চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আকিজুল মুন্সী (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার মান্দারতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, আকিজুল মুন্সীসহ তিনজন গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট যাচ্ছেলেন। এসময় লিংক রোড থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে আকিজুল মুন্সী ঘটনাস্থলে নিহত ও দুইজন আহত হন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকরা কি লিখছেন তা নজরদারী করে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে কোন রোগী বের হলেই ১০-১২ জন প্রতিনিধি রোগীকে ঘিরে ধরে রোগীর হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে। বিষয়টি কি বা কেন তা বুঝতে পারে না রোগীরা। অনেকে ভয় পায় বিব্রত হয়। বিভিন্ন চেম্বারের সামনে দেখা যায় রোগীর চেয়ে প্রতিনিধির সংখ্যা বেশী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানী তাদের ওষুধ লেখার জন্য চিকিৎসকদের নানা উপঢৌকন দেয়। পরনের পোষাক, বেল্ট, সুগন্ধি, টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, খাতা কলম, এমনকি নগদ অর্থ উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে চিকিৎসকরা সে সব কোম্পানীর ওষুধ লিখে কিনা তা দেখতেই রোগীর কাছ থেকে ব্যবস্থা পত্র নিয়ে টানাটানি হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের বিপরীতে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে এমনি এক দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় এক রোগীরা অভিযোগ করেন, হাত থেকে ব্যবস্থা পত্র টেনে নেয়ার ঘটনায় প্রথমে ভয় পেয়ে গেছি, বেশ কিছুক্ষণ দাড়াতে হয়েছে বিষয়টি বিব্রতকর।
ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এরোস্টাফার্মার মোঃ শাহীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চিকিৎসকদের আমাদের কোম্পানীর ওষুধ লিখার জন্য অনুরোধ করি, সেটা লিখেছে কি না, তা দেখতে ছবি তুলেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
আঘাতের তীব্রতা দেখে এবং হামলার নৃশংসতার কথা শুনে শেখ হাসিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি তিনি। পরিদর্শনকালে আহতদের চিকিৎসায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুর রহমান।
গত কয়েকদিনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটর (পঙ্গু হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নেন এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।
এছাড়া সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ মে শুক্রবার ঢাকায় ২ দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধনকালে তিনি এই আহবান জানান। এ সময় তিনি টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে প্রত্যাবাসনে সক্রিয় বৈশ্বিক সহায়তা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। আমি ষষ্ঠ সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে সামুদ্রিক কূটনীতি গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সম্মেলনে তিনি সমুদ্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়াদান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ চলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার অনুশীলনকে সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
শেখ হাসিনা শান্তি সংস্কৃতি এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন জোরদারের আহবান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঠেকিয়েছে। এখন আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে বহু শতাব্দী ধরে সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এবং এই দেশ অনেক আঞ্চলিক প্ল্যাটফরমে সক্রিয়। বাংলাদেশ ভারতীয় মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের কাউন্সিলেরও সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পুরোনো ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে। আমরা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য আমাদের ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি সহনশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অন্য সব দেশও একই কাজ করবে বলে আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকান অঞ্চলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬৪% এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৬০% রয়েছে। অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন দূরদর্শী নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ‘মেরিটাইম জোন’র সীমানা নির্ধারণ করতে, সীমানার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের সুবিধার্থে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। এই আইনটি সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২ গৃহীত হওয়ার ৮ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল, যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে উপলব্ধি সীমিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের থিম ‘শান্তি, অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধি : একটি সহনশীল স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে’ খুবই উপযুক্ত ও সময়োপযোগী। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে এ থিমটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবজাতির টিকে থাকার জন্য শান্তি অপরিহার্য। এটি সারা বিশ্বে নারী ও পুরুষের গভীরতম আকাংক্ষার প্রতিফলন। সেই ভাষণে তিনি ভারত মহাসাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসাবে বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রবল প্রবক্তা হয়ে উঠেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রাকের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাদি ফকিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং পূর্বমারা এলাকার মো. মনির (৪৫) ও প্রাইভেটকারচালক মো. মাহবুব (৪০)।
আহতরা হলেন- মৌসুমি (৩০), মাহাতাফ (৮) ও মেজবা (৫)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে পাঠান।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার গাড়ি দুইটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেট মহানগরী ও আশপাশ এলাকায় ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে হয় এই ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিলো ৪ দশমিক ৬। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
সিলেট আবহাওয়া অফিস এতথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটারের দূরে ভারতের ডাউকি নামক স্থানে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা আতঙ্কিত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে চলতি মাসের ১৪ আগস্ট রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটের দিকে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার কাছাকাছি বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।বাসস