চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনওর কার্যালয়ে আজ ৫ অক্টোবর বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোছা. বিউটি আক্তার, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, সরাইল উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়,সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর ধন বিশ্বাস, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সরাইল কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের সভাপতি দিলীপ বণিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরা হয়। এবার সরাইল উপজেলায় ৪৭টি পূজা মণ্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক। বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ সময় ৯টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস বিন আতিকের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ‘মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার’ ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে।
হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। পারিবারিকভাবে ৪ সন্তানের মধ্যে হাফেজ আনাস তার একমাত্র পুত্রসন্তান।
মেধাবী হাফেজ আনাস ইতোপূর্বে আরটিভিতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আনাস বিন আতিক প্রথমস্থান অর্জন করার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। হাফেজ আনাসের এ অসাধারণ সাফল্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আমার ছেলে হাফেজ আনাস প্রথম হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গতকাল রাতে ফলাফল ঘোষণার পর আমরা খবরটি জানতে পেরেছি। বর্তমানে হাফেজ আনাস তার ওস্থাদদের সঙ্গে সৌদি আরব অবস্থান করছে। আল্লাহর রহমতে শিগগিরই তারা দেশে ফিরবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম অর্জন করায় আমি আনন্দিত। দেশবাসীর কাছে তিনি তার ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৯ মার্চ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু (৪২) সরাইল উপজেলার নতুন হাবলি (সাগর দিঘীরপাড়) এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী থেকে র্যাব আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করে, রাতের মধ্যে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা (একটি বিচারাধীন এবং অন্যটি তদন্তাধীন) ও একটি বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটের মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান।
মাইনুল হাসান গত বৃহস্পতিবার সরাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সহস্রাধিক অনুসারী-সমর্থক মোটর শোভাযাত্রাসহ উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া। আবুল হাসানাতের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা সদরের দুই বাসিন্দা; যারা আবুল হাসানাতে প্রার্থিতার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হয়েছেন। ধানের শীষের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই পুত্র বর্তমানে নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শাহজাহান আলম। এখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মোট ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আমিনপুরের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার লালবাগে। তিনি আগে ভোটার ছিলেন আমিনপুরের। তবে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ার বাসিন্দা হয়েছেন। তবে এখানে তাঁকে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
সদ্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দলত্যাগের আগপর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। ছয়বারের মধ্যে চারবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। পরে সাত্তার টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ৪৩ হাজার ২৬১ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি একাধিকবার এ আসন থেকে বটগাছ এবং ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাপার জিয়াউল হক মৃধার লাঙ্গল প্রতীকের কাছে ৪৯ হাজার ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ৫ নভেম্বর আবারও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে ২৪ হাজার ৪৬৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপজেলায় ইসলামী ঐক্যজোটের অবস্থান এখন খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এলাকার কওমি মাদ্রাসাপন্থী লোকজন একসময় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর অনুসারী ছিলেন। তাঁরাও এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। বড় অংশটি বর্তমান নির্বাচন বিরোধী। এ কারণে এখানে ভোটার টানতে হাসানাত আমিনীকে বেগ পেতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের সরাইল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাকিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে এখানে আমাদের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা আমাদের তুলে নেবেন (জয়ী করবে) বলেছেন।’ তিনি বলেন, সরাইল উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসা আছে। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ মাদ্রাসার লোকজন তাঁদের পক্ষে আছেন।
তবে ইসলামী ঐক্যজোটের পুরোনো কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে কওমি মাদ্রাসাপন্থীদের ৯০ শতাংশ এ নির্বাচনের বিরোধী। তাই এ নির্বাচনে ইসলামী কোনো দলই ভোট টানতে পারবে না।
বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন একসময় ধানের শীষের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যার কারণে ছয়বার সংসদ সদস্য হন বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তাঁর দল ত্যাগের পর ধানের শীষের সমর্থকেরা সাত্তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নে এখনো সাত্তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা এখন মাইনুলের অনুসারী। এ কারণে এ দুটি ইউনিয়নে শক্ত ঘাঁটি হতে পারে মাইনুল হাসানের। আবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের সাবেক দু-একজন নেতা-কর্মীকে মাইনুলের পক্ষে দেখা যায়।
মাইনুল হাসান বলেন, ‘আমি তৃণমূল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য। আমাদের দলের জেলা বা উপজেলা কমিটি নেই। তবে আমার আব্বু এখানে ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া আমার এলাকার দু-তিনটি ইউনিয়ন আছে, যেখানে আমি একচেটিয়া ভোট পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। বিএনপির প্রকৃত কর্মীরা বলছেন, তাঁরা উকিল সাত্তারের পরিবারে পাশে থাকবেন। তিনি আশা করছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। এমনকি আমাদের কোনো ভোটারও ভোট দিতে যাবে না। যাঁরা এখন তৃণমূলে যাচ্ছেন, তাঁরা বহিষ্কৃত।’