চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার-লালপুর আঞ্চলিক সড়কে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আল-আমিন (৩৮) নামের এক কাতার ফেরত যুবক নিহত হয়েছেন।
৪ অক্টোবর বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল-আমিনের মৃত্যু হয়।
এর আগে বিকেলে ৪টার দিকে বটতলী বাজারের কাছে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবরস্থানের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আল-আমিন গুরুতর আহত হন। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বদলের বাড়ির সরুজ মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন আল-আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বিকেলে আল-আমিন বটতলী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দিকে আসছিলেন। এসময় মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী (২৬) গ্রেফতার হয়েছেন। ৯ এপ্রিল বুধবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোর শহরের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেড্ডা এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। বুধবার বিকেলে ভাদুঘর থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে এবং রাতে থানায় হস্তান্তর করে। তাকে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন সদস্যরা। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ অনাস্থা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, টিআর/কাবিখার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। সরকারের কৃষি প্রণোদনা সার এবং বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ না করে নিজেই তা লুটপাট করেছেন। এছাড়া গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ এলাকার জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ টাকা জমা না রেখে বেশির ভাগ অংশ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এলাকার অসহায়-হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন আবেদন, সংশোধন পরিবর্তন, পরিবর্ধন বাবদ বিভিন্ন অসুবিধা জটিলতা দেখিয়ে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার টাকা নিয়া জনগণের কাজ করে দেয় এমনকি চাহিদা মত টাকা না পেলে দীর্ঘদিন হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নিজ ইচ্ছায় অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে ডালিম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুদান যেমন প্রেগনেন্সি ভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সার, বীজ, ধান বীজ, সরিষাসহ সরকারি টিউবওয়েল, টিসিবির পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসরিন আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করা সব ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে আছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই বলেন, লিখিত অভিযোগে যা লেখা হয়েছে, তা সামান্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সবশেষ বরাদ্দ পাওয়া টিউবওয়েলও লুট করে খেয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপি সদস্যরা অহেতুক কারণে এমন করছেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন জেলা প্রশাসককে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি ইউএনওর কাছে আবেদন করতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। সভার শুরুতেই নিহত ও আহতদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাভেদুর রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া, ডিডি সমাজ সেবা আঃ কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মোঃ গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দীন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, নিহতের পক্ষে নিহত হোসাইনের পিতা ও আহতদের পক্ষে ইউনাইটেড কলেজের ছাত্র নাটাই গ্রামের দীন ইসলাম। বক্তারা বলেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ তুলার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার হবেই হবে। যখন অত্যাচার চলতে থাকে তখন আল্লাহর তরফ বাহিনী নেমে আসে। দুই হাজার মানুষ মারা গেছে। এ হত্যার বিচার হবেই। আল্লাহর তরফ থেকে বিচার হবে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সরকার আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। আলোচনা শেষে জেলা কোর্ট মসজিদের ইমাম মোঃ আবদুল্লাহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের ক্ষুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিহতদের জন্য ১০ হাজার ও আহতদের ৫ হাজার করে প্রাইজবন্ড এবং ফুল ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। তার মধ্যে নিহত ১ জন ও আহত ১৪ জনকে ওই উপহার সামগ্রী তাদের হাতে ও পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমমানের ৪৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ২৯ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোঃ বিল্লাল হোসাইন, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সভায় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূসসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গার্ড অব অনারের পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাজনৈনিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জন্য শহীদ মিনার উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিচার বিভাগ, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভিন্ন দফতরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তক অর্পন শেষে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একুশ আমাদের চেতনা, একুশের হাত ধরেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন একুশ আমাদেরকে একটি অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে। একুশের হাত ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো আমরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আজকের এই দিনটি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো বিশ্বে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এটি আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের বিষয়।