চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে উপজেলার প্রথম স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলো ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়। এর ফলে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ও শতবর্ষী এ বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ সাইফ উদ্দীন আহম্মদ শিবলী, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেখসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯৬৬জন ছাত্রছাত্রী এবং ২১জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। স্মার্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন থেকে এ বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা, অনলাইনে বেতন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আইডি কার্ড পাঞ্চ করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও প্রাণবন্ত পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার। এ কার্যক্রম চালু হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন।
বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, পরীক্ষার আগে পরীক্ষা ফি গ্রহণ করলেই মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে অভিভাবকরা নিশ্চিত হতে পারবে। জানতে পারবে তাদের সন্তানেরা স্কুলে কখন যাচ্ছে, কখন স্কুল থেকে বের হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সময় মতো উপস্থিতির মূল্যায়ন রিপোর্ট, পরীক্ষার সিট প্ল্যান, পরীক্ষার ফলাফল, বেতন ফি জমা দেওয়ার ভোগান্তি কাটিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সব কিছুই সহজে করা যাবে। অন্যদিকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্লাবসহ স্মার্ট বিদ্যালয়ের সব সুবিধাই এখন থেকে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে।
অভিভাবক জয়ন্ত দেব বলেন, বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। বিদ্যালয়ের সবকিছুই এখন ঘরে বসে সহজেই জানতে পারবো।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শায়ন্তী রায় জানান, আমরা খুবই খুশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে ডিজিটাল করার যে স্বপ্ন দেখছে। আমরাই হবো স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম হাতিয়ার।
ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেখ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাননীয় সাংসদ বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি মহোদয়ের সার্বিক পরামর্শে এ বিদ্যালয়টিকে স্মার্ট বিদ্যালয়ে রুপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। আশা করি এর ফলে বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার অনেকাংশেই বাড়বে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সৈয়দ সাইফ উদ্দীন আহম্মদ শিবলী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পরই থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই বিদ্যালয়টি উপজেলায় একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এজন্য মাননীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়কে আমরা স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছি। আশা করছি পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট বিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন অভিযোগে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিত রায়সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ও ডাক্তারের সদন না থাকা এবং অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ভলাকুট মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন তালুকদার ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে এক লাখ টাকা ও সনদ না থাকায় ডাক্তার আব্দুল মতিনকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাতেন জানান, এটা শুধু নামেই মডেল ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ভিতরে কিছুই নাই। সেজন্য আজকে জরিমানা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন। ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানি প্রতিরোধে জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ছাত্রীদের উত্যক্তের ঘটনায় সাক্ষী হওয়ায় এক যুবক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২১ এপ্রিল রবিবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত হুসাইন মুন্না উপজেলার রতনপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক খুরশিদ আলমের ছেলে। গত বুধবার তাকে মারধর করে স্থানীয় ৫-৬ জন বখাটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলো– একই এলাকার মো. আল-আমিন, সাব্বির মিয়া ও মাসুম মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, চাতলপাড় ইউনিয়নের ইকরা দারুল কুরআন বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু যুবক তাদের উত্যক্ত করত। প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের হুমকি-ধমকিও দিয়েছে তারা। মাসখানেক আগে উত্যক্ত করার ঘটনায় অভিভাবক সুমন মিয়া সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। মুন্না ছিলেন ওই অভিযোগের দ্বিতীয় সাক্ষী।
ওই ঘটনার পর বুধবার মুন্নাকে স্থানীয় চকবাজারে মারধর করে ৫-৬ জন। এতে সে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। পরে প্রথমে তাকে কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ওই অভিযোগ তদন্ত করা পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, তদন্তে উত্যক্তের ঘটনার সত্যতা পাননি। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় মুন্নাকে স্থানীয় আল-আমিন, মাসুম, সাব্বিরসহ কয়েক যুবক পিটিয়ে আহত করে বলে শুনেছেন।
তবে মুন্নার পরিবারের দাবি, হত্যার উদ্দেশেই মুন্নাকে মারধর করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তদন্ত ভিন্নখাতে নিয়েছে।
মাদ্রাসাটির শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ উত্যক্তের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মাদ্রাসার ছাত্রীদের প্রায় সময়ই বখাটেরা উত্যক্ত করে। এর আগে আল-আমিন ও মাসুম উত্যক্ত করলে তাদের পরিবার মুচলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়। ফের উত্যক্ত করলে অভিভাবক সুমন লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি প্রথম ও মুন্না দ্বিতীয় সাক্ষী হন। সাক্ষী হওয়ায় মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশে মারধর করা হয়।
অভিযোগকারী সুমন মিয়া বলেন, আমি লিখিত অভিযাগ দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আল-আমিনের বড় ভাই শফিক মিয়া জানান, উত্যক্ত করার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে বুধবার মুন্নার সঙ্গে তার ভাইয়ের কথাকাটাকাটি হয়েছিল বলে শুনেছেন।
নাসিরনগর থানা ওসি সোহাগ রানা বলেন, ইউএনও অফিসে দেওয়া লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা তদন্ত করে। তবে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে অভিযুক্তরা মুন্নাকে মারধর করতে পারে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, মেডিক্যাল ট্যাকনোলজিষ্ট (ইপিআই)শাখাওয়াত হোসেন, সাংবাদিক সুজিত চক্রবর্তী, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, সাংবাদিক এসএম বদিউল আশরাফ মুরাদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রভাষক নির্মল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইন শৃংখলা কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূরে আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাস, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী, মোঃ জিতু মিয়া, পুতুল রানী দাস, রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, ফারুকুজ্জামান ফারুক, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, সফিকুল ইসলাম, আজহারুল হক চৌধুরী, মোঃ ফারুক মিয়া, রুবেল মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়া, মনসুর আহমেদ ভূঁইয়া, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রেজা, অধ্যক্ষ মাওলানা ইলিয়াছ মিয়া, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়াসহ আইনশৃংখলা কমিটির সদস্যগণ।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সরকারি খাস জমি অবৈধ দখল-উচ্ছেদ, মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক,নারী নির্যাতনসহ আইন শৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।