চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনা জেলে বসেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল, রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লিসহ এরকম কয়েকশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত। এসব দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ হলো এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের দেশ পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাদের ছিল লুটপাট ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার আহ্বান জানাই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে মো. তানজিম মিয়া (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তানজিম মিয়া ওই গ্রামের প্রবাসী মো. আবু তাহেরের ছেলে। তার মাতা ছলিমা আক্তার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেঝো এবং স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে তানজিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির আশপাশ ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। পরে নিখোঁজের ঘটনায় তানজিমের চাচাতো ভাই রমজান মিয়া ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
দুপুরে গ্রামের কয়েকজন লোক বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। গতকাল পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার লেশিয়ারা গ্রামে ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আফসিন (৩) ও বিলঘর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে মাহিন (৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে লেশিয়ারা গ্রামের একটি পুকুরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিলো শিশু আফসিন। খেলার এক পর্যায়ে অসর্তকবশত আফসিন পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামেও অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় মাহিন নামে সাত বছরের আরেক শিশু মারা যায়।
পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।