চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে ১৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম মৃধার সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও মাছিহাতা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও কাজ করে, না থাকলে ও কাজ করে। আর বিএনপি পারে শুধু সমালোচনা করতে। সেটা সরকারি দল বা বিরোধী দলে থাকুক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এই সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে থাকেনা। কিন্তু বিএনপির আমলে অনেকেই অনাহারে ছিলো।
আজ যে উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শুভ উদ্বোধন হচ্ছে সেগুলো স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানগণ কাজের তদারকি করবেন, যেনো কাজ গুলো সুন্দরভাবে শেষ হয়। তিনি বলেন, এরশাদ ও জিয়া উর্দি পরে রাজনীতি করেছে। সেটা তারা করতে পারেন না। এর জন্য তাদের বিচার হওয়া দরকার ছিলো। জিয়ার আমলে নির্বাচনের সময় কোন কোন ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। যেটা খুবই লজ্জা ও বাজে কাজ ছিলো। এ কাজ আমরা করতে চাই না। নির্বাচন হবে, যার ভোট সে দিবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন বিভিন্ন প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। তিনি উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। আলোচনা শুরুর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৫শত জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া প্রধান অতিথি থেকে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, সদর উপজেলায় প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ২হাজার ৫শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। পাশাপাশি আউশ ধানের উফশী বীজ ব্রি ধান ৪৮, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৫, ব্রি ধান ৯৮ জাতের উন্নতমানের বীজও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, এ বছর পহেলা বৈশাখের আগেই সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কৃষকগণ সঠিক সময়ে বীজতলা করতে পারেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে পৌরশহরের খৈয়াসা-বিরাসার সড়কের ওই অফিসটি খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। এ ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের চারটি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের পেছনের গ্রিল কেটে বারান্দার খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে চোরের দল। এ সময় তারা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর, চারটি পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি পেনড্রাইভে ভিসা আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষিত ছিল। সকালে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আসার পর স্টাফদের নজরে চুরির বিষয়টি আসে।
ওসি আরো বলেন, সকাল ৯টার পর ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই কাজ শুরু করেছে। চুরি ঘটনার পর শহরের বিরাসার, ঘাটুরা, ভাদুঘর ও শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ইনচার্জ সবুর আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা দ্রুত সময়ে চুরির রহস্য ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে অলি মিয়া (৭০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত অলি মিয়া শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে শহরের জগৎবাজার এলাকায় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, নিহত অলি মিয়া শহরের জগৎ বাজার এলাকায় একটি শৌচাগার পরিচালনা করতেন। শনিবার রাতে তিনি ওই শৌচাগারে দায়িত্বরত অবস্থায় ৪/৫ লোক মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় বেশকিছু নগদ অর্থ লুটে নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ রবিবার ভোরে জাতীয় হৃদ রোগ ইন্সটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কান্দিপাড়াস্থ মাদ্রাসা রোডে চায়না রিং জাল জব্দ করা হয়। আজ ৭ এপ্রিল সোমবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে এসব রিং জাল জব্দ করা হয়।
জানা যায়, পাখির খাদ্য লিখা বুকিংকৃত দশ বস্তায় মোট আশিটি চায়না দুয়ারি (রিং জাল) কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানে করে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা জব্দ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এনে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী।
এসময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ, তরী’র সদস্য খাইরুজ্জামান ইমরান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ মে বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়েছে। আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রেড ক্রিসেন্ট ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিতে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে সরোদ মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে ও যুব ইউনিট প্রধান-১ ফাহিম মুনতাসিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আলী আজম, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট লেভেল অফিসার ইমরান হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট এ্যাডহক কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন বেলাল, ডা. কাজী শান্তুনু সায়হাম অর্নব, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মো. তানভীর রুবেল, শাহআলম পালোয়ান।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে জিন হেনরি ডুনান্টের প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পরে রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।