অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরে এলাহি মিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ড. জৈন জনস্বাস্থ্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ-ব্রাউন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিক্যাল ক্যানসারের পরীক্ষা করছে।
ড. জৈন আরো বলেন, তারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীদের রেকর্ড রাখার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিককে ইলেকট্রনিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট চালু করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারত্ব গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে ল্যান্ড রেকর্ডকে ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ ৮ জুন শনিবার নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজীকরণের জন্য সরকার একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের ভূমি আছে বা ভূমি ক্রয়-বিক্রয় করলে ভূমির নিবন্ধনের পাশাপাশি বিদ্যমান দখলে কে আছে, ভূমি কর কে দেবে এসব বিষয়গুলো সহজ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে উদ্যোগ সে উদ্যোগগুলো অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন সে দায়িত্বটুকু পালন করে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার কারণে আমরা এখন ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা প্রদান, ই-নামজারীর আবেদন ও ভূমির অবস্থানসহ ভূমি সংক্রান্তে সকল ধরণের সেবা গ্রহণ করছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীরা বড় অবদান রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদান রয়েছে। এখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন, জনমত সৃষ্টি করেন, এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ জনগণই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। কারণ বিএনপি যখন নির্বাচনে আসবে না, কেউ যাতে নির্বাচনে না আসে, কেউ যেন ভোট না দেয় এর জন্য লিফলেট বিতরণ শুরু করল। এই লিফলেট বিতরণের পরে ঘটনা উল্টো হয়ে গেল, মানুষজন আরও উৎসাহিত হলো, আমাদের ভোট দিতেই হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই ক্ষেত্রে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, কোনোরকম দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, একটা অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়– সেই প্রচেষ্টাই আমাদের ছিল। যার কারণে একের পর এক নির্বাচনে সংস্কার আমরা নিয়ে আসি। কারণ সেনা শাসকরা যখন একের পর এক ক্ষমতা দখল করে তখন তারা নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা শুরু করেছিল। সেই জায়গা থেকে মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার সেই আন্দোলন-সংগ্রামটাই আমরা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, যেটা ২০২৪ সালে কার্যকর করার কথা ছিল, সেটা আমরা দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এরপর ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, শিশু-নারী হাসপাতালে আক্রমণ করা। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। এভাবে একটা জাতিকে ধ্বংস করা, নারীদের ধ্বংস করা, এটা এক ধরনের গণহত্যা। আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি, আগামীতে পাঠাব। এরপর আবার ইয়মেনে আক্রমণ। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। মিয়ানমার যখন অশান্ত হলো, তারা আশ্রয় চাইল, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যুদ্ধে যাইনি। কারণ আমরা শান্তি চেয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আজ এই যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিকভাবে আমি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই বলেছি, এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে ওই টাকা শিশুদের খাদ্য, শিশুদের চিকিৎসা, শিশুদের শিক্ষায় ব্যয় হোক। মানবকল্যাণে ব্যয় করা হোক, যে দেশ এই টাকা ব্যয় করছে, সেই টাকা তো ওই দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা, তাদের টাকা ধ্বংসের জন্য কেন ব্যয় হবে, ধ্বংসাত্মক কাজে কেন ব্যয় হবে, মানবকল্যাণে ব্যয় হোক। আজ শিশুরা কষ্ট পায়, নারীরা কষ্ট পায়, মানবজাতি কষ্ট পায় সে ধরনের কাজ করতে হবে কেন। আমরা এর ঘোর বিরোধিতা করি, আমরা কখনো যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অফিসে তারাই তালা দেয়, তারাই ভাঙে। তারা বলে চাবি হারিয়েছে, চাবি খোয়া গেছে। চাবিটা গেল কোথায়? তারাই তো তালা দিয়েছে। তাদের চাবি হারাবে, তারাও পথ হারাবে। তারা এখন পথ হারানো পথিক হয়ে গেছে। জানি না তাদের সাংগঠনিক কোনো যোগ্যতা আছে কি না, একটাই আছে আগুন দেওয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবারপ্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এর আগে ১১ মার্চ সোমবার রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সোমবার সকালে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তার আগে ১০ মার্চ রবিবার রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় ডোবার পানিতে ডুবে মিনহাজ নামে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিহত মিনহাজ খেলা করার সময় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় মিনহাজ।
স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে তাকে ভাসতে দেখে। দ্রুত উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাহিদূজ্জামান সূর্য জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প তার অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রেতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই ট্রাম্প প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে এক আদেশের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করেন।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।
আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।’