চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে। আজ ১ অক্টোবর রবিবার সকালে আখাউড়া প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পৌরশহরের সড়ক বাজারস্থ সংঘের কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ কাদিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ নাজির হোসেন মাস্টার, এরশাদ হোসেন তালুকদার ও মোঃ বজলুর রহমান প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রবীণরা পরম শ্রদ্ধেয়। তাদেরকে সম্মান করতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। খোঁজ খবর রাখতে হবে। অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা করা হবে। তারা যেন কষ্ট না পায়। বৃদ্ধ বয়সে তারা নাতি-নাতনিসহ স্বজনদের আদর যত্ন পেতে চায়। তাদের সাথে মিশতে হবে। তারা আরও বলেন, প্রবীণের যুক্তি আর নবীনের শক্তি এই মূল মন্ত্র নিয়ে দেশ গড়তে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রচারের একটি বড় মাধ্যম হলো মাইক। নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকের ব্যবহার ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। দুপুরের পর শুরু হতো মাইকের উচ্চ শব্দে প্রচার-প্রচারণা। ‘ভোট চাই ভোটারের, দোয়া চাই সকলের’ এমন বাহারি শ্লোগান। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাজানো হতো বিভিন্ন গান। মাইকের আওয়াজ শুনলেই মনো হতো নির্বাচন এসে গেছে। মাইকের উচ্চ শব্দে কান জ্বালাপালা হয়ে যাওয়ার অবস্থা হতো। মাইক ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়ীরা বাড়তি অর্থ উপার্জন করতেন এই মৌসুমে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় মাইকের সেই চির চেনা ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। ভাটা পড়েছে মাইক ব্যবসায়। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও মাইকে প্রচারণা খুব কম হচ্ছে। আখাউড়া সড়ক বাজার, মোগড়া বাজার ও দূর্গাপুর গেইটসহ কয়েকটি এলাকার মাইক সার্ভিসের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেও এর সত্যতা মিলেছে।
সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর দুজনের একজন এনপিপি ও তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী না থাকায় এ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম। তাই প্রচারণাও কম। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে প্রচারণাও বেশি হয়। তাছাড়া এখন ডিজিটাল যুগ। প্রচারণায়ও পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা বেড়েছে। এখন দেশ-বিদেশ থেকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারছে সমর্থকরা। বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রচার হচ্ছে যা দ্রুত মানুষের নজড় কাড়ছে।
রাধানগরের ব্যবসায়ী দুলাল ঘোষ জয় বলেন, এ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আনিসুল হক। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি শক্তিশালী কোন প্রার্থী নাই। এজন্য প্রচারণা কিছুটা কম। তবে দলীয় কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
আখাউড়া সড়ক বাজারের মাইক ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন মিয়া বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে প্রতিদিনি ২/৩ সেট মাইক ভাড়া যেত। এবার তা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত ৩ দিন মাইক ভাড়া দিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে ভাড়া বাড়তে পারে সেই আশায় আছি।
মোগড়া বাজারের নিরালা মাইক সার্ভিসের মালিক আলী আকবর মিয়া বলেন, আগের নির্বাচনে অনেক প্রার্থী ছিল। সব প্রার্থী ১/২টা মাইক ভাড়া নিত। ব্যবসাও ভালো ছিল। এবার দল কম, প্রার্থীও কম। তাই মাইকের প্রচারণা কম।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আখাউড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চলছে। আজ ১ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক চোরাচালান, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান চলছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ড্রাইভিং লাইসেন্স , হেলমেট না থাকা এবং মোটর সাইকেলে দুইয়ের অধিক আরোহী থাকার কারনে ২২টি মামলায় মোট ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসাদুল ইসলাম জানান, মাদককারবারী ও মাদকসেবীরা এ সড়ক ব্যবহার করে জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আখাউড়া সীমান্তে এসে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। এসব নিয়ন্ত্রণে সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করার জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে টিএসআই আশরাফুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার মাহমুদ মুহিন, এসআই মোবারক, আলমগীর, আবু ছালেক, কামরুজ্জামান, এরশাদ প্রমুখ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাবেয়া আক্তার, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মোঃ সিরাজুল হক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ তারেক, জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ সাহা, কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কামাল আহাম্মদ খান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র আসাদুজ্জামান খোকন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এর সাধারণ সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক জালাল হোসন মামুন প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অলক চক্রবর্তী ও মোঃ শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথি ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাজী আব্দুর রহিম মিয়া, সাংবাদিক মফিকুল ইসলাম সুহিন, মোহাম্মদ আবির, হাসান মাহমুদ পারভেজসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখামাত্র অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন ছেলে। ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া সোহেল মিয়া নামে ওই যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের কৌড়াতলীর বকুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহেলের মা মাজেদা বেগম। এ সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আরেকটি মোটর সাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে মাজেদা বেগমকে ধাক্কা দেন। এতে আহত মাজেদা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন লোকজন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সোহেল। হাসপাতালে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা যান সোহেল।
আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. কুদ্দুস খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহেল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া প্রকাশ সুজনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে মারধরের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর সুজন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটিতে না রাখায় সভাপতির ওপর তিনি হামলা করেছেন।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে বুধবার বিকেলে কাউন্সিলর সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সাব্বির নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ উঠেনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৭০) সড়ক বাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর সুজনের এক ছোট ভাইসহ কয়েকজন এসে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে গালমন্দ করেন ও টেনে সড়কে নিয়ে আসেন। এরপর কাউন্সিল সুজনসহ অন্যরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। ঘটনার পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাসায় চলে যান। কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাসায় যান কাউন্সিলর সুজন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কাউন্সিলরের বিতণ্ডা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী নিজেকে অসুস্থ দাবি করে মুখ খুলতে না চাইলেও তার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, কাউন্সিলরসহ ৪-৫ জন লোকজন বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন।
ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে তার পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।
গ্রেফতারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে।