকাতরা সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের হাতে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারারো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া বলেন, খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে শুক্রবার ভোররাতে অটোরিক্সা যোগে বাড়িতে আসার সময় চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের অটোরিক্সা গুলো আটক করে। পরে আমাদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে এক যুবক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। তিনি বলেন, তাদের সাথে প্রায় একশত যাত্রী ছিলো। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধোরে কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হন। তিনি বলেন, শুনেছি এই রাস্তায় প্রায়ই অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়। এই রাস্তায় রাতের বেলা টহল পুলিশ থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতোনা।
এ ব্যাপারে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলী ও ইউপি সদস্য মোঃ হাবিব মিয়া আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, শুনেছি ভোররাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে পাঁচ বছর আগে বড় ছেলে রমজান আলীকে কুয়েতে পাঠান ফারুক মিয়া। চার বছর পর অবস্থা একটু ভালো হলে নতুন বাড়ি করার পরিকল্পনা করে রমজান। বাবার কাছে টাকা পাঠিয়ে সেমিপাকা ঘর করতে বলে। এর কিছুদিন পর দেশে এসে বিয়ে করে। কিন্তু এবার বিদেশে ফিরে ঘর থেকে মা-বাবাকে নেমে যেতে বলে এবং তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় রমজান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের পরও স্ত্রীসহ অন্য সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন ৭০ বছর বয়সী ফারুক মিয়া। শনিবার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাঁকেসহ পরিবারের ৯ সদস্যকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের। আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারুক ও তাঁর স্ত্রী ছায়েরা বেগমকে (৬৫) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ওই দিনই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন আহত অন্যরা। আহতরা হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে সরাজ মিয়া (২৫) ও রায়হান মিয়া (৯), মেয়ে বিলকিস আক্তার (১৫) ও জান্নাত আক্তার (১২), ফারুকের চাচাতো ভাই শাহেদ মিয়া (৬৫), ভাতিজা আনোয়ার মিয়া (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৫)।
ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমরা বুড়া-বুড়ি অনেক কষ্ট কইরা রমজানরে কুয়েত পাঠাইছি। আমরা তারে বাড়ির জায়গা লেইখ্যা দেই নাই। এ কারণে পোলার বউ দুই দিন পরপর থানা থেইক্যা পুলিশ আইন্যা আমরারে হুমকি-ধমকি দিয়া ডর লাগায়। শনিবার পুলিশ আইন্যা আমাদের ঘর থেইক্যা বাইর হইতে চাপ দেয়। আমরা বাইর হইতে না চাইলে পুলিশ লাডি দিয়া পিডায়। আমারে বাঁচাইতে আইলে দুই পোলার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগায়। পরে আমার বউ আর ছোট দুইডা আবুইদ্যারে (দুই শিশুসন্তান) মারধর করে। পুত হইয়্যা পুলিশরে টাকা দিয়ে বাপরে লাঠিপিডা করাইল! এইডা চিন্তা কইরা আমার ঘুম হয় না।’
ছায়েরা বেগম বলেন, ‘পুলিশ ও আমার পোলার বউ একসঙ্গে চাতলপাড় ফাঁড়ি থেইক্যা নৌকা দিয়া আইছে। নৌকাত থেইক্যা নাইম্যাই আমার জামাইর হাতে হাতকড়া পড়াই লাইছে। হেরপর ইচ্ছামতন লাডি দিয়া পিডাইছে। আমারেও মারছে। আমরা পুলিশরে বেশি টাহা দিতাম পারছি না। রমজান বেশি টাহা দিয়া বাড়িত পুলিশ আইন্যা আমরারে মাইর খাওয়াইছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, ফারুক মিয়ার পারিবারিক সমস্যা আমরাই সমাধান করতে পারি। পুলিশ কেন একপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের মারধর করবে?
এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘গোপন খবরে জানতে পারি, জেসমিন আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করছে ফারুক মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। তাই আমরা গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেছি। এ সময় কাউকে মারধর করা হয়নি। তারা নিজেরা মারধর করে আহত হয়েছে।’
নাসিরনগর থানা ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোরে জেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম মিন্টু (৮২) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ১ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নাসিরনগরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম মিন্টু (৮২) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কুলিকুন্ডা আশরাফিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশের একটি চৌকস দল।
এ সময় বিউগলের করুণ সুর বেজে উঠে, এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম মিন্টুর কফিনে পুষ্পমাল্যদান করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহরাব মোল্লা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রফিজ মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে জানাযা শেষে কুলিকুন্ডা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম মিন্টু সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।