চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্বিত সন্তান।
তিনি আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়নগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক এ.এইচ.এম. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, বিগত সরকার গুলোর সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন। তাঁরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাননি।
বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে থাকার জন্য “বীর নিবাস” করে দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চান। তিনি বলেন, আমি আমৃত্যু মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সেবা ও সহযোগীতা করে যাব। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি অশুভ চক্র নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়। তিনি ওই ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া, দবিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ভিক্ষুক পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় একজন ভিক্ষুকের হাতে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা তুলে দেন প্রধান অতিথি।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলার সেজামুড়া গ্রামে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও বিশ্রামাগারের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট:
বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তৌফিক (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল বুধবার দুপুরের দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক (২৬) উপজেলার আদমপুর গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পত্তন ইউপির আদমপুর বাজারের পাশে সিএনজি অটোরিক্সা ও পিকআপভ্যান রেখে দুই ড্রাইভার দোকানে নাস্তা করতে যায়। এ সময় তৌফিক অটোরিক্সা ও পিকআপের ড্রাইভারকে গাড়ি সরাতে বলে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তৌফিকের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপ চালক ও অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানার মধ্যে সামগ্রিক কর্ম মূল্যায়ন এপ্রিল- ২০২৩ মাসে শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ৮ মে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করা হয়। মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৯টি থানার মধ্যে তার সামগ্রীক কর্মতৎপরতায় বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ পুরষ্কার বিজয়নগর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা করার কারনে সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বিজয়নগর থানার সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সামগ্রিক ভাবে আমরা জেলার সবচেয়ে ভালো করতে পারছি। আমাকে আগামিতে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১২ বছরের শিশু ময়না হত্যা মামলার প্রধান আসামি হোসেন মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার নয়নপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত হোসেন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগরের আতকাপাড়া গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনাকে কেন্দ্র করে বরের পক্ষের সঙ্গে স্থানীয়দের তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে ময়না কাজের প্রয়োজনে মনিপুর বন্দর বাজারে যাওয়ার সময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা হোসেন মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে হোসেন বল্লম দিয়ে ময়নার বুকের বাঁ পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়নাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহতের মা বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরে নয়নপুর এলাকা থেকে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর পৃথক অভিযানে একজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।
সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ ৭ মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় ২টা ১৫ মিনিটে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক ৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস- ৩৮৯৪ পিস, ট্যাবলেট- ২১,৩০০ পিস, ক্যাপসুল-৮,৭০০ পিস, Medicated Soap- ৩২৪ পিস, Glosmile Injection- ১০৮ পিস, Finoptis eye drops-১৪০ পিস এবং Asylom-CD sachets powder-১৪০ প্যাকেট আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত অবৈধ চোরাচালানী মালামালের সিজার মূল্য ৬৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শত টাকা। আটককৃত চোরাচালানি মালামাল আখাউড়া কাষ্টমস অফিসে জমা প্রদান করা হয়েছে।
অপর অভিযানে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দলের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৭মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালঞ্চপুর স্থান দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে ভারত হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে বিজিবি বিওপির টহল দল ধাওয়া করলে বাংলাদেশী নাগরিক মোসা. ফাতেমা বেগম (৩৫), স্বামী মো. মনির হোসেন, গ্রাম বদনী ভাঙ্গা, ছোটভাদুরা, মোড়লগঞ্জ বাগেরহাটকে আটক করে এবং অপরজন মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১ বছর পূর্বে ভারতে কাশ্মীরে বসবাসরত তার স্বামীর নিকট চিকিৎসার জন্য গমন করে এবং ৭ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় ধর্মঘর বিওপির টহল দলের নিকট আটক হয়। উল্লেখ্য, উক্ত মহিলার স্বামী ভারতের কাশ্মীরে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। আটককৃত মহিলার নিকট হতে ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিককে মোবাইল ফোনসহ মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর।
এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর সদস্যরা। আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কালিসীমা চুল্লাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার মিয়া (৪০)। শুক্রবার র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব আরো জানান, মাদকের বিরুেেদ্ধ সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।