চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের আমঝুপিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিলকিস খাতুন (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত বিলকিস খাতুন সদর উপজেলার আমঝুপি শেখ পাড়া এলাকার মইনুদ্দিনের স্ত্রী।
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে গুদাম ঘরের লোহার দরজা খোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিলকিস খাতুনের জামাতা এমএ লিংকন বলেন, বিলকিস খাতুন তার বাড়ির গোডাউনের লোহার দরজা খোলার সময় বৈদ্যুতিক তারের সাথে জড়িয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থসারথি জানান, মৃত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পৃথক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এ ছাড়া শিশু আলিফ অপহরণ মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল কাফীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এসব আদেশ দেন। প্রত্যেক আসামির ক্ষেত্রেই ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার আরেক আসামি ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিন চান তাঁর আইনজীবী। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শহীদুল হকের রিমান্ডের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে শহীদুল হকের জামিন চান তাঁর আইনজীবী। শুনানিতে শহীদুল হক বলেন, তিনি কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিরপরাধ। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি শিশু আলিফ অপহরণের অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় আবদুল্লাহিল কাফীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হককে গ্রেপ্তারের কথা গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। সরকার পতনের পরদিন তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফীকে গত সোমবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করার কথা জানানো হয়। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফীর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিদ্ধিরগঞ্জে সহোদর ভাই-বোনদের সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ভাসুর মানিক মিয়ার ধারালো বটির কোপে সাবিনা নামে ভাইয়ের স্ত্রীর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চুলায় রান্না ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে মধ্য সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
আহতরা হলেন ওমর মিয়ার স্ত্রী সাবিনা, বোন চাঁদনী ও ইতি। কবজি বিচ্ছিন্ন সাবিনাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে পঙ্গু হাসপতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে ভর্তি না করায় তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
গৃহবধূর কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, এ ঘটনায় মানিক মিয়া (৪০) ও তার ছোট ভাই সুমন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমাকে (৩২) গ্রেফতারা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মধ্য সানারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিক মিয়া, সুমন মিয়া, ওমর মিয়া, জুবায়ের মিয়া, সুজন মিয়া, বোন চাঁদনী, সুনিয়া ও ইতির মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক বাড়ি থেকে ৩ ভাই ও ৩ বোনকে বঞ্চিত করে ভোগদখল করতে চায় মানিক ও সুমন। এ নিয়েই মূলত বিরোধ শুরু। তবে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চরম রূপ নেয় অবিবাহিত বোন ইতিকে নিয়ে। কেউ তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে চায় না। তবে সৌদি প্রবাসী জুবায়ের মিয়ার দেওয়া অর্থ ও টিউশনি করে ভরণ পোশন ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইতি। ইতিকে নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত। জানতে চাইলে আহত ইতি বলেন, আমার বড় ভাই মানিক মিয়া ও সুমন মিয়া আমাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। আমার হাত খরচ বাবদ কিছু খরচ দেয় সৌদি প্রবাসী ভাই জুবায়ের। মাঝে মাঝে ভাই ওমর মিয়া খোঁজ খবর নেয়। তবে তার অর্থিক অবস্থা ভাল না। শুক্রবার দুপুরে গ্যাসের চুলায় সাবিনা ভাবী আমার জন্য খাবার রান্না করতে গেলে বড় ভাবী ফাতেমা গালাগালি শুরু করেন। তখন আমি ও বোন চাঁদনী প্রতিবাদ করলে বড় ভাই মানিক, সুমন ও ভাবী ফাতেমা আমাদের দুই বোনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায় মানিক ভাই ধরালো বটি দিয়ে আমাকে লক্ষ করে কোপ দেয়। তখন সাবিনা ভাবী কোপ প্রতিহত করতে গিয়ে তার হাত কবজি পর্যন্ত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই হুমায়ূন কবির বলেন, তারা ভাই বোনদের মধ্যে আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে চুলায় রান্নাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ভাসুর। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ইইউ জোটের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে ইইউ। স্বাধীন ওই বিশেষজ্ঞ দল জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসবে এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তাদের মতামত ইইউর হাই রিপ্রেজেন্টিভের কাছে জমা দেবেন। নির্বাচনের সময়ে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ দল আসবে তারা ইইউর কোনো কর্মকর্তা নয়। বিষেশজ্ঞ দল এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখবে। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে বসবে। তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।
হোয়াইটলি আরো বলেন, ‘আমরা (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। পর্যবেক্ষক পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা যাতে না হয়, তার রিাপত্তা হিসাবে এটা দরকার ছিল।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এখনই বলতে পারছি না যে, অমুক দল অংশগ্রহণ করল বা করল না এবং সেটির ওপর পর্যবেক্ষক পাঠানো নির্ভর করছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি কোনো সহিংসতা ইইউ চায় বলেও জানান রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি।
বিএনপির সঙ্গে ইইউর নির্বাচন নিয়ে আলাপের বিষয়ে হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা শুধু বিএনপির সঙ্গে বসিনি, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেছি, আলাপ করেছি। আমরা সবার মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছি। বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচন নিয়ে যা বলে, সেগুলো আমাদের কাছে তুলে ধরেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গ্লকোমা। তবে গ্লকোমা কোনো একটি মাত্র অসুখ নয়। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার একটি সমষ্টি। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।
উপসর্গ
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন।
এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া—
✍ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
✍ চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
✍ ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
✍ দৃষ্টিশক্তি কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যপ্তি কমে আসা।
✍ কম আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
✍ চোখে লাল ভাব।
✍ বমি বমি ভাব এবং বমি করা।
কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও কিন্তু এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকট আত্মীয় যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে, চল্লিশের বেশি বয়স হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করতে দেরি হলে অথবা জন্মগত চোখে ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসা
✍ চোখে ড্রপ ব্যবহার করা।
✍ মুখে ওষুধ সেবন করা।
✍ লেজার থেরাপি।
✍ সার্জারি।
প্রতিরোধ
✍ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন।
✍ আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং যাঁদের গ্লকোমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
✍ জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন : শাক-সবজি।
✍ কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
✍ একবারই বেশি করে পানি খাওয়া যাবে না বরং অল্প পরিমাণ পানি বারবার খেতে হবে।
✍ শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
✍ চোখের প্রেসার বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, গ্লকোমার কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল আজহায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ২ জুন থেকে শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ জুনকে ঈদের দিন ধরে গতকাল ২৪ মে বৃহস্পতিবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ প্রস্তাব জানানো হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, এবার ঈদের আগে ৫ দিন ট্রেন যাত্রা ধরা হতে পারে। যদিও গত ঈদে ছুটি বেশি থাকায় ৭ দিন ধরা হয়েছিল।
রেলসূত্র জানিয়েছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভায় স্বাভাবিক ও বিশেষ ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা, অগ্রিম আসন বিক্রি, টিকিট কালোবাজারি রোধ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল ও প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো এবারও ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ২ জুন থেকে ঈদ যাত্রায় ১০ দিন আগের আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি শুরু হতে পারে।
আরও জানা গেছে, সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ঈদে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল মিলে মোট ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। ঈদে ট্রেন ভ্রমণের সার্বিক প্রস্তুতি ও ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি নিয়ে আগামী ২৭ মে সোমবার সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। সেখানে বিস্তারিত জানাবেন রেলমন্ত্রী।
সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, এবারও ঈদে ট্রেনের সব আসন অনলাইনে অগ্রিম বিক্রি হবে। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হতে পারে।
রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৬ জুন। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ আসন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যেতে পারে।