চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুল শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম সজলের (৪১) লাশ দেখে তার মামা আবু সাইদের (৫০) মৃত্যুবরণ করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর এবং সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুবরণ করা রাশেদুল ইসলাম সজল মৃত বজলুর রহমানে ছেলে। তিনি গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আর আবু সাঈদ মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা দুজনই সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, রাশেদুল ইসলাম সজল তার বন্ধুদের সঙ্গে আজ সকালে ফরিদপুরে বেড়াতে যান। সেখানে দুপুর আনুমানিক ২টার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তার মৃতদেহ তার নিজ বাসায় নিয়ে আসে। মরদেহ দাফনের কার্যক্রমের জন্যে গোসল করানোকালে হঠাৎ তার ছোট মামা আবু সাইদ লাশটি দেখা মাত্রই হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের বন্ধু রিপন মাহমুদ আকাশ বলেন, তাদের মামা-ভাগ্নের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই তার ভাগ্নের এমন মৃত্যু মামা সহ্য করতে পারেননি। আজ রাত ১০টায় ওই এলাকার কেন্দ্রীয় ধনকুন্ডা জামে মসজিদের সামনে জানাযা শেষে একসঙ্গে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, আমেরিকান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিতে আসা তিন চিকিৎসক হলেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জন হপকিন্স কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক। তিনি রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিকাল বিশেষজ্ঞ। সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫ বছর পর মাকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে ভাসছেন শাহানারা। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসর ইউনিয়নের পশ্চিম ধুলাসর গ্রামের আলী হোসেন ও শিরিন বেগমের মেয়ে। মাত্র ছয় বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিলেন শাহানারা। ভুলে গিয়েছিলো বাবা ও মায়ের নাম-পরিচয়ও।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পারিষদে মা এবং মেয়ের সঙ্গে দেখা হলে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শিরিন তার মেয়েকে দেখেই চিনতে পারেন। পরে ছোট বেলায় শাহানারার হাঁটুর নিচে গরম পানিতে পুড়ে যাওয়া দাগ দেখে শনাক্ত করেন তার মেয়েকে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈশবে শাহানারার হারিয়ে যাওয়ার পেছনেও ছিল আরেক করুণ গল্প। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। বাবা-মায়ের সংসারে ছিল খুব অভাব। বাধ্য হয়ে শাহানারাকে এক ব্যক্তির বাসায় কাজে দেওয়া হয়। সেখানেও এক চিলতে সুখ মেলেনি। একটা গ্লাস ভাঙার অপরাধে বেধরক মারধোর করা হয় শাহানারাকে। ভয়ে পালিয়ে লঞ্চে বরিশাল চলে যান শাহানারা। এদিকে মা শিরিন বেগম মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। শাহানারাকে না পেয়ে তিনি অনেকটা পাগলের মতো হয়ে যান।
শাহানারা বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে আমি সরকারিভাবে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ট্রেনিং করতে এই গ্রামে আসি। আসার পর থেকেই কেমন যেন আমার কাছে এই গ্রামটা পূর্ব পরিচিত মনে হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও অনেকের সহযোগিতায় আমি আমার পরিবার এবং মাকে খুঁজে পাই। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই যে আমার হারানো পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি।’
পরিবারকে ফিরে পেয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ের কথা বলছেন ফিরে আসা শাহানারা, ‘তখন আমি কিভাবে বরিশাল যাই, সেটুকু আমার মনে নেই। তবে ওখানে এক নারী আমাকে পেয়ে বরিশালের একটি এতিম খানায় দিয়ে আসেন। পরে আমি সেখানেই বড় হই। সেখানে আমার নাম রাখা হয় ইয়াসমিন। এক পর্যায় গত ১৬ বছর আগে আমাকে বিয়ে দেন জেলা প্রশাসক। আমি এখন পরিবারের সাথে বরিশাল বসবাস করছি।’
ধুলাসর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমার কাছে আসার পরে আমি বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে তার হারিয়ে যাওয়ার কথা উভয় পক্ষের কাছে শুনে নিশ্চিত হই যে, সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি এই শাহানারা। তিনি তার মায়ের কাছে এবং পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব সেচ পাম্পকে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, প্রতিবছর ৮১ লাখ লিটার ডিজেল সেচ কাজে খরচ হয়।
তিনি বলেছেন, কেউ যদি বেসরকারিভাবে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে চায় তাহলে কর মওকুফসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ইমদাদউল্লা মিয়ান এবং আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, এ কে এম ফজলুল হক।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সৌর প্যানেল তৈরির সময় একটু উঁচু করে স্থাপন করতে হবে।
এর নিচে বিভিন্ন সবজি, মসলা এবং মাছ চাষ করা যায় কি না, এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সকল একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ কষ্ট ভোগ করছে। তাদের জন্য মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে।
পরিকল্পন্ত্রী জানান, বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে হাওর অঞ্চলে শেড নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি অফিস বা প্রকল্প বাস্তবায়নে কম জমি ব্যবহারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বৈদেশিক ঋণ ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হরে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। ইতিমধ্যেই উদ্বোধনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন রেলওয়ের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ ইয়াছিন।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবললাইন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ সুবক্তগীনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের প্রারম্ভিক স্টেশন আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্যাক কারে করে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন হবে। কিছু কাজ যেগুলো বাকি আছে- তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। রেলপথটি দিয়ে প্রথমে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এর মাধ্যমে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রেলপথটির ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এই রেলপথটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে বাংলাদেশকে।
ইতিমধ্যেই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের রেলপথে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। এছাড়াও প্রকল্পের ১৬টি সেতু ও কালভার্টের সবকটিরই কাজ শেষ হয়েছে। আর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ।
অনলাইন ডেস্ক :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। আরও রুট চালুর জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোও ভালো করছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভিতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, যুগ্ম সচিব সাঈদ কুতুব, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।