চলারপথে রিপোর্ট :
পুর্বধলায় ১১০ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ব্যাপারে ডিবি’র এস আই সঞ্জয় সরকার বাদী হয়ে আটককৃত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে বুধবার বিকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হচ্ছে- জেলার দূর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. মাহফুজুল ইসলাম (২২) এবং পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নারায়ণ ডহর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (৩৮)।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এর দিক নির্দেশনায় ওসি, ডিবি (পশ্চিম) মোহাম্মদ শাহনূর আলমের নেতৃত্বে এস আই সঞ্জয় সরকার, এ এস আই ম. মফিজুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ অক্টোবর (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পূর্বধলা চৌরাস্থার ইলাশপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১১০ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।
সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।
আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মামলা জট কমাতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাইলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী এ সহযোগিতা চান। তিনি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কার্য অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছি সেটা হলো, সকলের কাছে বিশেষ করে ডিসিদের জন্য একটা ইস্যু, সেটা হলো মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা তড়িৎ পদক্ষেপ নিবো এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টিকরণ করা হয়েছে, সেটা হলো অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টিকরণ করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না ‘
মোবাইল কোর্টের মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্টের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
ডিসিরা কি বলেছেন এবং আপনার তরফ থেকে তাদের কি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানতে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সে প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন। যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কি করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিসিয়ারির কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
বাজার ব্যবস্থায় যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা মজুত করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন, সেই বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বিশেষ এই কারণটাকে চিহ্নিত করার জন্য এই অ্যাক্ট করা হয়েছে। আর আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে বলছি, এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে, আইনের শাসন না থাকার কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে বা গাফিলতির জন্য ঘটছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়। আমি আপনাদের আস্বস্ত করতে চাই, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট ও কেনাফের বীজ ও আঁশ উৎপাদন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ শেষে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ জুন শুক্রবার বিকালে বিজেআরআই কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের আয়োজনে রামচন্দ্রকুড়া ও মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামে এ কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিবিদ ড. আব্দুল আওয়াল ডিজি হওয়ায় অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ হতে সভাপতি মো.সাইফুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি লাল মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার মহাপরিচালককে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুর রহমান লেবু।
প্রশিক্ষণ শেষে উপস্থিত ৫০ জন কৃষকের মাঝে দেশি, তোষা ও কেনাফ জাতের মোট ৭৫ কেজি বীজ বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআই কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মওদুদ হোসেন, সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মকিম উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ রঞ্জন চন্দ্র দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল আহসান, সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের সাবেক জিএস আসাদুজ্জামান সোহেল, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শওকত নবাব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলা মাঠে এ সব বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
একশত শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম অন্যান শিক্ষা উপকরণসহ দশটি বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, চর্যাপদ গবেষক প্রফেসর আলীম মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ইউ.এস.ও) ডা. মো. রুহুল আমীন মুকুল, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম, উপজেলা ট্রইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আসিস কুমার বর্মন, আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশ্চার্য বর্মণ প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
চলতি বছর হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার। রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা হজ অফিস ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এর বাইরে জেলা পর্যায়েও চলবে প্রশিক্ষণ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। অন্যদিকে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়া হবে সারাদেশের ৭৯টি কেন্দ্রে। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা ছাড়া দেশের ৬৩ জেলার সিভিল সার্জনের অফিস। শনিবার এসব কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ মে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকার জন্য ঢাকায় মোট ৯টি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল।
এর বাইরে বেশ কয়েকটি জেলা সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্র করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, দিনাজপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন। ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকার।
২৭ জুন (৯ জিলহজ) চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। যদিও এবার মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধনের বাকি থাকা কোটার মধ্যে কিছু ব্যবস্থাপনা খাতে পূরণ হবে। এর বাইরে খালি থাকা কোটা ফেরত পাঠাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।