চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সড়ক বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সরকার নির্ধারত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পিঁয়াজ ও আলু বিক্রি করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন।
আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল আদালকে সহযোগিতা করেন আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বাজারে আলু সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি করছিল ব্যবসায়ীরা। আদালতের অভিযানে সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সতর্কও করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-আখাউড়া উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারসহ ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বিএনপির পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত ছয় দিনে বহিষ্কৃতরা হলেন, কসবা উপজেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য এবং সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মেহাম্মদ ইলিয়াস, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আশরাফ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর, বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, ছিদ্দিকুর রহমান ও সদস্য নাদিরুজ্জামান ভূইয়া, কসবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন এবং আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ ভূইয়া ও বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নাদিরুজ্জামান।
তবে মোহাম্মদ ইলিয়াস উপজেলা বিএনপি ও পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সদস্য। তাকে দুই পদ থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও গত ছয় দিনে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন, খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সানু মিয়া, কায়েমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান আহ্বায়ক প্রার্থী খাজা আহমেদ, বায়েক ইউনিয়ন যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খুরশেদ আলম (মাইক), খোরশেদ আলম, কসবা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফুল মিয়া, তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, পৌর শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল মিয়া, রাজু আহমেদ, মো. অপু আলম, শিমুল মিয়া, এন আপেল, মো. হাফিজ উদ্দিন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, কসবা টি আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সজিব শ্রাবন।
বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীরা বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর কসবা উপজেলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানের জনসভা ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটিতে কবির আহমেদ ভূঁইয়ার কোনো পদ নেই। কিন্তু তিনি এই আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মাঠে সরব রয়েছেন। তাই মুশফিকুর রহমানের জনসভায় যোগ দেওয়ায় কবিরের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি, জায়গা ও দোকান দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাদের আঁতাত রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সভা-মিছিলে তারা ছিলেন না। তাই কারণ দর্শানোর আওতায় আনা হয়েছে। উত্তর না দিলে তারা বহিষ্কৃত হবেন। আমরা কি চাইব দলের সক্রিয় কর্মীকে বাদ দিতে। মুশফিকুর রহমানের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে অভিযোগ সত্য না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য আট কর্মকর্তাকে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
গতকাল ১৪ মে মঙ্গলবার সকালে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারের কাছে লিখিতভাবে এ আবেদন জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন। অভিযোগে পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার নিয়ন্ত্রিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই সরকারি কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া (আনারস প্রতীক)। ইতিমধ্যে মুরাদকে সমর্থন দিয়েছেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা। তাঁর অনুসারীরা মুরাদকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে এলাকায় প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
লিখিত আবেদনে মো. মনির হোসেন অভিযোগ করেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. তাকজিল খলিফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়াকে সমর্থন দিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে পৌরসভা কার্যালয়েও সভা করছেন। সভা-সমাবেশে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। মেয়র তাকজিল খলিফার নিয়ন্ত্রণাধীন চার প্রতিষ্ঠান হলো আখাউড়া পৌরসভা, জাহানারা স্কুল অ্যান্ড স্কুল, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সিরাজুল হক উচ্চবিদ্যালয়। তিনি উপজেলার ওই তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। মেয়রের নিয়ন্ত্রিত এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভোটের দিন নিজেরা যেন সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরেন, সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে তথ্য রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অনেকে গোপনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনির হোসেনের কাছে তথ্য দিচ্ছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রত বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন।
পৌর মেয়রের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পেলে নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারেন বলে মনির হোসেন আশঙ্কা করছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তাকজিল খলিফার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনকে নির্বাচনের দায়িত্বে না দেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
লিখিত আবেদনে যে আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আখাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর হাসান, উপসহকারী প্রকৌশলী ফয়ছেল আহাম্মদ খান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মো. ইকবাল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হাসেন ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ইউসুফ নুরুল্লাহ। তাঁরা অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে নাম উল্লেখ করা সরকারি ছয় কর্মকর্তার মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিব্রত। তাঁরাও চান না, নির্বাচনের দিন তাঁদের কোনো দায়িত্বে রাখা হোক। আর রাখা হলেও প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে কিংবা তাঁদের বাদ দেওয়া হোক।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুরাদ হোসেনের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। প্রতিনিয়ত সরকারিসহ দলীয় প্রতিষ্ঠানে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। ভূরিভোজসহ আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না মেয়রের অনুসারীরা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আখাউড়ার ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন। সেখানে আমাদের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার নাম রয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আরজু মিয়া (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। দুপুরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। পলাতক আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরজু মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সন্ধ্যায় আখাউড়া পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে আবার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদল,সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ বহু নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়।
মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।আতশবাজির মুহুর্মুহ শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি এলাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রাসেল মিয়া (২৫) নামে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম। এর আগে রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল একই ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে রাসেল পরিবার নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি হিরাপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিকালের দিকে সে সবার অজান্তে বিষপান করে। বিষের যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। সন্ধ্যায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিষপানে জামাইয়ের আত্মহত্যা খবরটি শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।