চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে একটি খালে প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সকাল থেকেই প্রাইভেটকারটি দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেছে। নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে উপজেলার কুড়িঘরে মহেশ সড়কের পাশের নান্দুরা খালে একটি প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি খাল থেকে পাড়ে তুলে আনে। একই সঙ্গে দমকল বাহিনীর সদস্যরা খালে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি মোবাইল ফোন ও শার্ট পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। প্রাইভেটকারটি থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপি আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ও মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপি এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এমএ মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবু মুছা, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রধান আলোচক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু কামাল খন্দকার।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাসেল, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজু, পৌর বিএনপি সভাপতি ওবায়দুল হক লিটন, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম বাশার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি জহিরুল হক বুলবুল প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শনিবার মহিলা কলেজ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নবীনগর প্রেসক্লাব পরিবারের মিলনমেলা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, স্মৃতি প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, শেষে স্মৃতিচারণ আলোচনা সভা ও ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিনী প্রিয়াঙ্কা সরকার, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)শুক্লা রানী ভট্টাচার্য, প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য জাকির হোসেন রাসেল, এম কে কিবরিয়া রিপন, তৌহিদুল ইসলাম, জাকারিয়া সরকার তসলিম, মোঃ মলাই মিয়া, মোঃ আতাউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সন্ত্রাসী হামলায় জামালপুরের বকশীগঞ্জের ৭১ টিভি ও বাংলা নিউজের নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুন শুক্রবার শেষ বিকেলে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাহাবুব আলম লিটন, আসাদুজ্জামান কল্লোল, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য, তাজুল ইসলাম, মেহাম্মদ হোসেন শান্তি, মিঠু সূত্রধর পলাশ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য টিটন দাস, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- সাংবাদিক গোলাম রব্বনী সহ ইতোপূর্বে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচারসহ অধিকাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিক হত্যাও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
সভায় এ হত্যকান্ডের প্রতিবাদে তিন দিন কালো ব্যাজ ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মানবসম্প্রদায় মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি। আল্লাহ তায়ালা মানব কে সৃষ্টি করেছেন শুধু তারই উপাসনা করতে। আর সেই উপাসনা শিক্ষা দিতে যোগে যুগে বহু নবী-রাসুল কে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। আকায়ে মাওলা হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগনের মাধ্যমে নবী-রাসুলের আগমনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরসূরী হিসেবে রেখেগেছেন পীর, গাউস কুতুব, সূফি-সাধক গণকে। হযরত বড়পীর দস্তগীর আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) থেকে শুরু হয়ে অদ্যবধী পীর, গাউস কুতুব, সূফি ও সাধক গণের ধারা চলছে আর কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পৃথিবী বাসী আজ সেই মহান আল্লাহ তায়ালার উপাসনা কে ভুলে, নবী-রাসুল, পীর, গাউস কুতুব ও সূফি-সাধক গণের সূফিতথ্য কে ছেড়ে মনগড়া মতাদর্শে চলাচলের ফলে পৃথিবী জুড়ে বিশৃঙ্খলা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে মরণ নাশক মাদকের ছোবলে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে নেশাগ্রস্তদের দেখে অবাক হতে হচ্ছে। মাদকের গ্রহণের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা আজ চরম পর্যায়ে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি মানুষ আল্লাহ বিধান অমান্য করে সূফিতথ্য ও তাসাউফ কে ভুলে যাওয়ায় জীবন, সংসারে কালো ছায়া নেমে এসেছে। তাই মাদক নির্মূলসহ সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাসাউফ ভিত্তিক সূফিতথ্য অনুসরণের বিকল্প নেই।
ভৈরব এরফানিয়া দরবার শরীফের পীর পীরে তরিকত এ বি এম শাহ সূফি মাহবুব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও নবীনগর পাক-হাজিপুর দরবার শরীফের পীর পীরে তরিকত মাওলানা মুহাম্মদ মোবারক আলীর সহ-সভাপতিত্বে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার নবীনগর বীরগাঁও গাছতলা নজরদৌলত রউফশাহী দরবার শরীফের ২৮তম বাৎসরিক উরুছ বা ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর ‘দরবার শরীফ চিলোকূট’ এর অন্যতম খলিফা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরিকত অধ্যাপক মুফতি মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আল-ক্বাদরী মোনাজাতের পূর্বে এ কথা বলেন।
হযরত বড়পীর দস্তগীর কুদ্দুছাছির রুহুল আজিজ এর রূহানী ফায়েজ হাছেল উপলক্ষে গত ২৮ বৎসর যাবৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম আধ্যাতিক প্রাণ কেন্দ্র ‘দরবার শরীফ চিলোকূট’ এর পীর শাহ সূফি সৈয়দ আবদুর রউফ আল-ক্বাদরী (রহঃ) এর নির্দেশক্রমে মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অসংখ্য আশেকে রাসূলগনের উপস্থিতিতে দেশবরেণ্য অসংখ্য পীর মশায়েখ ও আলেম ওলামা তরিকতের উপর নছিহত পেশ করেন।
দরবার শরীফের মুরিদ মাও. এমদাদুল হক বকশী ও মাও. মাসুম বিল্লার উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস উস্তাজুল উলামা মুফতিয়ে আজম আল্লামা অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ গোলাম মুস্তফা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সভাপতি ও কাজীপাড়া সৈয়দ আব্দুল বারী শাহ রহঃ মাজার শরীফের পীর, পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ নূরে আজম। প্রধান বক্তা ভাদুঘর জামিয়াতুল মাদিনা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাও. নূর মুহাম্মদ মাদানী। বিশেষ অতিথ ছিলেন মাও. মনিরুজ্জামান হানাফি, সরাইল পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাও. মুহাম্মদ ইছা রুহুল্লা আল-ক্বাদরী, পীরজাদা মাও. মোদ্দাসীর আল-ক্বাদরী, পীরজাদা আল আমিন হোসাইনী।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের মানবাধিকার সম্পাদক যুবনেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাও. ওয়ারেছ উদ্দিন হাসান বিল্লাহ, মাও. ইমাম হোসেন, মাও. আশরাফুল আমিন, মাও. নাজমুল ইসলাম মোজাহেদী, মাও. মাও. মহর আলী, মাও. রেজাউল করিম, হাফেজ মাও. হেলাল উদ্দিন, মাও. মনির হোসেন, হাফেজ শরিফুল ইসলাম, মাও. হামিদুল ইসলাম হেলালী, মাও. আনোয়ার হোসেন বিন নূর, মাও. হাবিবুর রহমান নূরী, মাও. রবিউল আলম হেলালী, হাফেজ আরাফাত সানিসহ প্রমুখ। মাহফিল শেষে ভোর রাত্রে হাজার হাজার ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতিতে দেশ-জাতি সহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা নাটঘর ইউনিয়ন। ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন বিশাল জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নিজের খেয়াল খুশি মতো আসেন এই কেন্দ্রের একমাত্র স্টাফ ফার্মাসিস্ট শাহ আলম। সরকারি এই স্থাপনার চাবি এলাকাবাসীর কাছেই দিয়ে রেখেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়নে জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এই ৩০ হাজার মানুষকে সেবা দিতে ইউনিয়নে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এর ভেতরে রয়েছে ৬টি কক্ষ। প্রতিদিন এই সেবা কেন্দ্র সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকার সরকারি নিয়ম থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকে।
এই কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক নেই। ফার্মাসিস্ট পদে থাকা শাহ আলম নামে একজন দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীর কাছে শাহ আলম ডাক্তার নামে পরিচিত। প্রতি কর্মদিবসে শাহ আলম সকাল সাড়ে ৯টার পর এসে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার ভেতর চলে যান। এরপর তালাবদ্ধই থাকে এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র৷ সরকারি এই স্থাপনার চাবিও তিনি দিয়ে রাখেন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।
সরেজমিনে দুপুর ১টায় নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় গেট তালাবদ্ধ। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে জানান, ডাক্তার শাহ আলম কিছুক্ষণ আগে চলে গেছেন। এর চাবি রয়েছে পাশের বাড়ির রিনা বেগম নামে এক নারীর কাছে।
রিনা বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি জানান, আজ আমার কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চাবি নেই। চাবি আছে এলাকার আব্দুল হান্নানের কাছে৷
আব্দুল হান্নানকে খবর দিলে তিনি রিনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান গেইটের তালা খোলেন। এরপর ভবনের গেটের তালা খুলে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জানতে চাইলে আব্দুল হান্নান বলেন, চাবি আমার কাছেও থাকে। ডাক্তাররা টিকা দিতে বা ডেলিভারির রোগীরা এলে আমাকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার ভেতরে খোলা হয়, আর দুপুরে চলে যান ডাক্তার শাহ আলম।
রিনা বেগম বলেন, আমি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধোয়ামোছার কাজ করি। পাশাপাশি ডেলিভারির কাজ করি। প্রতিদিন জোহরের আযান দিলে শাহ আলম ডাক্তার চলে যান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট শাহ আলম বলেন, এই কেন্দ্রে আমি ছাড়া কেউ সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত নেই। রিনা বেগম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। এই অফিসের চাবি রিনা বেগমের কাছেও আছে। আমাদের অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা। আমি নিয়মিত অফিস করি।
নবীনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। নাটঘরে শুধুমাত্র একজন ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি স্টাফ বাড়াতে। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি। নাটঘর কেন্দ্রে নিয়মিত অফিস না করা এবং সরকারি সম্পদের চাবি অন্যের কাছে দিয়ে রাখার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের আপনারা (সাংবাদিক) তথ্য দিলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করছে পুলিশ। তবে চোরচক্রের কাউকে আটক করতে পারিনি। ১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার জমিদার বাড়ি এলাকার বালুচর মাঠসংলগ্ন একটি গোডাউন এই ১১ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
পুলিশ সুত্র জানায়, পৌরসভার জমিদার বাড়ির বালুচর মাঠের পাশে আরফাতুল ইসলাম মিয়ার গোডাউনে একাধিক চোরাই মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, চোরাই মোটরসাইকেল চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে । একইসাথে এসব অবৈধ কার্যক্রম রোধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।