ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত আটক

জাতীয়, 24 September 2023, 1016 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

banner

আটককৃতরা হলো জেলার বাহুবল উপজেলার হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার পুত্র রুপন মিয়া (৩৮), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের দানু মিয়ার পুত্র ছালেহ আহমেদ (৩৩), একই এলাকার মৃত আমরু মিয়ার পুত্র আল আমিন (২৯), মো: লায়েক মিয়ার পুত্র মাহবুব মিয়া (৩২) ও মতি মিয়ার পুত্র তাবিদুল ইসলাম (২৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের এমন অভিযান চলমান থাকবে।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

দেয়াল চাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত

জাতীয়, 17 November 2023, 929 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে অব্যাহত বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটির দেয়াল চাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।

banner

আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।

নিহতরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মৌলভী বাজার মরিচ্যাঘোনার ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০) ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০) ও দুই মেয়ে নিলুপা (১৮) ও সাদিয়া (১১)।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে পাহাড়ের খাদে বসবাসকারি একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা চাপা পড়া মাটি সরিয়ে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, পাহাড়ের খণ্ড এসে বাড়ির পাশে পড়ে। এতে বাড়ির দেয়াল ধসে মাটি চাপায় হ্নীলায় একই পরিবারে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারকে প্রশাসনিক সহযোগিতা দেয়া হবে।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ

জাতীয়, 21 February 2025, 271 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিল স্বাধীনতার সোপান। পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি জাতি ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে। কিন্তু ৭৩ বছর পরে এসে প্রশ্ন উঠছে-গৌরবমময় সেই ইতিহাস আমরা কতটা সংরক্ষণ করতে পেরেছি। কিংবা এখনো করতে পারছি।

banner

সাত দশকেরও বেশি সময় পার হলেও ভাষাসংগ্রামী বা ভাষাসৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি। একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত ভাষাশহিদদের চূড়ান্ত তালিকা দেখতে পায়নি জাতি। কারা আমাদের গৌরবের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন-‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। সেইসব বীরদের পরিচয় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি দীর্ঘদিনেও। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও স্থাপনাগুলোও হারাতে বসেছে। চিহ্নিত বা সংরক্ষণ করা যায়নি সব ভাষাশহিদের কবর। রাজধানীসহ সারা দেশে এ ধরনের স্মৃতি নিদর্শনগুলোর সংখ্যাও সীমিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতিহাস ও চেতনার অভাব এবং সংরক্ষণে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে চোখের সামনে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিত পারি’-ভাষা আন্দোলন নিয়ে কালজয়ী এ গানের কথায় রয়েছে একুশ এবং একুশের ইতিহাসকে না ভোলার আকুলতা। সেই আকুলতা আজও জাগ্রত প্রতিটি বাঙালির মনে। আজ প্রভাতফেরি নামবে সারা দেশের পথে পথে। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে দেশের সব শহিদ মিনার। দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাগুলোর মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার পরেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলা ভাষার গৌরবের আন্দোলনে সম্পৃক্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশে এক বছর পরে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ১৪ নারীসহ জীবিত ৬৮ জনকে ভাষাসৈনিক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেখানে কিছু নামে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি ওই তালিকার। হাইকোর্টের নির্দেশনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব জেলায় কমিটি গঠন করে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির একটি বৈঠক হয়েছিল, যাতে কাজের পদ্ধতির জটিলতা নিয়েই শুধু আলোচনা হয়।

ভাষাশহিদদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে গবেষণাও থমকে আছে। ২১ ফেব্রুয়ারি কতজনকে কবর দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য নেই কারও কাছে। আজিমপুরে ভাষাশহিদদের কবরগুলোও সারা বছর অযত্ন-অবহেলায় থাকে। ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ নামের একটি সংগঠন গত কয়েক বছর ধরে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়ে আসছে। দাবিগুলোর মধ্যে আছে-শহিদদের কবর শনাক্ত ও ভালোভাবে সংরক্ষণ করা। শহিদ ও সংগ্রামীদের নামে চত্বর, তোরণসহ বিভিন্ন স্থাপনা, স্থান, সড়ক নির্মাণ ও নামকরণ করা। আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত রশিদ বিল্ডিং, শহিদ মিনার হয়ে আজিমপুর কবরস্থান পর্যন্ত সড়কটিকে ‘শহিদ সরণি’ বা ‘ভাষা আন্দোলন স্মৃতি সড়ক’ নামকরণ করা এবং নামফলক লাগানো। ১৮ নভেম্বর ভাষাশহিদ আব্দুল সালামের কবর সংরক্ষণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর একটি আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসক গোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসেন। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলে; সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। আহত হন অনেকে। সবার রক্তের বিনিময়ে বাংলা এ দেশের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়। যার ধারাবাহিকতায় পরে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্বের দেশে দেশে নানা ভাষা, নানা বর্ণ, নানা সংস্কৃতির মানুষ আজ গাইছে একুশের অমর গান- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি।

জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

জাতীয়, রাজনীতি, 31 July 2025, 157 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একইসাথে, দলের সিনিয়র নেতাদের বহিষ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

banner

আজ ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালত একে অপরের পরিপূরক আদেশও দিয়েছে। যার মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং অন্যান্য প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বহিষ্কারাদেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। এছাড়া তাদের স্বপদে বহাল থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আরিফুল রহমান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জসিম এবং এম এ রাজ্জাক খান।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। আদালত প্রমাণ করেছে, আইন ও ন্যায্যবিচার এখনো জীবিত। এই রায় দলীয় গঠনতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। জাতীয় পার্টি কখনও একক ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। এটি লাখো মানুষের রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্ল্যাটফর্ম। আজ আদালতের রায় আবারও গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনল।

হাওলাদার ঘোষণা দেন, এখন আমরা পার্টির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলব। পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে কাজ করব।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ

জাতীয়, 21 December 2024, 411 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে হওয়া এ আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ৮৫৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫১ জন। আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার প্রথম ধাপের এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহিদ বা আহত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪ জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহিদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।

banner

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদের মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনো তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ই-মেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এর আগে, শুক্রবার গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৮৫৮ জন শহিদের ভেরিফাইড তথ্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে পেয়েছি। এটা চূড়ান্ত নয়। এ ব্যাপারে কাজ অব্যাহত আছে। এদিন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে। তবে এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। পরে আরো তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও আমরা তালিকায় এনে ক্যাবিনেটে পাঠাবো।

২০২৪ সালের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে। এর পরই জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন পুনরায় জোরদার হয়। কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরবর্তী দিনগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে আন্দোলনকারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী, শিশুসসহ অসংখ্য মানুষ নিহত হন। আগস্টের শুরুর দিকে এই সহিংসতার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এত প্রাণহানির দায় অস্বীকার ও সহিংসতার জন্য অন্যান্য কারণকে দায়ী করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব ঘটনার জেরে কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে লাখো ছাত্র জনতা। সেই পরিস্থিতির মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান অনেক মন্ত্রী-এমপি-নেতা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে চালানো গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের এমপি-মন্ত্রী-আমলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পলাতক মন্ত্রী-নেতা, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

আবৃত্তি শিল্পী সংসদের একুশের পদাবলি অনুষ্ঠিত

জাতীয়, 19 February 2023, 1572 Views,

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে

চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কর্মসূচিতে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একুশের পদাবলি অনুষ্ঠান হয়েছে।

banner

স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।

প্রধান বক্তা ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।

বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক মাজহারুল করিম অভি, পথিক টিভির সিইও লিটন হোসেন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সুর তাল সঙ্গীত নিকেতন এর পরিচালক দেবাশীষ দেবু, বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন, উপস্থাপক আবদুন মতিন শিপন।

হাবিবুর রহমান পারভেজ ও নুসরাত জাহান জেরিন সঞ্চালনায় আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, হাবিবুর রহমান পারভেজ, নুসরাত জাহান বুশরা, লিটন হোসেন জিহাদ, পাবলো চৌধুরী, নুসরাত জাহান জেরিন,উৎস সরকার, সিয়াম আরামিন, নাবিল আবদুল্লাহ, সাহেবর জিয়াসমিন তাপসী, ফাহমিদা আক্তার, প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাচী, প্রাচুর্য চৌধুরী, লাভিয়া জান্নাত, অঅপসানা, ইসমাত নাভিলা, সামিহা, মারজিয়া প্রমুখ।