চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রতারণা করার সময় আবু সালেহ মোহাম্মদ মারজান (২০) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে রোগীর স্বজনরা। সে ফটোগ্রাফার হিসেবে স্থানীয় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
গতকাল সোমবার হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ডাক্তার সেজে বেশ কিছুদিন রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো মারজান। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবারও হাসপাতালের শিশু বিভাগে রোগীদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি করে সে। একজন সচেতন রোগীর স্বজন মারজানের প্রতারণা ধরতে পারে। এমন সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসার খবর পেয়ে পালানোর সময় দারোয়ান আব্দুস সাত্তার ও বাবুর্চি সুমনসহ রোগীর স্বজনরা তাকে আটক করে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশে সোপর্দ করে।
হাসপাতাল পুলিশের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নানাবিধ ভুয়া তথ্য দেয়। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন নুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাকে থানায় পাঠানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এক ভুয়া ডাক্তারকে পুলিশে সোপার্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফেনীর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কবলিত কক্সবাজার জেলায় চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের মধ্যে ২৪৩টি সাইট বর্তমানে অচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ ১৫ মে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলো বিদ্যমান অসচল সাইটগুলো সচল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অসচল সাইট মূলত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে বর্তমানে অসচল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যকর হলে ওই সাইটগুলো দ্রুত সচল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কবলিত কক্সবাজার জেলায় দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের ২৪৩টি সাইট বর্তমানে ‘অসচল’ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের মোট ২১৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৬০টি। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মোট ৪৬১টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৮৭টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের মোট ১৮৫টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৫১টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট ১০৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৪৫টি।
গত ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যাতে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশ্লিষ্ট সব লাইসেন্সধারী সংস্থাকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী টেলিকম অপারেটরকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়াও বিটিআরসি ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করে। এসব টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে সমন্বয় সাধন করে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২১টি ভারতীয় মহিষ জব্দ করেছেন হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। শনিবার অপরাহ্নে ভুবনকুড়া ইউনিয়নের কুমারগাতী গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র বাবুল মিয়ার বাড়ী থেকে মহিষগুলো আটক করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সীমান্ত এলাকার একদল চোরাকারবারী ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু ও মহিষসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিবাগত রাতে একদল মহিষের পাল ভারত থেকে কোচপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন চোরাকারবারিরা। স্থানীয়রা চোরাকারবারিদের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র রায় এর নেতৃত্বে টহলরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় শনিবার মহিষগুলো মালিক বিহীন জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। জব্দকৃত মহিষের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এজাহার নামীয় ৩ জন ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলার কুমারগাতী এলাকার গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র বাবুল মিয়া, সিদ্দিকের পুত্র হিরা ও মৃত ইয়াসিন আলীর পুত্র শহীদুল্লাহসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই পাচার কাজের সাথে যুক্ত হয়ে সীমান্ত থেকে চোরাকারবারী করে যাচ্ছে। দাবি করেন এরা সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত ও পেশাদার চোরাকারবারি। এদের সঙ্গে ভারতীয় পাচারকারীদের সাথে নিয়মিত যোগসাজশ রয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু ও মহিষ অবৈধভাবে এনে নিজেদের সঠিক দাবি করে বিভিন্ন হাটবাজারের ইজারার কাগজ সংগ্রহ করেন পাচারকারীরা।
মহিষ জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান পরিচালনা করে ২১টি মহিষ জব্দ করা হয়। বর্তমানে মহিষগুলো থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে মাঠে কাজ করছে থানা পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য অনেক সময় জানার প্রয়োজন হয়। তবে এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য ওই সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।
সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে জানার উপায়
নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করার উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সিমটি কে ব্যবহার করছেন সেটি জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো শতভাগ কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে, সে সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে ট্রুকলার নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য মোবাইলে ট্রুকলার অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে সাইন ইন করলেই হবে। তখন সিমের ব্যবহারকারী কে তা দেখতে পাবেন।
মূলত মোবাইলে থাকা সকল নম্বর নামসহ ট্রুকলার অ্যাপের সার্ভারে চলে যায়। ফলে অ্যাপটি ওই সব নম্বরের তথ্য জেনে যায়। মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অ্যাপটি কাজ করে।
এছাড়া আরো একটি উপায়ে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য প্রথমে ওই সিম নম্বর ফোনে সেভ করুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করুন। যদি ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নাম দেখতে পাবেন। আর যদি ছবি দেওয়া থাকে তাহলে সেটিও দেখতে পাবেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বহিঃশক্তির যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জণগণের পাশে আছে। যেকোনো দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধুপ্রতীম কোনো দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও সেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার হৃদয়ের খুব কাছের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে দুই ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেওয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। সূত্র- বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, অতি শিগগির নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে দেশে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট।
নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনার পর এ ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিটিআরসি জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবাগ্রহণ বা প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশে এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ হবে।
এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করতে শিগগির অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে।
মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD<space>15 ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে।
গত ১৬ জানুয়ারি বিটিআরসিতে এক সভায় নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।