চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় তিতাস নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে গিয়ে নৌকা ভেঙে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নৌকায় থাকা ইউএনও, এসিল্যান্ড ও থানার ওসিসহ স্টাফরা পানিতে পড়ে যান। পরে তারা সাঁতরে তীরে উঠে প্রাণে রক্ষা পান। গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার কাঞ্চনপুরে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা কয়েকজন জানান, সদর উপজেলার কাঞ্চনপুরে তিতাস নদী থেকে রাতে অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। গোপন খবরের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি নৌকাযোগে তিতাস নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের স্থানে যাচ্ছিল। নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর মাঝে ভেঙে ডুবে যায়। এতে নৌকায় থাকা ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসিসহ সবাই পানিতে পড়ে যান। মধ্যরাতে অন্ধকারে নদীতে এ ঘটনা ঘটায় এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। পরে তারা সাঁতরে নদীর তীরে ওঠেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, আমি ভেবেছিলাম কাছাকাছি কোনো জায়গায় যাবে। নৌকা উনারাই নিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নৌকাটি অনেক নড়বড়ে ছিল। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত আজ ৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কনফারেন্স রুমে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন। ডাক্তার মাহমুদুল হাসান এর উপস্থাপনায় “স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে : কাজ করি একসাথে” শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুমন ভূঁইয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেন ডাক্তার খোকন দেবনাথ। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সিনিয়র স্টাফ নার্স (শিশু বিভাগ ইনচার্জ) মোছাম্মত হেলেনা বেগম, নার্স মোছাম্মত রুনা আক্তার, হেলথ এডুকেটর মোঃ শরিফুল ইসলাম। পরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জেনারেল হাসপাতালে আগত রোগী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। উভয় কর্মসূচীতে অতিথিবৃন্দসহ ডাক্তার আজহারুর রহমান তুহিন, ডাক্তার শামীমা সুলতানা, ডাক্তার মারুফ হোসেন, ডাক্তার হিমেল এবং সাংবাদিক ও নার্সগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান জনসংখ্যা অনুপাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শয্যা (বেড) সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজনের ১০ ভাগের এক ভাগ মাত্র। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে আরো উন্নত করতে হবে। আমাদের স্ট্রাকচারাল উন্নয়ন হয়েছে। এখন দরকার মানসিক উন্নয়ন। দেশ থেকে মেধাবী সন্তানেরা চলে যাচ্ছে বিদেশে, এই একেবারে যাওয়াটা আমাদের জন্য দেশের জন্য ক্ষতির কারণ। স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে মোটিভেট দিয়ে রোগমুক্ত করতে হবে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন বর্তমানে শিশু মৃত্যু হার, মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে। পুষ্টিমান বেড়েছে, এই পুষ্টিমান বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সেবা গ্রহিতা ও সেবা দানকারীদের মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য সেবার মানকে বাড়িয়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে এ আয়োজন কর হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সাংবাদিক শাদাত হোসেন এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, আবৃত্তিকার সোহেল আহাদ, ফাহিম মোন্তাসির, চিত্রশিল্পী দিপ্ত মোদক, সাংবাদিক শফিকুল আলম প্রমুখ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল ও রানার্সআপ হয়েছেন নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় বিতর্ক ক্লাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্য বই তুলে দেয়া হয়েছে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সকালে শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধদেশ গড়া। আজকের শিশুরা আগামী দিনে দেশ গড়ার কারিগর। যদি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দেয়া না হয়, তাহলে ২০৪১ সাললের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব হবে না। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনেই কাঙ্ক্ষিত বই পেয়ে শিক্ষার্থীরাও খুশী। নতুন বই পেয়ে স্থানীয় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অন্বেষা পাল বলেন, নতুন বই পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। বই পেয়ে আমি খুব খুশী হয়েছি।
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া রহমান বলেন বছরের প্রথম দিনেই বই পেয়ে আমরা বেশ উচ্ছসিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ২শ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ লাখ ১২ হাজার ১০৫টি বিতরন করা হবে।
আর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৪৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ লাখ ১ হাজার ২৫০টি বই বিতরন করা হবে।
ভাদুঘরে পৌরসভার বিজয় মেলা’র উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে প্রথমবারের মতো ১৫-৩১ ডিসেম্বর ২০২২ “বিজয় মেলা” এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ভাদুঘর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। আজও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু মূল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এর মূলে ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করেছিল সেই যুদ্ধে। কিন্তু যারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করেছে, যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি এবং যারা ধর্মান্ধ- সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল, তারাই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানের বিরোধীতা করেছে। এখনো তারা বিভিন্নভাবে স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করছে। তাদের থেকে সকলে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি ভাদুঘরে বিজয় মেলার আয়োজন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা মেয়র মিসেস নায়ার কবির ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ভাদুঘরের উন্নয়নে শহর রক্ষা বাধ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে ভাদুঘরের বিভিন্ন উন্নয়নে পৌর মেয়রকে সুদৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর থকে শুরু হওয়া বিজয় মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রতিদিন অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন পণ্যের স্টল ও লাকি কুপন লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফিরোজুর। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তী সময়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোজুর রহমান।
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে ইসি। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।