চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলার ভূমি কর্মকর্তাদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জুম অনলাইন প্লার্টফর্মে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: জাহিদ হোসেন পনির, উপসচিব সেলিম আহমদ প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট এ রুপান্তরিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন হলে জমির খাজনা প্রদান, নামজারী, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্টনসহ বিভিন্ন জটিলতা দূর হবে। তবে ভূমি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাহলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা পাওয়া যাবে। এ প্রশিক্ষণে জেলার ৩৩জন ভূমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৪ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বারেরা এলাকার ফোর স্টার ফ্লাওয়ার মিল সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. অনিক খান (১৮) গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের জালাল উদ্দিন খাঁন কবিরাজের ৪র্থ ছেলে এবং কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল।
অনিক তার পরিবারের সঙ্গে পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
নিহতের বড় ভাই অপূর্ব জানায়, গত ৬ মাস আগে তাদের মা মারা যান। তাদের পরিবার এখনও সেই শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে আদরের ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হলো।
অপূর্ব আরও জানায়, বুধবার রাতে বারেরা এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পথে ভেজা সড়কে পিছলে পড়লে একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আফসার বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই যেখানে রাষ্ট্রপতিসহ তার পরিবার সকলকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে কোনো জায়গায় রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিবারকে হত্যা করার রেকর্ড নেই। রেকর্ডটি শুধু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে হয়েছিল। এই ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই অন্যায়ের গুনাহ কখনো মাফ হবে কিনা আমি জানি না। এই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিলাম।
গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ১৫ আগস্ট যখন আসে তখন বাঙালি জাতি শোকাহত হয়ে যায়। আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের মাস। যার নেতৃত্বে এ বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সেই মহান নেতা ও তার পরিবারের প্রত্যেককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল এই মাসে। যে অপশক্তি সেসময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তাদের প্রেতাত্মা এখনো আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। এখন সময় এসেছে অপশক্তি রুখে দাঁড়ানোর।
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, আনোয়ারা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আজিজুর রহমান আজিজ, জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোকশেদুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী চৌধুরী ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারখানা পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন।
সেমিনারে জেলায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশু শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে এবং এ পর্যন্ত ৮টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, আবাসিক হোটেল রেস্তোরাঁ ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের তরুণ ছাত্র যুবকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তাদের সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ জাতি হিসেবে আমাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় করেছে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশে এটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত।
বাঙালি জাতির জন্য এ দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুব-সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
্রওই দিন দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রতিটি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিটি শহীদ মিনার ভরে উঠে ফুলে ফুলে। মানুষের ঢল নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ঢাকার সব অলিগলি রাজপথ থেকে খালি পায়ে ফুল হাতে মানুষের মিছিল ছুটে আসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে লেখা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’।
এই দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’
‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।