চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে আক্তার মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের পূর্ব পাশে সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আক্তার মিয়া ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান আক্তার মিয়া। এর কিছুক্ষণ পর সড়কে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে আক্তার মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইফুল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং তিনি বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগে মো. রিপন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাকে একশ টাকা জরিমানা করা হয়। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সোনামুড়া গ্রামে এই অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। দন্ডপ্রাপ্ত রিপন মিয়া উপজেলার সোনামুড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিপন নিয়মিত মাদক সেবন করেন। আর নেশার টাকার জন্য বাবা ইদ্রিস আলী ও মা রেজিয়া বেগমসহ স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের প্রায় মারধর করেন তিনি। তার অত্যাচারে বাবা-মা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার দুপুরে বাবা ইদ্রিস আলী ও মা রেজিয়া বেগম বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে ছেলের অত্যাচারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা দুপুরে সোনামুড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিপনকে মাদকাসক্ত অবস্থায় পান। নিজের দোষ স্বীকার করায় রিপনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ওই যুবক মাদকাসক্ত। প্রায় বাবা-মাসহ পাড়া প্রতিবেশীকে মারধর করেন। অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তাকে একশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন কারনে গত ২৪ ঘন্টায় তিন জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
২১ আগস্ট দিবাগত রাতে চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের বাদল সাহার স্ত্রী সুচিত্রা সাহা (২৮) নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অপর দিকে পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃ কালাম মিয়া (৪৫) সকালবেলা পরিবারের সাথে রাগারাগি করে বিষপান করার পরে তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশাউড়া জালালপুর গ্রামের এক পুকুর থেকে ভোর সকালে একটি অজ্ঞাত লাশ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের চেষ্টায় লাশ সনাক্ত করে জানতে পারে লাশের বাড়ি মৌলভী বাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর মাজদিহি এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন এর ছেলে হোসেন মিয়া (৫০)।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পৃথক ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিজয়নগরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, ভারতীয় ট্যাবলেট, ভারতীয় ক্রিম, ভারতীয় উন্নতমানের জর্জেট শাড়ি এবং ভারতীয় সিগারেট।
৫ অক্টোবর শনিবার বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবির অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাইপাস নামক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে সিলেট হতে ঢাকাগামী এস এ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান হতে এসব ভারতীয় মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে জব্দকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামালসমূহ বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে যা আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তিতাস নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে আটক করে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া গ্রামের তিতাস নদী থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাহ আলম, আজগর আলী, শুক্কুর আলী, খায়রুল কবির, নজরুল ইসলাম, ইয়াছিন মিয়া ও আল আমিন। তারা ড্রেজারের চালক ও শ্রমিক।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, একটি চক্র উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া (ছোট মেরাসানী) গ্রামে তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় উক্ত আইনের ১৫(১) ধারায় আটক ৩ জনকে ৪দিন করে এবং ৪ জনকে ৩দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করে উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির জিম্মায় দেয়া হয়। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।