চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে ১৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম মৃধার সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও মাছিহাতা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও কাজ করে, না থাকলে ও কাজ করে। আর বিএনপি পারে শুধু সমালোচনা করতে। সেটা সরকারি দল বা বিরোধী দলে থাকুক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এই সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে থাকেনা। কিন্তু বিএনপির আমলে অনেকেই অনাহারে ছিলো।
আজ যে উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শুভ উদ্বোধন হচ্ছে সেগুলো স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানগণ কাজের তদারকি করবেন, যেনো কাজ গুলো সুন্দরভাবে শেষ হয়। তিনি বলেন, এরশাদ ও জিয়া উর্দি পরে রাজনীতি করেছে। সেটা তারা করতে পারেন না। এর জন্য তাদের বিচার হওয়া দরকার ছিলো। জিয়ার আমলে নির্বাচনের সময় কোন কোন ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। যেটা খুবই লজ্জা ও বাজে কাজ ছিলো। এ কাজ আমরা করতে চাই না। নির্বাচন হবে, যার ভোট সে দিবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন বিভিন্ন প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। তিনি উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। আলোচনা শুরুর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রং-তুলির আঁচড়ে ছবি জীবন্ত করে তুলতে ব্যস্ত ক্ষুদে আঁকিয়েরা। কেউ ক্যানভাসে প্রকৃতি, কেউ বিভিন্ন জাতের পশু পাখি, আবার কেউ গ্রাম-বাংলার মেঠো পথসহ জীবন তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছে।
পুকুর পাড়, বাড়ির উঠোন, মেঠো পথে বসে সাড়ে তিন শতাধিক শিশু শিল্পীর নিখুঁত রং-তুলির আঁচড়ে জীবন্ত করে তুলছে নানা চিত্রকর্ম। ইট-পাথরের শহরে চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকা এসব শিশুদের প্রকৃতির মধ্যে একাকার করে নিতেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম। প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশুরা এই ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প ঘিরে গ্রাম জুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে দূরে গিয়ে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পান। ক্যাম্পের উদ্বোধন উপলক্ষে কাঞ্চনপুর মলাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন। এতে চিত্রশিল্পী আসাদুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঞা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম কাউসার এমরান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলামিনুল পাভেল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।
পরে ৩৬৫ জন শিশু শিল্পী কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে দলবেঁধে ছবি আঁকতে বসে। এ সময় তারা কল্পনার জগত থেকে বের হয়ে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করে তাদের চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলে।
আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীরা বলেছে, বাসায় বা শ্রেণিকক্ষে বসে কল্পনার ওপর নির্ভর করে ছবি আঁকতে হয় আমাদের। কিন্তু প্রকৃতির কাছে এসে চিত্রাঙ্কন করতে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। আমরা প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে দেখে আমাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছি। তাছাড়া শহুরে জীবন যাপনের কারণে গ্রামীণ জনজীবন সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা ছিল না। কিন্তু এই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির পাশাপাশি গ্রামের জনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি।
অভিভাবকরা জানান, ইট-পাথরের নগর আর যান্ত্রিক জীবন শিশুদের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের মানবিক ও কোমল করে তুলতে শিশু নাট্যম যে প্রতি বছর আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে তা প্রশংসনীয়। এই ক্যাম্প শিশুদের মেধা বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. খান বিটু বলেন, প্রতি বছরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে শিশু নাট্যম। এ নিয়ে ৯ম বারের মত আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে এসে তাদের মানবিক করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমীন বলেন, আমি মনে করি, এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রকৃতির মাঝখানে ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা আর্টক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে। সারা দেশেই এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ১২ দফা দাবিতে আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ, কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো লিখিতভাবে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
দাবিগুলো হলো-ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার রাজনীতি কলেজে নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষকরাও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাসহ কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালিত হবে না। ক্লাসের মানোন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। শেণিকক্ষে পড়ানো সিলেবাসের বিষয়বস্তর উপর পরীক্ষা নিতে হবে এবং হুটহাট নোটিশে বা শ্রেণিকক্ষে ঘোষণা দিয়ে চাপানো যাবে না। শ্রেণি পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিকী ও বাৎসরিক পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বরপত্রে নম্বর তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মূল্যায়নের ধরণের জবাবদিহিতা শিক্ষকদের দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারিক ক্লাসের সময় নির্ধারণসহ মানোন্নয়ন করতে হবে। কলেজে ধর্মপালন, হিজাব বা নিকাব পরিধানে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকার কটুক্তি, অপমানমূলক কথা বা ইঙ্গিত কোনো শিক্ষক দিতে পারবে না। এমন হলে সেই শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মপালনে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না, সকল শিক্ষককে লিখিতভাবে এই বিবৃতি দিতে হবে এবং কলেজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে মনিটর নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট করবেন। শ্রেণিকক্ষের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্তি বাড়াতে হবে। পড়াশোনায় প্রায় এক মাসের ক্ষতি হওয়ায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিলসহ সবাইকে অবিলম্বে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দ্বিতীয় বর্ষের পাঠদান শুরু করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তাই উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কলেজের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা রকম অভিযোগ থাকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ বা বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. জেড. এম. আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ. রোডে সংঘর্ষের সময় মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে গতকাল ২৩ আগস্ট শুক্রবার এ মামলাটি দায়ের করেন। নিহত হোসাইন আহাম্মদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দের বাসিন্দা।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান (এম.এ.এইচ মাহবুব আলম), জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-সংসদের সাবেক ভিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম রানা, ঠিকাদার হামদু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনশ’ লোককে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় তানিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির চলাকালে ২৭ মার্চ সকাল ১০টায় হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে পরের দিন হরতালের সমর্থনে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিলটি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে গিয়ে আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হোসাইন আহাম্মদ মাথার ডানপাশে গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। এমনকি পুলিশের চাপে তখন নিহতের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ঝুমা নামে (৫) এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মালিহাতা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ঝুমা ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিলেটগামী তরমুজবোঝাই একটি মালবাহী পিকআপভ্যান মহাসড়কের মালিহাতা এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় শিশু ঝুমা গুরুতর আহত হয়। আর পিকআপটি সড়কে উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাঁজাসহ দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে শহরের ডাকবাংলো মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, লাকি বেগম (২৫) ও শান্তা আক্তার (১৮)।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, ডাকবাংলো মোড় এলাকায় মাদক কেনা বেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৬টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।