চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পেলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বিগত সম্মেলনের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ০২-১০-২০২৩ খ্রি: তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করলে সাধারণ সম্পাদক পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একমাত্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ৩ জুলাই ১০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে অলি মিয়া (৭০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত অলি মিয়া শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে শহরের জগৎবাজার এলাকায় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, নিহত অলি মিয়া শহরের জগৎ বাজার এলাকায় একটি শৌচাগার পরিচালনা করতেন। শনিবার রাতে তিনি ওই শৌচাগারে দায়িত্বরত অবস্থায় ৪/৫ লোক মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় বেশকিছু নগদ অর্থ লুটে নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ রবিবার ভোরে জাতীয় হৃদ রোগ ইন্সটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উপ-নিবার্চন উপলক্ষে ‘চেয়ারম্যান পদে’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুইবার নির্বাচিত সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপর ১২টায় জেলা নির্বাচন কর্মকতার নিকট তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বাড়ি চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিডিউটর অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এর পূর্বে আজ সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের হালদারপাড়াস্থ কার্যালয়ে মোঃ হেলাল উদ্দিনের সফলতা কামনায় এক মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। উক্ত মোনাজাতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোঃ হেলাল উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জেলাবাসীর দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন- আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকলের সহযোগিতা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদকে একটি জবাবদিহিতামূলক ও উন্নয়নমুখী জেলা পরিষদ গঠন করাসহ জেলাবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আয়োজনে আগামী রবিবার বাদ যোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তমঞ্চে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা; সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রবর্তন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উক্ত গণসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলা ও অধিকাংশ ইউনিয়নে যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং অব্যাহত আছে। জেলার সর্বত্র পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের দ্বারা প্রচারণা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ফ্ল্যাশিং প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী শনিবার প্রতিটি উপজেলায় দাওয়াতি মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গণসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য জেলাবাসীকে আহবান জানিয়েছেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাব আলীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ মে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ২নং গ্যাস ফিল্ডস কোয়ার্টারের বাথরুম থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুস্তাব আলী নাটোর জেলার পাইকপাড়া সর্দারবাড়ির মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গ্যাস ফিল্ডের কোয়ার্টারে থাকতেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
নিহতের গাড়িচালক ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে অধ্যক্ষ মুস্তাব তার গাড়ির চালককে বাসায় আসতে বলেন। এরপর তিনি বাথরুমে গেলে আর বেরিয়ে আসেননি। পরে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাফায়েত উল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ মুস্তাব ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং ব্র্যাক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। এছাড়া তার ৪টি ট্রাক ছিল। কিন্তু তিনি সেগুলোর কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ফলে যেখান থেকে তিনি ট্রাকগুলো ডাউন পেমেন্টে কিনেছিলেন সেখান থেকে দুটি ট্রাক নিয়ে যায়। অবশিষ্ট ট্রাকগুলো টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মুস্তাব গত মার্চ মাসেও একবার কেরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, গণহত্যা, বধ্যভূমি, শহীদ সমাধি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভ‚মি সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচত্বর স্থাপন করা হবে। তিনবছর মেয়াদি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এসব প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ সহযোগীতা কামনা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা। এসব এলাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ ৯ মাস অনেক গুলো ঐতিহাসিকযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।
প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এসব স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদী এসব পরিকল্পনায় ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রকল্পের একটি তালিকা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের তৈরী করা এসব প্রকল্পের তালিকার বাইরে যদি আরো কোন প্রকল্প বাদ পড়ে থাকে তিনি ওইসব প্রকল্পের জন্য তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন সাঈদ, কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।