চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতি। আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল। নিবন্ধনহীন গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়ির মালিক চিহ্নিত করা কষ্টকর হতো। চালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় পুলিশের হাতে নানা ভাবে নাজেহাল হতো।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিস পুনরায় রোজিষ্ট্রশন কার্যক্রম চালু করে। সরকার অটোরিক্সার লাইসেন্স চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জেলার জন্য ১০ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যা থেকে সরকার প্রায় ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাশের কুমিল্লা জেলায় ২৩ হাজার, মৌলভীবাজার জেলায় ২১ হাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার নিবন্ধনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রয়েছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার রেজিষ্ট্রেশনের পর হঠাৎ করে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এতে করে সিএনজি মালিক-চালকরা বিপাকে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে প্রতিটি অটোরিকসার রেজিষ্ট্রেশন করি। কাউকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা দেইনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ হাজার নতুন রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানান। এতে করে একদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবে অপর দিকে সড়কে বৈধ যানচলাচল বৃদ্ধি পাবে। সড়কে যান চলাচলে শৃংখলা ফিরে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের মিয়া, অর্থ সম্পাদক কামাল মিয়া প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দায়িত্ব বণ্টন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। আসনটি থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাহত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগের মন্ত্রিসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কোনো মন্ত্রী ছিলেন না।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। তার বাবা মো. আবদুর রউফ চৌধুরী ও মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী।
ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে ফাজিল পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে উবায়দুল মোক্তাদির ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন উবায়দুল। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ। প্রত্যেক কার্ডধারী ২ কেজি করে মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। মশুর ডাল ৬০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার ও চাল ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা জানান, বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। এই ঊর্ধ্বগতি বাজারে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল ও চাল পেয়ে অনেক খুশি। টিসিবিতে আরো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিলে আমাদের উপকার হতো। সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪ হাজার ৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে জুলাই মাসের টিসিবির এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে চারটি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের টিসিবির পণ্য অনেকটায় সহযোগিতা হবে। মঙ্গলবার ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল, ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। চিনির বরাদ্দ না থাকায় চিনি দেওয়া হচ্ছে না। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোনো রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৩০ মার্চ রবিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ৩১ মার্চ সোমবার সারা দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলা ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করবেন – জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।
তবে, বৈরী আবহাওয়া থাকলে জেলা জামে মসজিদে নির্ধারিত সময়ে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত পালনে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।
এছাড়াও জেলা শহরের ট্যাংকের পর জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, কাউতলী নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম, ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ, পূর্বমেড্ডা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, মধ্যপাড়া ভাওয়াল দিঘীরপাড় মসজিদসহ জেলার ৭৮০টি ঈদগাহ ও ৫১০টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।