চলারপথে রিপোর্ট :
‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালি শেষে বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মাসুম আলী বেগ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জম্ম নিবন্ধন। একটি শিশু জম্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে জম্ম নিবন্ধন বিনা খরচে করা যায়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভীন, বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ, সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিববৃন্দ, গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও একজন গ্রাম পুলিশকে-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে এই রেলপথ। উদ্বোধনের আগে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত একটি খালি কনটেইনার ট্রেন চালানো হয়েছে।
এ সময় রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে দেড় বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগছে পাঁচ বছরেরও বেশি। রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন এবং প্ল্যাটফর্মের ফিনিশিং কাজ এখনো চলছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। ট্রেনটি ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় ট্রেনের চালককে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছেন কয়েক জন যুবক। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।
নরসিংদী রেল স্টেশনে সিলেটগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে চান নরসিংদীর পাঁচ তরুণ যাত্রী। ট্রেন চালক তাদের ইঞ্জিন থেকে নামিয়ে দিয়ে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বগিতে ভ্রমণ করতে বলেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা ইঞ্জিন থেকে নেমে যান। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। ওই সময় পাঁচ তরুণ ট্রেন চালকের সঙ্গে পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা রেল লাইনের পাথর কুড়িয়ে চালক বরাবর ছুড়ে মারেন। এতে চালক বেঁচে গেলেও ট্রেনটির ইঞ্জিনের একটি জানালা ভেঙে গেছে। পরে তরুণরা পালিয়ে যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেন পাঁচ তরুণ। রেলওয়ে পুলিশ দৌড়ে তাদের ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদী রেল স্টেশনের মাস্টার ইমন খান বলেন, সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ২০ মিনিট ট্রেনটি থেমে ছিল। পরে ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সি শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ বছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা তুলতে পারবে।
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, শিশুটি এইচএসসি পাশ না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন বলে জানান।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার নুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় শিশু নাঈমের ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় তার হাত।
নাঈমের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন ওয়ার্কশপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ তার ছেলেকে জোর করে মেশিন চালাতে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নাঈমের বাবা দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট নাঈমের এক হাত হারানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। সমাজের সকলকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশিশ্লষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাউতলীস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জেসমিন সুলতানা, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোহাম্মদ রতন মিয়া বাহার চৌধুরি, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। স্মৃতিস্তম্ভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা, গণপূর্ত বিভাগগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমাজসেবা বিভাগ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নানা আয়োজনে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি র্যালি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে তা শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জেসমিন সুলতানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী।
সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. রতন মিয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
সভার প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা ক্বারী আল আমীন বিন রেনু। পবিত্র গীতা পাঠ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠানে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী।