চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে। পুজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষে আজ ২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানা পুলিশের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন। থানার হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ২৩টি পুজা মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর আখাউড়ায় ২৩টি মন্ডপে দূর্গাপুজা উদযাপিত হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিদু ভুষন বর্মন, সুভাষ দাস, ভজন দেব।
হিন্দু নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে পুজা মন্দিরে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গাপুজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। নির্বিঘ্নে সুন্দর ভাবে পুজা উদযাপন করার আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পুজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পথচারীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই যুবককে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক রিকসাচালক তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার রিকসায় তুলেন। পরে রিক্সাচালক তাকে লাল বাজার এলাকায় রাস্তায় রেখে চলে গেলে সেখানেই সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রাম আমতলী বাজার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে এক ব্যক্তির গলিত (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
আখাউড়া থানার এএসআই হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন ডোবাতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির পরনে শার্ট ও লুঙ্গি রয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার খলাপাড়ায় ভাঙন দেখা দেওয়া হাওড়া নদীর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের পাশে মাটি ভর্তি ব্যাগ দিয়ে মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন কবলিত স্থানটি মেরামত হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অন্যদিকে ওই এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেও রক্ষা পাবে। সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার অন্তত ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির খলাপাড়া কবরস্থানের সামনে পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করে। এরই প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি মেরামত কাজ শুরু করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে আমাদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে চিন্তায় ছিলাম পানিতে জমি তলিয়ে গেলে জমিতে আবাদ করতে পারব না। এখন বাঁধটি মেরামত করার কারণে চলাচলের সুবিধাও হবে। আর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার চিন্তাও থাকবে না। অটোচালক কাইয়ুম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় এতদিন গাড়ি চালাতে ভয় করত। এখন আর সে ভয় থাকবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাঁধটি ভঙেনের খবর পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত বস্তায় মাটি ভরে বাঁধ মেরামত করছি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই। ব্লক নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে বস্তায় মাটি ভরে বাঁধটি মেরামত করছে। বিষয়টি আমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার সকালে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সীমান্তবর্তী হাওড়া বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল থেকেই বীরচন্দ্রপুর গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পারভেজ মিয়ার ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে তার স্ত্রী হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। বাড়ির লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লুৎফুর রহমান রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারী মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত পানি খাওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে।