চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পেলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বিগত সম্মেলনের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ০২-১০-২০২৩ খ্রি: তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করলে সাধারণ সম্পাদক পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একমাত্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ৩ জুলাই ১০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণহত্যার দায়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি সদস্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আরমান উদ্দিন পলাশ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক আহবায়ক সজিব, সদস্য সচিব ইয়াছিন বাবু প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যায়ামাগারে (জিম) গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূসহ দুইজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি জিমে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল করলে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লব, ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনা রাতে ওই গৃহবধূর ভাসুর মাসুদুর রহমান (সোহাগ) বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর ওই তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ ও তার বোন শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সেখানে মেয়েদের ব্যায়াম করার আলাদা ব্যবস্থা ও পুরুষ যাওয়ার অনুমতি না থাকায় তারা ভর্তি হয়েছিলেন। জিমের ট্রেইনার মিতু আক্তারের আচরণে গোপন ভিডিও ধারণ করার বিষয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
দুইদিন আগে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছেন। বুধবার বিকেলে মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ট্রেইনার মিতু বিষয়টি জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লবকে জানান। খবর পেয়ে বিপ্লব মিতুকে নিয়ে তাদের দুই বোনের কাছে যান। সেখানে মিতু ওই গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করেন।
একপর্যায়ে জিমে থাকায় শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া নামে এক যুবক তাদের বাঁচাতে আসলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখেন। এ অবস্থায় তাদের পরিবারের লোকজন আসলে জিমের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। আশপাশের সড়কে উৎসুক মানুষ জমায়েত হয়ে ভিডিও করে ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
শেষে একজন ৯৯৯-এ কল দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানা পুলিশ এসে তারা ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেন। এসময় জিমের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, জিমের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৮/৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নিবাসীদের জন্য পোশাক বানানোর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণকরেন। এজন্য তিনি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন। নিবাসীরা নিজেদের ড্রেস নিজেরাই ব্লক ও সেলাইয়ের কাজ করে নতুন জামা প্রস্তুত করে। ৫ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রদত্ত উপহার নিজ হাতে নিবাসীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াইল হক মীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা প্রমুখ।
উপহার পেয়ে বাবা মা হারা মেয়েরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। নিবাসী ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম কে।