অনলাইন ডেস্ক :
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তি আমরা শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করব।’
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাপী পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে রাশিয়া। এর ফলে আজ থেকে পরমাণু স্থাপনার মর্যাদা পেল রূপপুর প্রকল্প।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আকাশপথে রাশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছায় পারমাণবিক জ্বালানি। এরপর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে এটি রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনই জ্বালানি ব্যবহার করা হবে না, এটি মজুত করে রাখা হয়েছে রূপপুরে। এরপর আজ সকালে পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিতিদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল মানুষের মানসম্মত আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর মিরপুরে ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে বসবাস করছেন।
টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।
অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবন যাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১১ আসামের মাননীয় সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।