৩ লাখ টাকার চায়না দুয়ারি-কারেন্ট জাল ধ্বংস

জাতীয়, 25 September 2023, 913 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর মধুমতি নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১০০০ মিটারের অধিক চায়না দুয়ারী এবং অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে উপজেলার হরিহরনগর বাওর সংলগ্ন মধুমতির নদীর তীরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

banner

উপজেলা মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন জানান, উপজেলার হরিহর নগর বাওর এলাকায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মধুমতি নদী থেকে অবৈধ জাল দিয়ে ছোট ছোট রেনু পোনা ধ্বংস করে আসছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১০০০ মিটারের অধিক চায়না দুয়ারী এবং অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা ধ্বংস করা হয়েছে।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

অবৈধভাবে পণ্য মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

জাতীয়, 22 January 2023, 1541 Views,

ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

banner

সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।

উল্লে­খ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লে­খ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।

তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিক যাতে হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জাতীয়, 18 March 2024, 639 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

banner

আজ ১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনো ভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খবরটি জানার সাথে সাথে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সাথে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার তার জায়গায় কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

এ সময় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতার

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 September 2024, 706 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

banner

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 25 May 2024, 864 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আড়াই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) পরিচালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

banner

আজ ২৫ মে শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ কূপটি থেকে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী ১০ বছরে এ কূপ থেকে প্রায় ২৬শ’ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি উঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর গ্যাস কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তিতাসসহ দেশের পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড পরিচালনা করে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ৫২৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তিতাসের ১৪ নম্বর কূপসহ ৭টি কূপ ওয়ার্কওভারের প্রকল্প হাতে নেয় বিজিএফসিএল। এ প্রকল্পের আওতায় গত ১৯ মার্চ তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। ৭৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়ার্কওভার কাজ শেষে গত ২১ মে কূপটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়।

৭টি কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসমাইল মোল্লা জানান, ১৪ নম্বর কূপটি থেকে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে- যার বাজারমূল্য প্রায় ২৬শ’ কোটি টাকা। আপাতত দিনে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হবে। বাকি ৬টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এর ফলে শিল্প-কারখানাসহ যে কোনো খাতে গ্যাস সরকরাহ করা যাবে। সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে গ্যাসের সংকটও কমে যাবে। সবমিলিয়ে ১০০টি কূপের ওয়ার্কওভার ও খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজটি আগামী বছর থেকেই শুরু হবে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যতবার খুশি ট্রেনের টিকিট কেনা যাবে

জাতীয়, 10 March 2023, 1260 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির নতুন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে যে কোনো যাত্রী সপ্তাহে যতবার খুশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। আগের নিয়ম ছিল, কেউ সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবে না।

banner

সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কেনার বাধানিষেধ উঠে গেলেও, কোনো যাত্রী একই স্টেশন থেকে দিনে একবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

নতুন পদ্ধতির ব্যাখ্যায় রেল জানিয়েছে, কোনো যাত্রী ঢাকার কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট দিনে একবারই এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি কিনতে পারবেন। তিনি ওই দিন কমলাপুর থেকে আর কোনো ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। তবে চট্টগ্রাম থেকে একই দিনের ট্রেনের ফিরতি যাত্রার টিকিট কিনতে পারবে।

গত ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিয়ম বাস্তবায়নে এনআইডি দিয়ে আগাম নিবন্ধন করা যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। টিকিট পেতে হলে আগে অনলাইনে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই (ভেরিফাই) করতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সপ্তাহের দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে না পারার নিয়মের কারণে, যারা নিয়মিত ট্রেনে চড়েন তারা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাদের জন্য নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল।

নতুন নিয়মে আরেকজনের নামে কেনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যাবে না। যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কেনা হচ্ছে, তিনি আরও তিনজনকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তাকে অবশ্যই ট্রেনে থাকতে হবে। নয়ত চারজনকেই বিনা টিকিটের যাত্রী গণ্য করে জরিমানা করা হবে। টিকিটে থাকা নাম থাকা যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিতে ভ্রমণের এনআইডি বা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।