চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে একটি খালে প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সকাল থেকেই প্রাইভেটকারটি দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেছে। নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে উপজেলার কুড়িঘরে মহেশ সড়কের পাশের নান্দুরা খালে একটি প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি খাল থেকে পাড়ে তুলে আনে। একই সঙ্গে দমকল বাহিনীর সদস্যরা খালে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি মোবাইল ফোন ও শার্ট পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। প্রাইভেটকারটি থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া বিদ্যালয়ের একটি বহুতল ভবনের ছাদের কয়েকটি অংশ ধ্বসে দুইজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। গত রবিবার এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিক্ষক হলেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩৩), শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ আল আমিন (৩৫)। আহত দুজন শিক্ষকের একজনের মাথায় এবং অপর একজনের হাতে গুরুতর জখম হয়।
তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের বহুতল ভবন জরাজ্বীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ছাদ ধ্বসে বড়ধরনের দুঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ অলিউল্লাহ জানান, ১৯৯৫ সালে ভবটি নির্মিত হলেও তো জরাজ্বীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেকদিন আগে ওইভবনের ছাদের ফাটল ধরেছে। আজকের ছাদের কয়েকটি অংশ ধসে দুইজন শিক্ষক আহত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হয়েছে। আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান ভবনটি দ্রুত সংস্কার বা ভবনটি দ্রুত অপসারণ করে নতুন ভবন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলফিকার হোসেন জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। ভবনটি ব্যবহার না করতে নির্দেশ দিয়েছি এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দারিদ্র্যতা হারাতে পারেনি তাকে। কঠোর পরিশ্রম করে আজ সাফলতার স্বাদ পেয়েছে সে। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচার পাঠাগারে বসে পড়ত। কখনো দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই কখনো বা প্রাইভেট পড়িয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া আক্তার জেলার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সে এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা যায়, সুমাইয়া আক্তাররা দুই বোন। সে বড়, ছোট বোন উন্মে হানি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সুমাইয়ার বাবা পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তার বাবা প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। সুমাইয়ার মা পারভীন আক্তার গৃহিনীর পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে পরিবার চালান। সুমাইয়া মায়ের সঙ্গে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জির কাজ করত ও প্রাইভেট পড়াত। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচা স্বপন মিয়ার পাঠাগারে প্রায় সময় বসে নিরবে লেখাপড়া করত সুমাইয়া। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করত।
সুমাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া বলেন, সুমাইয়াকে কখনো চাপ দেইনি যে এ প্লাস পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের এ প্লাস না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে এ প্লাস এর যোগ্যতা অর্জন কর। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা নিয়মিত লেখাপড়া করতো। পাঠাগারে সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোন দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করে পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ এ প্লাস পেয়েছে। এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। সুরাইয়া যেন ভবিষ্যৎতে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সুমাইয়া গুঞ্জন পাঠাগারের আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকও।
সুমাইয়া জানান, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। আমি ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চাই। সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলাচং হাই স্কুলের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, সুমাইয়া মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়েছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি। সামনে পড়ালেখার সুযোগ পেলে সে আরও ভালো রেজাল্ট করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুরে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো ওই এলাকার সামির মিয়ার মেয়ে সিজা মুনি (৫) ও আব্দুল আলিম মিয়ার মেয়ে তাকিয়া (৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুুধবার দুপুর ১২টায় বাড়ির পাশের একটি ফসলের মাঠে দুই বোন খেলতে যায়। সেখানে একটি পুকুরও ছিল। দুই বোন খেলার একপর্যায়ে পুকুরে গোসল করতে নামে। পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। দীর্ঘক্ষণ শিশু দুটিকে দেখতে না পেয়ে স্বজনরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে প্রতিবেশীরা দুই চাচাতো বোনের লাশ উদ্ধার করেন। বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল শনিবার পৃথক অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার এস. আই শেখ কামাল উদ্দিন ও এস.আই আব্দুল হান্নান সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে শিবপুর বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
অপর অভিযানে বিটঘর ইউনিয়ন এলাকা হতে ৩০ কে.জি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নাসরিন আক্তার, পিতা- মো. নুর আলম, মোছা. হাফিজা আক্তার, পিতা- মো. হানিফ, মো. আশিক ভূঁইয়া, পিতা- সুবাহান ভূঁইয়া, মো. কাউসার মিয়া, পিতা- আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানায় মামলার দায়ের করে আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন- মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ – ২০২৩ উপলক্ষে শিউলী পারভীন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নবীনগর মহিলা কলেজের বাংলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
উল্লেখ্য, তিনি এবারের ন্যায় ২০১৯ সালে ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তিনি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা বিষয়ক ট্রেণিংয়ে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে বিভিন্ন সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ জীবন যাপন করা এই গুণী শিক্ষক সব সময় পেশাগত কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উল্লেখ্য তার একমাত্র পুত্র শাহরিয়ার শুদ্ধ ও এ বছর নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ স্কাউট (মাধ্যমিক পর্যায়) নির্বাচিত হয়েছে।