চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সড়ক বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সরকার নির্ধারত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পিঁয়াজ ও আলু বিক্রি করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন।
আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল আদালকে সহযোগিতা করেন আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বাজারে আলু সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি করছিল ব্যবসায়ীরা। আদালতের অভিযানে সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সতর্কও করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ১২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ‘মোনালিসা ন্যাপকিন’ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পারশা নামে একটি এনজিও’র আয়োজনে বয়সন্ধিকালীন নারীর স্বাস্থ্যরক্ষা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে এসব ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হয়। এটি বসুন্ধরা গ্রুপের মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিন এর একটি সমাজসেবামূলক উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পারশা এর সভাপতি মাহবুবা আলম।
সহকারি প্রধান শিক্ষক কাজী ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার (হাইজিন ও কয়েল) মোহাম্মদ কারিমুল আরাফাত, আখাউড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র, ডা. অভিজিৎ চক্রবর্তী, ডা. কামরান উদ্দিন আহমেদ, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের বয়সন্ধিকালীন নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ বিষয়ে নিজেদের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সচেতন থাকার জন্য আহবান জানানো হয়। পরে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণহত্যাসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গণসমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আখাউড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজার মুক্ত মঞ্চের সামনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ গোলাম ফারুক।
সমাবেশে কয়েক’শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া পৌর জামায়েতের আমির মোরশিদ আলম, পৌর জামায়েতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান কাশগরি, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আজিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ সিফাত উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি বৈঠা দিয়ে পৈশাচিক ভাবে পিটিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাশের উপর নৃত্য করেছিল। কথিত বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে আলেম ওলামাসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার নির্দেশে অসংখ্য ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা অফিস।
আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
এসময় তৈরি পোষাকের দোকান, কসমেটিক্স ও মাংসের দোকান অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রির অপরাধে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী ঝমঝম ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা করা হয়। তাছাড়া এক দরের দোকান ব্যতীত তৈরি পোষাকে মূল্য ট্যাগ না লাগাতে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা হয়। মাংসের দোকান মালিককদেরকে মাংসে কৃত্রিম রং ব্যবহার না করতে বলা হয় এবং মূল্য তালিকা টানানোর জন্য সচেতন কনে অভিযানকারী দল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক বাজারের অধিকাংশ কাপড়ের দোকানে কাপড়ের গায়ে মূল্য ট্যাগ লাগানো আছে। ক্রেতারা দরদাম করে ক্রয় করছেন। এক দরের দোকান না হলে এটা করা যাবে না এ ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেছি। রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রিয় করায় এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখে আমাদের অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবির।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে একটি হেলথ ডেস্ক খোলা হয়েছে। ভারতের আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেক পর্যটককে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীরা পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। গত ৭ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খানকে সঙ্গে নিয়ে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কার্যক্রম দেখেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির ফলে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাছাড়া গলা ব্যাথা, সর্দি, কাশি আছে কিনা জানতে চাই। তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন ৭০-৮০ জন পর্যটক বাংলাদেশে আসে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিদর্শনা অনুযায়ী ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক। এখানে আমরা কিছু যাত্রীকে বিনামূল্যে মাস্ক দিয়েছি। এছাড়াও এ বিষয়ে সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে আমরা তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করবো।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, সম্প্রতি আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে একটি স্ক্রিনিং বুথ খোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা ভারত থেকে আসা পর্যটকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে দুজন করে স্বাস্থ্য কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীর জন্য।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
একটি প্রভাবশালী মহল ফসলি জমির পাশে খাল দখলে নিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে জমির পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকরা।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর মৌজায় বুড়িবিলের পাশে ৫ শতাধিক বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লার ছেলে মো. তাহের মিয়া ও একই গ্রামের হাজী আবুল কাশেমের ছেলে মো. রাসেল মিয়া বিগত কয়েক বছর পূর্বে চরনারায়ণপুর মৌজাতে কিছু জমি ক্রয় করে জমিগুলোর পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণ করে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। যার ফলে ওই এলাকার শত শত বিঘা কৃষি জমিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুস্ক মৌসুমে পানির অভাব সৃষ্টির হয়ে জমিগুলো চাষে অযোগ্য হওয়ার উপক্রম। ভুক্তভোগী কৃষকরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চড়াও হয়ে ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দেন তারা। এ চক্রটির দাপটে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। নিরীহ কৃষকদের জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
সম্প্রতি আবারও জমি কেটে পুকুর নির্মাণ শুরু করেছে তাহের মিয়া। কিন্তু পুকুরের পাড় নির্মাণের কারণে পুকুরের পেছনের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি থেকে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাবে। আবার বর্ষাকালে পানি সরাতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। ফলে শত শত বিঘা জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে।
খাল দখলের ফলে ভুক্তভোগী কৃষক লিয়াকত আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার এখানে প্রায় ২৮ বিঘা জমি রয়েছে। চারদিকে ঘুরিয়ে যে বাঁধ দিচ্ছে এতে করে আমাদের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে পরেছে। এ বাঁধের ভেতরে শত শত বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। চাষাবাদ না করতে পারলে আমরা না খেয়ে মরব।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল খালে মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ দিয়েছে। আমরা বাঁধা দিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের বাঁধা মানে নাই। তারা বলেছিল ব্রীজ করে দিবে কিন্তু ব্রিজ করে দেয় নাই। এ জন্য জমির পানি নিষ্কাশন হয় না। আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তাহের মিয়া বলেন, এখানে কোনো খাল নেই। নিজের জায়গায় বাঁধ দিয়েছি। এতে করে কৃষকদের কোনো ক্ষতি হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, চরনরায়ণপুরে ৫০০ বিঘা জমি রয়েছে। ২০১৯ সালে কৃষকরা ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। স্যারের নির্দেশে আমি তদন্ত করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে উঁচু বাঁধের কারণে কৃষকদের জমিতে পানি আসা-যাওয়া বাঁধাগ্রস্ত হয়। এখানে যদি আবারও বড় বাঁধা তৈরি করা হয় তাহলে কৃষি জমির ক্ষতি হবে। সেচের অভাবে জমিগুলো খালি পড়ে থাকবে। এটা কৃষির জন্য হুমকি স্বরুপ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, কৃষকদের যাতে ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, কৃষকদের একটি দরখাস্ত পেয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।