চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আজ ৪ জুন মঙ্গলবার সকালে জেলার নবীনগর উপজেলার ব্রাহ্মণহাত পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম।
আমন্ত্রিত বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যতিত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তারা আরো বলেন, একমাত্র তরুণ প্রজন্মই পারে দেশকে স্মার্ট আধুনিক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে। বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ অনুষ্ঠানে যোগদান করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের গড়ে তুলবে বলে শপথ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোসলেম সরকার (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোসলেম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ধনাশী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নাফ সরকার এর ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ধনাশী এলাকায় নবীনগর টু রাধিকা সড়ক পারাপার হওয়ার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি সিএনজি মোসলেম সরকারকে ধাক্কা দিলে সে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নবীনগর থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে কাকডাকা ভোরে, ঝড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে যথা সময়ে নবীনগরের পাঠকদের হাতে সংবাদপত্র তুলে দেওয়া সেই লোকমান হেকিম চৌধুরী (৭২) জীবনের শেষ দিনও দুপুর পর্যন্ত পাঠকের হাতে পত্রিকা তুলে দিয়ে রাতেই চিরতরে পাঠকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পরপারে চলে গেলেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)।
জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার নবীনগর উপজেলার একমাত্র সংবাদপত্র এজেন্ট ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও মারা যাওয়ার দিনও বিক্রি করেছেন পত্রিকা। মুত্যুকালে স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান।
আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
জানা যায়, লোকমান হেকিম চৌধুরী নবীনগর লঞ্চ ঘাটে বসে দীর্ঘ প্রায় ৫৭ বছর যাবৎ নবীনগরবাসীকে সংবাদপত্র পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, সংবাদপত্র ক্রয় করার জন্য লঞ্চ ঘাটে ছুটে আসতো নানা শ্রেনীর সংবাদ পাঠক। ঝড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে যথা সময় মানুষের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। যাকে নবীনগর প্রশাসনেরসহ সর্বস্তরের মানুষ কাছে চৌধুরী নামে পরিচিত ছিলেন। উনার একমাত্র ছেলে খান জাহান আলী চৌধুরী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। মারা যাওয়ার দিনও পত্রিকা বিক্রি করেছেন লোকমান হেকিম চৌধুরী। বিকেলে ঘুরে ফিরে দেখেছেন নিজের জমি জমা। রাতে একমাত্র ছেলে খান জাহান আলীকে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঔষধ খেয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে যায়। এর পর আর জেগে উঠেননি তিনি। নবীনগরের লঞ্চ ঘাটের সামনে উনার সংবাদপত্র এজেন্টের দোকানে সব সময় মানুষের একটা আড্ডা থাকতো। সদা রসিক এবং আড্ডা প্রিয় মানুষ ছিলন। তিনি পত্রিকার একজন সুনামধারী এজেন্ট হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। উনার কাজের সন্তুষ্টির কারনে উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সাংবাদিক এবং সামাজিক সংগঠন ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রত্যেক বছরই নানারকম পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
লোকমান হেকিম চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদে নবীনগরে শোকে ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ, নবীনগর প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিষধর সাপের ছোবলে মিনা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গ্রামে সাপের ছোবলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত মিনা ওই গ্রামের মাজু মিয়ার স্ত্রী।
মিনার পারিবার জানান, সকাল ৭টার দিকে নিজ ঘরে ভাতের মিটসেফের ওপর টর্চ লাইট রাখার সময় একটি বিষধর সাপ তার হাতে ছোবল দেয়। টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন মিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর মিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সাপের ছোবলে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, খবর পেয়েছি গ্রামবাসী বিষধর সাপটিকে ধরে মেরে ফেলেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বাঘাউড়া গ্রামের আলোচিত শফিকুল ইসলাম শফিনূরকে হত্যা মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে মানববন্ধনে অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় শফিকুল ইসলাম শাফিনূর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবি আরেক অন্যতম আসামি রবিউল সহ অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। মানববন্ধনে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে শাফিনূরের ভাই হাসান বলেন, গত বছর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে আমার ভাই খুন হয়েছে
আমার নিরপরাধ ভাইকে তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে, হাবি,রবিউল,হনিফেরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তারা মাদকের গড ফাদার,কিছু আসামী জামিনে বেড় হয়ে গ্রামের অস্ত্র নিয়ে মোহরা দিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করে আমাদেরকে নানান হুমকি দামকি দেয়, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে বিচার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারি গ্রামবাসীরা বলে সফিকুল ইসলাম শাফিনূর অনেক ভালো ছেলে ছিল সে একজন নিরপরাধ মানুষ তাকে যারা খুন করেছে তাঁদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. হাসান, মজিবুর রহমান, খুরশিদ আলম, মুমিনুল, বোরহান উদ্দিন, শহীদ মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. আবির, সোহেল মেম্বার, ডাঃ রোকোনুজ্জামান রোকন,ডাঃ আতাউর সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।