চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর ও বাসন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাত ও মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো রুহুল আমিন (৩৮), শ্যাম খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক (৩০), আবুল সাঈদ (৩৫), মাহমুদুল হাসান রুবেল (৩১), সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল (৪০) ও সজিব আহাম্মদ (২৬)।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গত ৩১ সেপ্টেম্বর রাতে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন তার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বাছেদ এবং ভগ্নিপতি সোলায়মানকে নিয়ে সদর থানার আদাবৈ পেয়ারা বাগান এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালামাল কেনার জন্য যান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ১৪/১৫ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বাউন্ডারি ঘেরা একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে মারধোর করে নগদ ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দুলাল উদ্দিন সদর থানার মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার ১০ ঘণ্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রুহুল আমিনকে কালিগঞ্জ থানার নরুন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে শ্যামল খান, আবুল সাঈদ ও মাহমুদুল হাসান রুবেলকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মালামাল উদ্ধারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, চোরাই মোটর সাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের যোগীতলার সুইচ ফ্যাক্টরির মোড় থেকে সোহেল মিয়া ও সজিব আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখে বিক্রি করত। জিএমপির বাসন থানার এস আই সুকান্ত পাল জানান, বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশর সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসসি পরীক্ষা গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।
তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা, আইনশৃঙ্খলা ও পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এসএসসি, দাখিল, এসএসসি-ভোকেশনাল ও দাখিল-ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট ২০,২৪,১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে । কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সারা দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমেই নিচের দিকে নামছে পারদের কাঁটা। ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ এলাকায়ই সূর্যের দেখা নেই কদিন থেকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে রাজধানীতেও।
কলকারখানা-গাড়ির ধোঁয়া, মানুষের কর্মচাঞ্চল্য, কোলাহল সবকিছুকে পেছনে ফেলে সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ছে ঢাকা শহর। তবে সুসংবাদ নেই। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এমন অবস্থায় শীত নিবারণে রাজধানীজুড়ে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিপণী বিতান, শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড়।
আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর রোডের গোল্ডেন গেট শপিং সেন্টার, খান প্লাজা, কাদের অর্কেড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নেহার ভবন, নুরজাহান সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর ম্যানশন সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটেই শীতের কাপড়ের ব্যাপক সমাহার। ব্যবসায়ী ও দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদা আর রুচির কথা মাথায় রেখে পসরা সাজিয়েছেন এসব পোশাকের। এরমধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, ফুল স্লিভ টি-শার্ট, ব্লেজার, স্লিভলেস কোট, কটি, জিন্সের মোটা শার্ট-জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, উইন্টার কোট, উলের তৈরি শাল, খাদির শাল, মাফলার, কানটুপি, হাত-পায়ের মোজা অন্যতম।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের অধিকাংশ ক্রেতাই তরুণ-তরুণী। সেজন্য তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে দোকানে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের কালেকশনই বেশি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে এবার জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে। এরমধ্যে জেন্টস লেদার জ্যাকেট, জেন্টস ফুল স্লিভ জ্যাকেট, লেডিস ফিট ফুল স্লিভ জ্যাকেট, জেনস কটন জ্যাকেট, ফুল স্লিভ জেন্টস ক্যাজুয়াল জ্যাকেট, জেন্টস হুডি জ্যাকেট অন্যতম। নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে এসব জ্যাকেটের প্যাটার্নেও এখন আনা হয়েছে বেশ নতুনত্ব। সিনথেটিক এবং মিক্সড লেদারের জ্যাকেটও রয়েছে দোকানগুলোতে। এছাড়াও ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্যাটার্ন স্টাইল এবং গুণগত মানের কাপড় দেখা গেছে দোকানগুলোতে।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী বাপ্পি হাওলাদার বলেন, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই মৌসুমভিত্তিক কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে অনুযায়ী এখন অধিকাংশ দোকানেই শীতের পোশাক। তবে এক্ষেত্রে আমরা তরুণ-তরুণীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেই। কারণ বয়স্ক মানুষজন একটি শীতের কাপড়ের একাধিক বছর চালালেও তরুণ-তরুণীদের প্রতি বছর নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা বেশি। সেজন্য আমরা তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শীতের পোশাক সংগ্রহ করে থাকি। এবছর বিক্রি খুবই ভালো হচ্ছে। সম্প্রতি শীত বাড়ার কারণে দোকানে ক্রেতার পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।
রবিউল হুসাইন নামের আরেক বিক্রেতা শীতের পোশাকের দাম সম্পর্কে বলেন, গুণগত মান এবং ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হচ্ছে। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভালো কোয়ালিটির জ্যাকেট ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি কিংবা চায়না জ্যাকেট দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি করছি। লেদার জ্যাকেটের দাম নির্ধারিত হচ্ছে গুণগত মানের উপর। সোয়েটার এবং হুডি ৮শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছি। মূলত, এবছর টেক্সটাইল এবং সব ধরনের গার্মেন্টস পণ্যের উপাদানের দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তবে বেশি বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে স্বল্প লাভেই বিক্রি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট ফুটপাতের বিক্রেতারাও। মেয়েদের ওলের ওড়না, জ্যাকেট, চাদর থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন শীতের পোশাকের পসরা নিউমার্কেটের ফুটপাতজুড়ে। দামেও কিছুটা কমের কারণে সেসব দোকান ঘিরে ভিড় করছেন মানুষজন। অনেক দোকানে আবার চাদর, হুডি, হাতাওয়ালা টিশার্ট তাল মিলিয়ে ‘বাইচ্ছা লন, তিনশ’, ‘দেইখা লন, তিনশ’ এভাবে ডেকে বিক্রি করতে দেখা যায়।
আব্দুল ওয়াহাব নামের ফুটপাতের এক বিক্রেতা বলেন, বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। কমদামে ভালো কাপড় দিচ্ছি। আমাদের তো দোকান ভাড়া দিতে হয়না। কর্মচারী বিল নাই। সেজন্য অল্প লাভেই মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারছি। আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি।
আবার নিউমার্কেটের ভেতরে দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন বেশি কেনাকাটা করছেন তাদের এলাকায় থাকা আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য। বাড়ির ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য শাল, মাফলার, হাত-পায়ের মোজার ক্রেতার পরিমাণ বেশি। ভেতরের দোকানগুলোতে শাল চাদর মানভেদে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, মাফলার ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বাচ্চাদের পোশাকও গুণগত মান ও বয়সভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
কেনাকাটা করতে আসা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার বাড়ি গাইবান্ধা। সেখানে প্রচুর শীত পড়েছে। বাবা-মায়ের জন্য শীতের পোশাক আগেই পাঠিয়েছি। তারপরও এখন আবার মোটা খাদি কাপড়ের শাল চাদর, মাফলার এবং হাত পায়ের মোজা বেশি করে কিনে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশিই। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে কেনাকাটা তো করতেই হচ্ছে।
ইউসুফ মিয়া নামের আরেকটা ক্রেতা বলেন, শীত একটু বেশি পড়েছে। সেজন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছে। ক্রেতা যেহেতু বেশি তাই দোকানিরা দাম একটু বেশি চাইছে। তবে নিউমার্কেটের ফুটপাতে সাশ্রয়ী মূল্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আর মার্কেটগুলোতে দাম কিছুটা বেশি। দেখেশুনে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।
কম্বল-লেপের বিকল্প হিসেবে চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের
শীতে আরামদায়ক ঘুমের জন্য উঞ্চতা বৃদ্ধিতে বর্তমানে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে কম্ফোর্টার। লেপ কিংবা কম্বলের তুলনায় দ্রুত উষ্ণতা পেতে এর জুড়ি নেই। তাইতো কম্বল ও লেপের তুলনায় এখন চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের। আবার বিদেশি কম্ফোর্টারের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার কারণে দামও হাতের নাগালে রয়েছে। কম্ফোর্টার তৈরিতে এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানিও। তাই স্বল্প দামে ভালো মানের কম্ফোর্টারের দিকে ঝুঁকেছেন মানুষজন।
বিক্রেতারা জানান, অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কারণে মানুষ এখন দোকানে এসেই কম্ফোর্টার খুঁজেন। স্থানীয়ভাবে তৈরি ফাইবারের এসব কম্ফোর্টার সিঙ্গেল, সেমি ডাবল ও ডাবল হিসেবে দাম ঠিক করা হয়। আবার কম্ফোর্টারের পুরুত্বের ওপরও নির্ভর করে গুণগত মান।
নীলক্ষেত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের বেডশিট ব্যবসায়ী ইলিয়াস খান বলেন, কম্বল ও লেপের তুলনায় কম্ফোর্টারের ওজন একেবারেই হালকা। তবে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুততম সময়ে উষ্ণতা পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন কমফি, বেক্সি ফেব্রিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করছে। এসব কম্ফোর্টার আকারভেদে এগারোশ টাকা থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোরিয়ান, চায়নাসহ অন্যান্য বিদেশি কম্ফোর্টার সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে কম্বলের বেচাকেনা আহামরি না হলেও অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আাবেদনে কোনো ভুল হলে এখন থেকে সেটা শোধরানোর কোনো সুযোগ পাবেন না সেবাগ্রহীতারা। এক্ষেত্রে সেই আবেদন বাতিল করে আবার ফি দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস হতে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট হতে issue (Category Pending) করার এখন হতে আর কোনো সুযোগ নেই।
কোনো আবেদন NIDW থেকে ক্যাটাগরি অ্যাস্যাইন করার পর অফিসার অপারেটর কোনো পর্যায়েই Issue Incomplete করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড Edit করার আর কোনো সুযোগ থাকছে না।
নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এনআইডি উইং হতে Online Adjudication Pending Adjudication Pending স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে।
তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো। কারণ এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আর নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আবেদন Approve Cancel Reject করার পর কোনো আবেদনের স্টেটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে নাগরিকদের সংশোধনের আবেদনগুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ক, খ, গ ও ঘ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে ক ক্যাটাগরিতে ছোটখাটো ভুলের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংশোধনের এখতিয়ার দিয়েছে ইসি। এভাবেই গুরুত্ব বিবেচনায় খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালককে। এনআইডি মহাপরিচালকও কোনো সংশোধনের আবেদনকে স্পর্শকাতর মনে করলে সেটা কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কমিশন অনুমোদন দিলেই কেবল সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে নতুন করে ফের আবেদন করেন। এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকলো না। তাই আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে আবেদনের ধরণ ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের জামিন হওয়ায় সারাদেশে ব্যক্তিগত চেম্বার ও অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। আজ ১৯ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব অল সোসাইটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব সার্জনসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে দুই চিকিৎসক ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় চিকিৎসকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তাই আজ থেকে সারাদেশে চিকিৎসকের চেম্বার ও অস্ত্রোপচার শুরু হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা।
এর আগে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে সেন্ট্রাল হসপিটালের ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তারের বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে তিন দিনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। রবিবার সারাদেশে মানবন্ধন এবং সোমবার ও মঙ্গলবার সারাদেশে বেসরকারি চেম্বার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।