অনলাইন ডেস্ক :
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপির চলমান আন্দোলন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কুমিল্লা কোর্টে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের এক দফার আন্দোলন চলছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করেই আমাদের আন্দোলন শেষ হবে।
রিজভী বলেন, এই মামলার হাজিরা আমরা নিয়মিত দিচ্ছি। আগেও দিয়েছি এখনও দিচ্ছি। তবে এই মামলা যারা দিয়েছে বিরোধী দলের শক্তিকে খর্ব করার জন্য। বালুর ও কাঠের ট্রাক দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল উনি এসে নাকি এই চৌদ্দগ্রামে বাস পুড়িয়ে দিয়েছিল? এই ঘটনা ঘটার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আগে আমাকে আটক করে কারাগারে রাখা হয়েছিল। তাহলে বুঝতে হবে এটা পরিকল্পিত অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা তার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করার জন্য সারাদেশে ৪৫ থেকে ৪৯ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এটাও তারই একটি অংশ। এগুলো করে লাভ হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এক দফা আন্দোলন শুরু হয়েছে।
তবে এই সরকার দেড় যুগ ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। দেশের মানুষকে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করছে।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু ছেয়ে গেছে। ডেঙ্গু রোগীকে একটা স্যালাইন দেওয়া যায় না। স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না।
আর শেখ হাসিনা ফ্লাইওভার দেখায়। এগুলো হচ্ছে তার ভণ্ডা মি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনিক মাসুদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। তবে বিএনপি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিদায় করলেও চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। কারণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরতে পারেননি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ.বি.এম মোমিনুল হক প্রমুখ।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছে, কারণ নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে না।
বর্তমানে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সন্ধ্যার পর ঢাকা শহরে মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। তাই এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার থাকলে প্রশাসন এবং পুলিশ শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা সঠিকভাবে চলতে সংঘবদ্ধ শক্তি হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই মানুষ এখন ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নবগঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামল বলেছেন, সামনে কঠিন পরীক্ষা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একেক সময় একেক কথা বলছেন। তারা বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত সংস্কারের কথা বলছেন তা তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে রয়েছে। তারপরেও যদি কোন সংস্কার করেনসটি হল সঠিক নির্বাচনের সংস্কার। সেই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আগামী দিনে এই নির্বাচিত সরকার সকল সংস্কার করবে। এই শাহবাগের সংস্কার বাদ দিয়ে আগারগাঁওয়ে আমাদের সংসদ আছে সেই সংসদের মাধ্যমে সকল সংস্কার করুন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে কাটাতে হবে। আজ ১৫ মে বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টেংকেরপাড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কর্মীরা এমন কাজ করবো না যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাই। এই আওয়ামীলীগ তিনটি নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ছাড়াই ভোটার বিহীন নির্বাচন মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন। এই আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সাথে থাকে নাই। এই আন্দোলন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদদের জন্য একটি শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, জনগণ বিরোধী যারা কাজ করবে, তাদের পরিণতি এরকমই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, এবিএম মোমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, সাবেক আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা কবীর আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে পূর্ব ঘোষিত আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে বিকেল ৩টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলার নয় উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রঙবরঙের বিভিন্ন ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন বাদ্য বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয়। বিকেল ৪টায় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ র্যালি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের টেংকের পাড় পৌছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ার হোল্ডিং ৪ কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ার হোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত ৫ বছরের দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০টাকা। এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।
এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা ও অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার। মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে এক হাজার ৭৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
এর মধ্যে সরাসরি ১০৬০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এতে দলটির আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।