বজ্রপাতে প্রাণ গেল চাচি-ভাতিজির

জাতীয়, 29 September 2023, 965 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে চাচি ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক নারী আহত হয়েছেন। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

banner

মাধবপুর প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলঘর গ্রামে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ছাতিয়াইন গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা আক্তার (৩২) ও ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (১০) মৃত্যু হয়। এ সময় এই পরিবারের শারমিন আক্তার নামে এক নারী আহত হন। তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাধবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, সংগঠনের বিচার‌ও সম্ভব

জাতীয়, 9 February 2024, 835 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর বিচার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সংগঠনের বিচার এখনো হয়নি। আমার মনে হয় সেটাও সম্ভব যদি আমরা চিন্তা করি। কিন্তু মুশকিলটা হলো, এখনো বিভ্রান্ত করার সুযোগ রয়ে গেছে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’

banner

আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রথমত তাঁকে চিনেছি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য। দ্বিতীয়ত, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে অসামান্য অবদানের কারণে।’

ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধপদ্ধতির বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক ও দুইয়ে আজ পর্যন্ত ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বিচারকাজে বাকি চ্যালেঞ্জগুলোও জয় করা (ওভারকাম) সম্ভব। সে জন্য ক্রমাগত চাপ ও দাবি অব্যাহত রাখতে হবে।’

যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারে ট্রাইব্যুনালের জনবলসংকটকে ‘প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কেউ কেউ মারা গেছেন, অনেকের বয়স হয়েছে। এখন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় নতুন করে সদস্য নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিচারকাজ চালু রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানা রকম বিষোদগার করছে। বিটিসিএলের উচিত এসব ভিডিও সরিয়ে দেওয়া।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা সবাই ন্যায়বিচার পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার স্বামীকে (শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলবদররা। কিন্তু আলবদরের মতো সংগঠনগুলোর বিচার তো হয়নি। তাহলে আমি কি ন্যায়বিচার পেয়েছি? এই দুঃখ আমাদের আছে।’

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ট্রাইব্যুনালে ৩০টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এই মামলাগুলোতে আনুমানিক ২০০ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। এই মামলাগুলোতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ২০০ থেকে ২৫০ সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ মামলা তদন্তের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আসামি এবং সাক্ষী সবার‌ই বয়স ৭০-এর বেশি। প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়তো আর তিন-চার বছর পর এদের কাউকেই আমরা বিচারের জন্য পাব না। তাই দুটি বা প্রয়োজনে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলমান মামলাগুলো নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩২ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিজড়াদের গল্প একটি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে মন্দির ভাঙচুরের মাধ্যমে আমাদের এই দেশে মৌলবাদের যে একটি ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমরা এই দেশ গড়েছিলাম মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতির ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা এখনো এই নীতিগুলোকে ধারণ করেন তারা কবীর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন অনুপ্রেরণার আশায়।’

প্রথম আলো সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন

জাতীয়, 2 April 2023, 1327 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

banner

আজ ২ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

এর আগে সকালে হাজির হয়ে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মতিউর রহমান।

গত ২৯ মার্চ রাতে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক)।

এই মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বাদী এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গত ২৬ মার্চ রাত ৯টায় শিল্পকলা একাডেমির মূল গেইটে থাকাকালীন ফেসবুক ব্রাউজ করার সময় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনের একটি নিউজের স্ক্রিনশট দেখতে পান।

স্ক্রিনশটে দেখা যায়, জাকির হোসেন নামে একটি দিনমজুর শিশুর বক্তব্য উল্লেখ করে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান একটি প্রতিবেদন করেছেন। প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব। ’ নিচে লেখা জাকির হোসেন, দিনমজুর, সাভার। বাদী এই খবরটি দেখে বিস্মিত হন বলে জানান এজাহারে।

এজাহারে বাদী আরো বলেন, পরে ২৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে তার মোবাইল ফোনে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ৭১ টিভির প্রতিবেদক ফারজানা রূপার একটি প্রতিবেদন চোখে পড়ে। প্রতিবেদন থেকে তিনি জানতে পারেন, প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে উল্লিখিত প্রতিবেদনটি দেখে ফারজানা রূপা ঘটনা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে তিনি সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে প্রতিবেদনে কথিত জাকির নামে শিশুটিকে খোঁজ করেন।

তিনি প্রথম আলো অনলাইনে প্রদর্শিত জাকির নামীয় শিশুটির ছবি স্থানীয় লোকজনদের দেখিয়ে প্রতিবেদনের শিশুটিকে খুঁজে বের করেন। পরে শিশুটির বাড়িতে যান। সেখানে তিনি জানতে পারেন শিশুটির নাম জাকির নয়, তার নাম সবুজ। বয়স সাত বছর, সে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

শিশুটিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদন ও তার ছবি দেখালে সে জানায়, একজন লোক স্বাধীনতা দিবসের দিন নিজেকে প্রথম আলোর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাকে ১০ টাকা দিয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলে। শিশুটিকে ওই ব্যক্তি তার নাম বা কোনো কিছুই জিজ্ঞেস করেননি এবং তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।

বাদী এজাহারে বলেন, আমি ফারজানা রূপার এই প্রতিবেদন দেখে মনে মনে আতঙ্কগ্রস্ত হই এবং আমার মনে পড়ে যে, ১৯৭৪ সালে কুড়িগ্রামের বাসন্তী নামে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মহিলাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে জনমনে দুর্ভিক্ষের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এই কথা মনে পড়ে যাওয়ায় আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি যে, ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো তাদের অনলাইন ভার্সনে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি মিথ্যা ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, আমি আরো বুঝতে পারি যে, প্রথম আলোর সম্পাদকের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় ওই প্রতিবেদক তার অজ্ঞাতনামা ক্যামেরাম্যান ও মুদ্রণ সহযোগীদের নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত ও হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে ২৯ মার্চ বুধবার স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি।

হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়লো

জাতীয়, 7 May 2024, 719 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
হজযাত্রীদের ভিসা করার সময় আগামী ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভিসা করার দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আজ ৭ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

banner

এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের হজ ভিসা সম্পন্নকরণের দ্বিতীয় পর্বের মেয়াদ আজ ৭ মে শেষ হওয়ার পর সৌদি সরকার কর্তৃক আগামী ১১ মে পর্যন্ত ভিসার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বেসরকারি মাধ্যমে এ বছর ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী ২৫৯টি এজেন্সি, লিড এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি।

এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে রাজকীয় সৌদি সরকারের নির্ধারিত সময় আগামী ১১ মে তারিখের মধ্যে এজেন্সির হজযাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম সম্পন্নকরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ২০০ ভাষণ সংবলিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 12 June 2023, 1182 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

banner

আজ ১২ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এ ছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করে জিনিয়াস পাবলিকেশন।

​জাতির পিতার এই ভাষণসমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ’ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ/সিডি হতে একশ’র বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

​জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল। ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।’

​ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

জেলায় ব্যালট পেপার যাবে ২৫ ডিসেম্বর থেকে

জাতীয়, 19 December 2023, 926 Views,
ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।

banner

আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।

১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।

৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।

ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।

ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।