চলারপথে রিপোর্ট :
দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন’র নেতৃত্বে বড় ধরণের এই অভিযান দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির দোতলা ভবনের একটি কক্ষে থেকে এসব নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়। এসময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির জনতা ব্যাংকের পূর্ব পার্শ্বের একটি দোতলা ভবনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আছে বলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা কর হয়। তবে অভিযানের সময় কাউকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। খবর দিয়ে জাল ব্যবসায়ী একজনকে এনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ এসব জাল আটক করে পরে দিরাই বিএডিসি মাঠে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, হাওরে দেশীয় জাতের মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য এসব জাল হুমকি স্বরূপ। তাছাড়া চায়না দোয়ারী মাছের পাশাপাশি অন্যান্য জীববৈচিত্রও নষ্ট করে দেয়। এজন্য প্রশাসন নিষিদ্ধ এসব জাল আটকের অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিলেটে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের মধ্যে আজ ২৪ জুলাই সোমবার জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে সিলেট বিভাগের সব জেলায় প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বেলা ১টা ১০ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় ঘটে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির। তিনি জানান, গ্রিড ফেইল করে আশুগঞ্জ থেকে ১৩২ কেভি সার্কিট-২ বন্ধ থাকায় সমগ্র সিলেট বিভাগে বিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কমপক্ষে ৬-৭ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে বলে গ্রাহকরা জানিয়েছেন।
সিলেটে লোডশেডিং বন্ধ এবং বিদ্যুতের অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে রবিবার গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সংগঠনের সদস্য সচিব মকসুদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিদিন নগরীতে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে শুধু বাসাবাড়ির লোকজন নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করছেন, তারাও দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। এর আগে সিলেট কল্যাণ সংস্থা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ করে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে সিলেটে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৩৫০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে পিডিবি পাচ্ছে ১৩৮ মেগাওয়াট ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাচ্ছে ২১১ মেগাওয়াট। কোনোদিন এর চেয়ে আরো কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা ইসহাক সরকার। তিনি জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩৬৫টি মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১০ বছর বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী ছিলেন।
বিএনপির বিগত আন্দোলন গুলোতে ইসহাক সরকারের ভূমিকা ছিল মাঠে সরব। দিনের পর দিন তিনি রাস্তায় আন্দোলন চালিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ত্যাগী ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারের ফেরারী জীবন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, পুরান ঢাকায় একটি লিজকৃত সম্পত্তি, যা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম দখল করেছিল, সেটি তিনি পুনরুদ্ধার করেন এবং এর আয়ে তিনি দলের নিখোঁজ-নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা করেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘‘৯৬ সালের শেষের দিকে ঘটনা। বরিশাল জেলা সফরের উদ্দেশে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তখন কয়েক শতাধিক কর্মী সমেত মিছিল- শ্লোগানে সদর এলাকা মুখর করে তোলেন ৩৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার। পাশেই গাড়িতে বসেছিলেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। মধ্যরাতে এতো বড় শোডাউন দেখে ইসহাক সরকারকে কাছে ডাকেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন নাম-পরিচয়। অনুরোধ করেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার। পরের দিনই হাজির হন নয়াপল্টনে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখে তাৎক্ষণিকভাবেই তাকে কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব দেন পিন্টু। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঝড়ের গতি দায়ের হয় মামলা। শুরু হয় কারাগার আর ফেরারী জীবন। তার জন্য নির্যাতিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তবুও পিছু হটেননি। ছাড়েননি রাজনীতি। শত নির্যাতনেও তিনিছিলেন অবিচল। ওয়ার্ড থেকে থানার দায়িত্ব পেয়েই নেমে পড়েন রাজপথে। নিয়মিত অংশ নিতেন মিছিল-মিটিংয়ে। আধাবেলা হরতাল দিলে পুরান ঢাকায় পালন করতেন রাত পর্যন্ত। ৯৮ সালে রমনা পার্কে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ওই কর্মসূচিতে শতাধিক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে অংশ নেন তিনি। মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবনের মোড় আসতেই ৩৬ জন কর্মীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা হাজতে খালি গায়ে তাদের বসিয়ে রাখা হয়। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোটভাই খাবার দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেড় মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এক রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধার রাজনৈতিক জীবন : বিগত সময় থেকে স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করে আসছেন রাজপথের আলোচিত নেতা ও আন্দোলন সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ইসহাক সরকার।
ওয়ান ইলেভেন এর কঠিন সময়েরও অনেক আগে থেকে রাজপথে লড়াইকরে আসছেন এই অগ্নিপুরুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে বহুবার হতে হয়েছে কারা-নির্যাতিত। বিগত হাসিনা সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আন্দোলনে দেশের তৎকালীন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ মামলায় ৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন তারই বড় ভাই আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী নেতা “ইয়াকুব সরকার”। রাজপথের বীর নেতা, আড়াইশোর বেশি অর্থাৎ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বাধিক মিথ্যামামলার আসামী “ইসহাক সরকার”।
যার জীবনের অনেকটা সময়ই কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে পিতৃবিয়োগের শোক সংবরণ করতে হয়েছে। আরেক ভাই “ইসমাইল সরকার” যিনি রাজনীতি না করেও ৬০ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ বার কারাবরণ করেছেন। “ইসমাইল” নামের পিছনে শুধুমাত্র সরকার নাম থাকার কারণে তাকে রাজনীতি না করেই হাসিনা বাহিনীর নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
এই বীরযোদ্ধার; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ
১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর রমনা পার্ক থেকে প্রথমবারের মতো আটক হন ইসহাক সরকার। ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি শহিদউদ্দিন চৌধুরী এনি ও ইসহাক সরকারসহ ছাত্রদলের ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন কোতয়ালি থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। আটককৃতদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের খোলা মাঠে সারাদিন খালি গায়ে রাখা হয়। পরদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ঃ ÒTorture on Dhaka University students under police custodz; Sheikh Hasina style”
১৯৯৯ সালে হরতাল চলাকালেবংশাল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করার সময় দ্বিতীয়বারের মতো আটক হয় ইসহাক সরকার। ১৭টি মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ইসহাককে। কোতয়ালি থানায় রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে খাবার দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয় তারই সহোদর ইসমাইল সরকার (১৭) ও তাঁর সহযোগী নীরব। ৪ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান ইসহাক সরকার। সেই একই বছরের শেষ দিকে বংশাল বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ইসহাক সরকার কে পুনরায় আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ! ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ১০৭ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দেড় বছর কারাবরণ করেন তিনি। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হলে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বাবার জানাযা ও দাফনে অংশ নিয়ে আবার কারাগারে গমন করেন তিনি।
বাবার জানাযায় ডান্ডা-বেড়ি পরে পুলিশের সাথে অংশ নিতে আসলে, তাঁকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নামে। যা পুরাতন ঢাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইসহাক সরকারের মুক্তি কামনা করে বলেনঃ “কারাগারে থাকা অবস্থায় কিছুদিন পূর্বে ইসহাকের পিতার মৃত্যু হয় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে তাঁকে পিতৃ বিয়োগের শোক সংবরন করতে হচ্ছে। আমি অবিলম্বে ইসহাকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।” সব মামলায় জামিনের পর এক এক করে ৫টি নতুন মামলায় কারাগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১০৭ মামলায় কারাগারে থাকার সময় বিএনপির “ঢাকা টু পঞ্চগড়” লংমার্চের ২২ জন ও পথসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন “আমার ২৫ বছর বয়সের ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারকে ১০৭টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।”
এরই প্রেক্ষিতে “আর কাউকে জেলগেট থেকে গ্রেফতার করা যাবেনা”-হাইকোর্টের এমন আদেশের পর মুক্তি পান ইসহাক সরকার। কারাগারে থাকার সময় আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন ইসহাক সরকারের ঘনিষ্ট বন্ধু ও সহচর মামুন, নিরব ও সামসু। এছাড়াও ছাত্রদল কর্মী রুবেল, ওমর ফারুক ও সালাম আন্দোলনে নিহত হন। ইসহাক যখন ১০৭ মামলায় কারাগারে, ঠিক তখনি ২৫টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজনীতি না করা ছোট ভাই ইসমাইল সরকারকে দ্বিতীয় বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুই ছেলে জেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাত করতে যান গর্বিত সেই মা জননী। ২০০০ সালের প্রথম দিকে ইসমাইল সরকার কে ৩০টি মামলায় আবার গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার যখন আবার ক্ষমতায় আসে তখন এই বীর পরিবারের উপর নির্যাতনের “নীলনকশা” তৈরি করা হয়। আবার শুরু করে অত্যাচার-নির্যাতন। শুরু হয় আবার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার নগ্ন পরিকল্পনা। ইসহাক সরকার এর উপর দায়ের করা হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা।
এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদে দাড়িয়ে বলেনঃ “ইসহাকের উচিত কোর্টের পাশেই ঘর বানিয়ে থাকার। যেন সকাল হলেই কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে কষ্ট না হয়।” জীবনের ব্যাপক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বীরযোদ্ধা। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন থেকে অনেক দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। এই বীরের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের দালাল তৎকালীন লালবাগ জোনের পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ কাপুরুষের মতো সবসময় সরগরম হয়ে থাকা বংশাল বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ মোতায়েন করে রাখে। এতো ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার পরেও অন্যায়ের সাথে আপোষতো দূরের কথা বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি এই বীর রণাঙ্গনের যোদ্ধা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁদের পরিবারের উপরও চলেছে জালিম হাসিনার পোষা হায়েনালীগ ও তাদের দোসর প্রশাসনের নির্মম বর্বরতা ও নির্যাতন। তাঁদের বাসায় কখনো নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড। আবার কখনো করা হয় গুলিবর্ষণ। কিংবা বাসায় তালা ঝুলিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের। হামলা ও ভাংচুর তো এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয় ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন এর সময় একই সাথে ৯ জন কে গুম করা হয় যারা ছিলেন সোহেল চাচা, জহির, পারভেজ, চঞ্চল, সহ ইসহাক সরকার এর হাতে গড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাহসী নেতা কর্মীরা এবং এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ জুন মঙ্গলবার বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান তাদের বিশ্বরাজনৈতিক পাতায় ইসহাক সরকারের প্রতিবাদমুখর এক আলোকচিত্র দিয়ে তৈরি করে তাদের মূল প্রচ্ছদ ও প্রতিবেদন! সবশেষে তাঁর গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনের অগ্রযাত্রা রুখতে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয় র্যাব এর ক্রসফায়ার তালিকায়! এতোসব নির্মম নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্রদলের প্রাণপ্রিয় নেতা ইসহাক সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে থেকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৭ মাসের এক শিশুকে অপহরণের পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির চাচীকে বোনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার জিএমপির উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া জেলার সদর থানার চকসূত্রাপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জান্নাত (২৩) ও জাকিয়ার ছোট বোন রাকিবা আভান আঁখি (২১)। এদের মধ্যে জাকিয়া ওই শিশুটির চাচা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাঙ্গালগাছ এলাকার মাসুদের স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরের পর গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার তাদের ৭ মাস বয়সের শিশু সন্তান রিয়াদ হোসেন ওরফে রোহানকে নিয়ে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে। বেশকিছু সময়েও শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা জাকিয়ার কাছে যান। তারা জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারণে শিশুটির বাবা-মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান। পরে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ সময় জাকিয়ার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জাকিয়া। এ সময় সে জানায় তার বোন আঁখির মাধ্যমে শিশুটিকে বগুড়ায় পাচার করা হয়েছে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাতেই বগুড়ায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অপহরণের পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী জাকিয়া ও তার বোন আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা শিশু অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আগামীকাল ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচটি পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যগুলো হলো চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর। সারা দেশে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যগুলো বিক্রি করবে টিসিবি।
আজ ৮ মার্চ বুধবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর তেজগাঁও তিব্বত মোড় সংলগ্ন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে এ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফ্যামেলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবার টিসিবির ডিলারদের দোকান ও স্থায়ী স্থাপনা থেকে এ পণ্য কিনতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একজন কার্ডধারী ৬০ টাকা দরে এক কেজি চিনি, প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, ৫০ টাকা দরে এক কেজি ছোলা ও ১০০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। তবে খেজুর শুধুমাত্র ঢাকা সিটি করপোরেশনে বিক্রি হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, এই দেশে সন্ত্রাসীদের জন্য জায়গা হবে না। অপরাধী ধরতে কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। জামিনে কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান ওরফে পিচ্চি হেলাল ও আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন
এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে যেসব সতর্কতা মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। কোনো সন্ত্রাসী আইনের আওতা থেকে রক্ষা পাবে না। সে পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক। তাদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, অবশ্যই তারা গ্রেফতার হবেন।
আরও পড়ুন
সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সম্প্রতি এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ইমনের বিরুদ্ধে এলিফেন্ট রোডে মাল্টিপ্লানের দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় এক নম্বর আসামি করা হয়।
রেজাউল করিম বলেন, কোনো চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের ঠিকানা এই দেশে হবে না। পুলিশ তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় বন্দুক, বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ভরা মৌসুমে কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বাড়ানো তারই একটি প্রকৃত উদাহরণ। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকরীরাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন
ব্যয় বৃদ্ধির চাপে ব্যবসা গোটাতে চান উদ্যোক্তারা
ডিবিপ্রধান বলেন, কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে আমি ব্যক্তিগতভাবে রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। যতদিন কাজ করবো ততদিন দেশ ও জনগণের সেবা করেই থাকবো। অন্যায়ের কাছে কোনোদিন মাথা নত করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না।