চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে ২০টি টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝড়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, সকাল থেকেই ভারি ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিকাল ৩ টায় হঠাৎ করে মেরাতলী মাঠের দিক থেকে প্রচন্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে।
মুহুর্তেই এলাকার ২০ টিনশেড ঘরে আঘাত করে। এ সময় সাত থেকে আটটি বসতঘরসহ অন্ততঃ ১২টি বিভিন্ন ধরনের দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এছাড়া টিনের চালা উড়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বাড়ি ঘরের উপরে গিয়ে পড়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষি জমি থেকে অহিদ মিয়া (৫৭) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ জুন বুধবার বেলা ১০টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়বল্লা শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অহিদ মিয়া ওই এলাকার মৃত লোফা মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, অহিদ মিয়া পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ করতেন। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেও সন্ধ্যান পান না। পরে বুধবার সকালে কৃষি জমির ভেতরে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তিনি আরো জানান, তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সরাইল প্রতিনিধি:
শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ ২১ জানুয়ারি সরাইলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাডা গ্রামের ভিতরের রাস্তায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।আজ শনিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার জনপ্রতিনিধ সাদেক মেম্বার, বিশিষ্ট সরদার আহাদ আলী, আনারুল্লা, সানাউল্লা, দানু মিযা আলমাস মিযা, সিদ্দিক মিযা শেখ আবুল কালাম, আক্কি মিয়া, ওসমান মিয়া, হামিদ মিয়া, আবুল ফয়েজ, ওসমান মিযা, জামির আলী, আবেদ আলী, নিহতের সন্তান মোহাম্মদ আসমত আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকা সাধারণ নারী পুরুষ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদিসহ অন্যান্যদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। বক্তারা এর প্রতিবাদ করে অবিলম্বে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বক্তারা মানববন্ধনে এ হত্যাকা- ও জামিনে এসে হুমকি-ধমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারসম্পন্ন করে দোষীদেরকে কঠোর শাস্তির দাবি দেয়ার দাবী জানান। বক্তারা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর জেলার সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়াকে মারধর করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরে ২৭ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে সরাইলে যান বর এনাম। আবার বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উলুহার গ্রামে ফিরেন বর।
৩ জুন সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া গ্রামের সানজিদা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেন তিনি। এর আগে আকাশপথে হেলিকপ্টারে চড়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের খেলার মাঠে নামেন বর এনাম।
এ সময় হেলিকপ্টারটি দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। সেখান থেকে ফুল দিয়ে সাজানো একটি ঘোড়ার গাড়ি করে কনের বাড়িতে যান তিনি। এছাড়া মাইক্রোবাসে শতাধিক বরযাত্রীও যায় কনের বাড়িতে।
হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উলুহার গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে এনাম সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আর কনে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া গ্রামের সফর আলী মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৮)।
এলাকাবাসী জানান, তাদের গ্রামে এই প্রথম হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়ি করে বিয়ে করতে এসেছেন কোনো বর।
এনাম বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি অনেক খুশি। আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এই লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের ছিলো উপচেপড়া ভীড়। খেলোয়াড়দের নান্দনিক কসরত আর অসাধারন ক্রীড়া নৈপুন্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
লাঠি খেলা দেখতে আসা বৃদ্ধ ফরিদ মিয়া বলেন, খেলা দেখেছি। খুবই ভালো লেগেছে। তবে খেলার ঐতিহ্যে আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে সরাইলের খেলোয়াড়রা এখনো লাঠি খেলার মতো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এলাকার গৃহবধূ কোহিনুর বেগম বলেন, খেলা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ফরিদ মিয়া নামে এক খেলোয়াড় জানান, “বিশেষ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের তাল আর লাঠির মাধ্যমে শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে দর্শকদের আনন্দ দেয়াই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য। হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম খেলাটি টিকিয়ে রাখতেই আমাদের এই প্রয়াস। তিনি ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে খেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেলিম খন্দকার বলেন, তরুণ সমাজকে মাদকের কুফল থেকে রক্ষা আর দাঙ্গামুক্ত সমাজ বিনির্মানেই আমাদের এই উদ্যোগ। লাঠি খেলায় ১০টি ইভেন্টে ৩০জন খেলোয়াড় অংশ নেন।